আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
সরকারের পালাবদলের পর থেকে তেজ ফিরে এসেছে পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনে। এক দিনেই লেনদেন বেড়েছে ৮৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, আর দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন গড়িয়েছে মোট ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এর সঙ্গে বেড়েছে সূচকও। এতে আশান্বিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী লেনদেন ও বিনিয়োগকারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের এই চিত্র দীর্ঘদিন দেখা মেলেনি পুঁজিবাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। আর এ দিনটিতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ের কোনো এক দিনের জন্য এটিই হলো সর্বোচ্চ রেকর্ড। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সর্বোচ্চ দরে লেনদেন এই রেকর্ড গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অংশীজনেরা মনে করেন, সরকার পরিবর্তনকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগে যাচ্ছেন তাঁরা। আর তাতেই এমন জোয়ার এসেছে পুঁজিবাজারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক যুগেও এর চেয়ে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে হয়নি। এটা আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ এসেছে জানিয়ে এই অধ্যাপক আরও বলেন, লেনদেন দেখে বোঝা যায় নতুন বিনিয়োগ ঢুকেছে (ফ্রেশ ফান্ড ইনজেকশন)। তা ছাড়া এই লেনদেন সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন কি বাজারে টাকা ছিল না? টাকা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে কিছু লোকজন যে কারসাজি করত, এখন সেই ধরনের আশঙ্কা কমে যাবে। তাই, সার্বিক বাজারের অবস্থা ভালো হবে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে—এ প্রত্যাশা থেকেই এখানে আসছেন বিনিয়োগকারীরা।
সরকার পতনের পর প্রথম কর্মদিবসেই মঙ্গলবারে সূচক বাড়ে ১৯৭ পয়েন্ট, পরের দিন বুধবার ১৯২ পয়েন্ট। ওই দুই দিনে ৩৮৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচক তিন মাস আগের অবস্থানে চলে যায়। এরপর গতকাল বাড়ে ৩০৬ পয়েন্ট। ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের যাত্রা শুরু হওয়ার পর কখনোই এক দিনে এত বড় উত্থান হয়নি। গতকালের আগে সর্বোচ্চ উত্থান ছিল ২০১৩ সালের ২ জুন, ওই দিন সূচক বাড়ে ২৭৩ পয়েন্ট।
তিন দিনে ৬৯৫ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে পুঁজিবাজারের প্রধান সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। এর চেয়ে সূচকের অবস্থান বেশি ছিল চলতি বছরের ২৩ মার্চ। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। এর ফলে তিন দিনে পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো।
আগের দিনের মতোই গতকালও উড়ন্ত সূচনা হয় পুঁজিবাজারে। শুরুর ৫ মিনিটেই সূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেন চলাকালীন দেশে এসে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ খবর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
এদিন ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই। দিনের পুরোটা সময় সর্বোচ্চ দামে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের ক্রয়াদেশ আসে। কিন্তু বিক্রেতা ছিল না। এ ছাড়াও আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখায়। সব মিলিয়ে ২৬৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। দিন শেষে ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ২৭টির এবং আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ৭টির।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এই লেনদেন প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।
সরকারের পালাবদলের পর থেকে তেজ ফিরে এসেছে পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনে। এক দিনেই লেনদেন বেড়েছে ৮৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, আর দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন গড়িয়েছে মোট ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এর সঙ্গে বেড়েছে সূচকও। এতে আশান্বিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী লেনদেন ও বিনিয়োগকারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের এই চিত্র দীর্ঘদিন দেখা মেলেনি পুঁজিবাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। আর এ দিনটিতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ের কোনো এক দিনের জন্য এটিই হলো সর্বোচ্চ রেকর্ড। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সর্বোচ্চ দরে লেনদেন এই রেকর্ড গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অংশীজনেরা মনে করেন, সরকার পরিবর্তনকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগে যাচ্ছেন তাঁরা। আর তাতেই এমন জোয়ার এসেছে পুঁজিবাজারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক যুগেও এর চেয়ে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে হয়নি। এটা আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ এসেছে জানিয়ে এই অধ্যাপক আরও বলেন, লেনদেন দেখে বোঝা যায় নতুন বিনিয়োগ ঢুকেছে (ফ্রেশ ফান্ড ইনজেকশন)। তা ছাড়া এই লেনদেন সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন কি বাজারে টাকা ছিল না? টাকা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে কিছু লোকজন যে কারসাজি করত, এখন সেই ধরনের আশঙ্কা কমে যাবে। তাই, সার্বিক বাজারের অবস্থা ভালো হবে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে—এ প্রত্যাশা থেকেই এখানে আসছেন বিনিয়োগকারীরা।
সরকার পতনের পর প্রথম কর্মদিবসেই মঙ্গলবারে সূচক বাড়ে ১৯৭ পয়েন্ট, পরের দিন বুধবার ১৯২ পয়েন্ট। ওই দুই দিনে ৩৮৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচক তিন মাস আগের অবস্থানে চলে যায়। এরপর গতকাল বাড়ে ৩০৬ পয়েন্ট। ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের যাত্রা শুরু হওয়ার পর কখনোই এক দিনে এত বড় উত্থান হয়নি। গতকালের আগে সর্বোচ্চ উত্থান ছিল ২০১৩ সালের ২ জুন, ওই দিন সূচক বাড়ে ২৭৩ পয়েন্ট।
তিন দিনে ৬৯৫ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে পুঁজিবাজারের প্রধান সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। এর চেয়ে সূচকের অবস্থান বেশি ছিল চলতি বছরের ২৩ মার্চ। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। এর ফলে তিন দিনে পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো।
আগের দিনের মতোই গতকালও উড়ন্ত সূচনা হয় পুঁজিবাজারে। শুরুর ৫ মিনিটেই সূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেন চলাকালীন দেশে এসে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ খবর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
এদিন ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই। দিনের পুরোটা সময় সর্বোচ্চ দামে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের ক্রয়াদেশ আসে। কিন্তু বিক্রেতা ছিল না। এ ছাড়াও আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখায়। সব মিলিয়ে ২৬৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। দিন শেষে ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ২৭টির এবং আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ৭টির।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এই লেনদেন প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে