আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
দেশের অন্যতম বৃহৎ শুল্ক আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশই আসে এই কাস্টম হাউস থেকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই রাজস্ব আহরণ প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত জনবলের অর্ধেক পদই শূন্য পড়ে আছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্য খালাসে সময় লেগে যাচ্ছে বেশি। এর প্রভাব পড়ছে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অনুমোদিত মোট জনবল ১ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে ৬১২ পদেই লোকবল নেই। এমনকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি পদও শূন্য পড়ে আছে।
প্রতিষ্ঠানটির সাংগঠনিক জনবল কাঠামো অনুযায়ী, সেখানে একজন প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, তিনজন উপপ্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, দুজন রাসায়নিক পরীক্ষক এবং ছয়জন সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক থাকার কথা। এর মধ্যে প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ছাড়া বাকি সবগুলো পদই শূন্য পড়ে আছে। অর্থাৎ মাত্র একজন প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। লোকবল না থাকায় রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে আমদানি পণ্য খালাসে সময় লেগে যাচ্ছে বেশি।
এ নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪তম বার্ষিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে চিটাগাং ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের জনবল সংকট নিরসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। কাস্টমসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে জনবল সংকটের কারণে রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতে পণ্য খালাস নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় কর্মবিরতি পালনে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব আমরা।’
শুধু কারিগরি পদ নয়, কাস্টম হাউসের অন্য পদগুলোতেও লোকবল সংকট চরমে। প্রথম শ্রেণির মোট ২১০ কর্মকর্তার বিপরীতে আছেন ১১৫ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির মোট ৪৯৭ কর্মকর্তার বিপরীতে আছেন ২৫৮ জন। তৃতীয় শ্রেণির মোট ৪২৩ জন কর্মচারীর বিপরীতে আছেন ১৬৮ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির মোট ১১৮ জন কর্মচারীর বিপরীতে আছেন ৯৫ জন।
শূন্য পদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদও রয়েছে। ২ জন অতিরিক্ত কমিশনারের পদের ১টি, ৫ জন যুগ্ম কমিশনার পদের ২টি, ১৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদের ৩টি, ৪৭ জন সহকারী কমিশনার পদের ৩০টি, ১১৯ জন রাজস্ব কর্মকর্তা পদের মধ্যে ৪৬টি এবং ৪৮৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদের মধ্যে ২২৯টি পদই ফাঁকা।
চলতি মাসের হালনাগাদ জনবল কাঠামো অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে মোট ৫০ ক্যাটাগরির জনবল রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ ক্যাটাগরিতে কোনো জনবলই নেই। অর্থাৎ এখানে ১০০ ভাগ পদই শূন্য।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমি বারবার বলে আসছি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গতি আনতে লোকবল বাড়াতে। এতে রাজস্ব আয়ও বাড়বে। বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি মনে হয়। দেশের অন্যতম রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানে কেন লোকবল সংকট থাকবে।’
জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শুল্ক আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশই আসে এই কাস্টম হাউস থেকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই রাজস্ব আহরণ প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত জনবলের অর্ধেক পদই শূন্য পড়ে আছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্য খালাসে সময় লেগে যাচ্ছে বেশি। এর প্রভাব পড়ছে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অনুমোদিত মোট জনবল ১ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে ৬১২ পদেই লোকবল নেই। এমনকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি পদও শূন্য পড়ে আছে।
প্রতিষ্ঠানটির সাংগঠনিক জনবল কাঠামো অনুযায়ী, সেখানে একজন প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, তিনজন উপপ্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, দুজন রাসায়নিক পরীক্ষক এবং ছয়জন সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক থাকার কথা। এর মধ্যে প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ছাড়া বাকি সবগুলো পদই শূন্য পড়ে আছে। অর্থাৎ মাত্র একজন প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। লোকবল না থাকায় রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে আমদানি পণ্য খালাসে সময় লেগে যাচ্ছে বেশি।
এ নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪তম বার্ষিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে চিটাগাং ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের জনবল সংকট নিরসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। কাস্টমসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে জনবল সংকটের কারণে রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতে পণ্য খালাস নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় কর্মবিরতি পালনে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব আমরা।’
শুধু কারিগরি পদ নয়, কাস্টম হাউসের অন্য পদগুলোতেও লোকবল সংকট চরমে। প্রথম শ্রেণির মোট ২১০ কর্মকর্তার বিপরীতে আছেন ১১৫ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির মোট ৪৯৭ কর্মকর্তার বিপরীতে আছেন ২৫৮ জন। তৃতীয় শ্রেণির মোট ৪২৩ জন কর্মচারীর বিপরীতে আছেন ১৬৮ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির মোট ১১৮ জন কর্মচারীর বিপরীতে আছেন ৯৫ জন।
শূন্য পদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদও রয়েছে। ২ জন অতিরিক্ত কমিশনারের পদের ১টি, ৫ জন যুগ্ম কমিশনার পদের ২টি, ১৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদের ৩টি, ৪৭ জন সহকারী কমিশনার পদের ৩০টি, ১১৯ জন রাজস্ব কর্মকর্তা পদের মধ্যে ৪৬টি এবং ৪৮৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদের মধ্যে ২২৯টি পদই ফাঁকা।
চলতি মাসের হালনাগাদ জনবল কাঠামো অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে মোট ৫০ ক্যাটাগরির জনবল রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ ক্যাটাগরিতে কোনো জনবলই নেই। অর্থাৎ এখানে ১০০ ভাগ পদই শূন্য।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমি বারবার বলে আসছি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গতি আনতে লোকবল বাড়াতে। এতে রাজস্ব আয়ও বাড়বে। বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি মনে হয়। দেশের অন্যতম রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানে কেন লোকবল সংকট থাকবে।’
জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে