নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেসরকারিভাবে করদাতা খুঁজে বের করার উদ্যোগ টিআরপি প্রকল্প সফল করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও প্রকল্পটির নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রকল্পটি সফল করার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
গতকাল সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাপক হারে করজাল বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ কর বা ব্যক্তি আয়ের করের জায়গাটি বাড়াতে হবে। এর জন্য টিআরপি প্রোগ্রাম সফল করতেই হবে।
সারা দেশে করযোগ্য আয় ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে—এমন করদাতা খুঁজে বের করতে চায় এনবিআর। এ জন্য আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) নিয়োগের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে টিআরপি বিধিমালাও জারি করা হয়েছে। তবে বিধিমালাকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলে আন্দোলন করে আসছেন আয়কর আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করে। গত ১৫ জানুয়ারি রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে টিআরপি নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেন উচ্চ আদালত।
তবে আইনি বাধা কাটিয়ে উঠে প্রকল্পটি সফল করতে পারবেন দাবি করে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘একটা বাধা এসেছে, কোর্টে কেস চলছে। আমরা এটাকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসব। কোর্ট কেন এটার বিপক্ষে যাবেন বা রায় দেবেন, সেটার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। এটা কোনো ওভারল্যাপিংও নয়, খারাপ কিছু নয়। কাউকে আহত করার বা কারও আয় নষ্ট করে দেওয়ারও কোনো দুরভিসন্ধি নেই।’
প্রকল্পের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আয়কর আইনজীবীরা কী করেন? একজন ব্যক্তি যখন মনে করেন কর দেওয়া প্রয়োজন, তখন তিনি আয়কর আইনজীবীর কাছে যান। আইনজীবীরা কারও কাছে যান না, নতুন করদাতা খুঁজে বের করেন না। টিআরপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা নতুন করদাতা খুঁজে বের করব। নতুন করদাতা যখন নিয়ে আসব, তাঁরা যখন নিয়মিত কর দেওয়াতে অভ্যস্ত হবেন, তখন তাঁরা টিআরপি ছেড়ে রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর আইনজীবীদের কাছেই যাবেন। আইনজীবীদের ব্যবসাও বাড়বে।’
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমরা টিআরপি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি করের আওতা বাড়ানোর জন্য। প্রচুর মানুষ বলেন, গ্রামগঞ্জের অনেক মানুষের এখন রিটার্ন দেওয়ার সক্ষমতা আছে। গ্রামে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্সের অফিস করেন। আধুনিক যুগে গ্রামে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্স অফিস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ জন্যই আমরা টিআরপি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। সেটা আমরা যেকোনোভাবেই সফল করতে চাই। আমাদের হাতে অন্য কোনো পথ নেই দ্রুত করের আওতা বৃদ্ধির।’
আলোচনায় করকাঠামোর সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩৫টি প্রস্তাব দেয় ইআরএফ। সংগঠনটির সদস্য দৌলত আকতার মালা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এ সময় ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রশ্রেণির ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করে ইআরএফ। আর যাদের করযোগ্য আয় নেই, তাদের ব্যাংক সুদের ওপর কর্তন করা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, শিক্ষা ও চিকিৎসা উপকরণে করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখার পক্ষে ইআরএফ। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে পৃথক রাজস্বনীতি প্রণয়ন এবং এর জন্য বন্ড সুবিধা সহজীকরণ, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত রাখা, ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার স্থায়ীভাবে ৭ শতাংশ করা ও মিডিয়ার করহার কমিয়ে আনার সুপারিশ করে ইআরএফ।
বেসরকারিভাবে করদাতা খুঁজে বের করার উদ্যোগ টিআরপি প্রকল্প সফল করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও প্রকল্পটির নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রকল্পটি সফল করার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
গতকাল সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাপক হারে করজাল বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ কর বা ব্যক্তি আয়ের করের জায়গাটি বাড়াতে হবে। এর জন্য টিআরপি প্রোগ্রাম সফল করতেই হবে।
সারা দেশে করযোগ্য আয় ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে—এমন করদাতা খুঁজে বের করতে চায় এনবিআর। এ জন্য আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) নিয়োগের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে টিআরপি বিধিমালাও জারি করা হয়েছে। তবে বিধিমালাকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলে আন্দোলন করে আসছেন আয়কর আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করে। গত ১৫ জানুয়ারি রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে টিআরপি নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেন উচ্চ আদালত।
তবে আইনি বাধা কাটিয়ে উঠে প্রকল্পটি সফল করতে পারবেন দাবি করে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘একটা বাধা এসেছে, কোর্টে কেস চলছে। আমরা এটাকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসব। কোর্ট কেন এটার বিপক্ষে যাবেন বা রায় দেবেন, সেটার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। এটা কোনো ওভারল্যাপিংও নয়, খারাপ কিছু নয়। কাউকে আহত করার বা কারও আয় নষ্ট করে দেওয়ারও কোনো দুরভিসন্ধি নেই।’
প্রকল্পের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আয়কর আইনজীবীরা কী করেন? একজন ব্যক্তি যখন মনে করেন কর দেওয়া প্রয়োজন, তখন তিনি আয়কর আইনজীবীর কাছে যান। আইনজীবীরা কারও কাছে যান না, নতুন করদাতা খুঁজে বের করেন না। টিআরপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা নতুন করদাতা খুঁজে বের করব। নতুন করদাতা যখন নিয়ে আসব, তাঁরা যখন নিয়মিত কর দেওয়াতে অভ্যস্ত হবেন, তখন তাঁরা টিআরপি ছেড়ে রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর আইনজীবীদের কাছেই যাবেন। আইনজীবীদের ব্যবসাও বাড়বে।’
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমরা টিআরপি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি করের আওতা বাড়ানোর জন্য। প্রচুর মানুষ বলেন, গ্রামগঞ্জের অনেক মানুষের এখন রিটার্ন দেওয়ার সক্ষমতা আছে। গ্রামে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্সের অফিস করেন। আধুনিক যুগে গ্রামে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্স অফিস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ জন্যই আমরা টিআরপি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। সেটা আমরা যেকোনোভাবেই সফল করতে চাই। আমাদের হাতে অন্য কোনো পথ নেই দ্রুত করের আওতা বৃদ্ধির।’
আলোচনায় করকাঠামোর সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩৫টি প্রস্তাব দেয় ইআরএফ। সংগঠনটির সদস্য দৌলত আকতার মালা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এ সময় ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রশ্রেণির ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করে ইআরএফ। আর যাদের করযোগ্য আয় নেই, তাদের ব্যাংক সুদের ওপর কর্তন করা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, শিক্ষা ও চিকিৎসা উপকরণে করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখার পক্ষে ইআরএফ। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে পৃথক রাজস্বনীতি প্রণয়ন এবং এর জন্য বন্ড সুবিধা সহজীকরণ, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত রাখা, ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার স্থায়ীভাবে ৭ শতাংশ করা ও মিডিয়ার করহার কমিয়ে আনার সুপারিশ করে ইআরএফ।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৪ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১১ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১১ ঘণ্টা আগে