ফারুক মেহেদী, ঢাকা
ডলার-সংকটে বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের মজুত ধরে রাখতে প্রায় বছরজুড়ে আমদানিতে কড়াকড়ি ছিল। এতে আমদানি কমেছে ঠিকই, কিন্তু ডলারের মজুত আর বাড়েনি। বরং কমতে কমতে এমন স্তরে এসে ঠেকেছে যে সামনে বিদেশি ঋণের দায় আর অত্যাবশ্যক পণ্য আমদানির দায় শোধেই কঠিন সংকটে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় আমদানিতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আসছে বাজেটে আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির বিশ্লেষণ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমদানির সঙ্গে দেশের শিল্পোৎপাদন, শুল্ক আয়সহ অর্থনীতির অনেক বিষয় জড়িত। সরকার ডলারের মজুত বাড়াতে আমদানি টেনে ধরলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ—এই ৯ মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে দেশের শিল্পকারখানার উৎপাদন কমে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগের দুই অর্থবছরে শিল্পোৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আমদানিতে কড়াকড়ির কারণে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে। এসব পণ্য সরাসরি বিনিয়োগ ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি কমেছে সাড়ে ২২ শতাংশ। খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৩৪ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য আমদানি কমেছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি-যন্ত্রাংশ আমদানি কমেছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এসব পণ্যের আমদানি কমা মানে অন্য অনেক পণ্যের সরবরাহ কমে যাওয়া। এতে বাজারে পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যায়, উসকে দেয় মূল্যস্ফীতি।
আমদানি কড়াকড়ি করায় যখন পুরো উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থায় সংকট তৈরি হচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে; তখন অর্থ মন্ত্রণালয় আসছে বাজেটে আমদানি আরও কমানোর লক্ষ্য ঠিক করেছে। বলা হচ্ছে, নতুন অর্থবছরে আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ ধরা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, পরের দুই অর্থবছরেও আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরও কমিয়ে ২০২৫-২৬-এ ৯ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরেও তা আরও কমিয়ে ৮ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে মন্থর অর্থনীতি আরও মন্থর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আমদানিতে আরও কড়াকড়ি শিল্পের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানো হলো। এতে শিল্প-ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমেনি। এখন যদি আমদানিতে আরও কড়াকড়ি করা হয়, তবে শিল্পোৎপাদন কমবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে। ডলারের জন্য কড়াকড়ি অথচ তাতে ডলার বাড়েনি, সংকট বেড়েছে। কেউ কেউ ডলারে এলসি কমিয়ে অন্যভাবে ঠিকই ডলার পাঠাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। কাগজে বন্ধ থাকলেও আসলে কোনো কিছুই বন্ধ নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, আগামী অর্থবছরে রিজার্ভকে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ওঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আমদানি কড়াকড়ি করা হচ্ছে। কারণ, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে রাশিয়ার ঋণসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বিদেশি ঋণের বড় বড় কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। ওই চাপ সামাল দিতেই আগেভাগে ডলারের মজুত বাড়ানোর কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যদিও গত দেড় বছরে এরকম বহু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কমে এসে ঠেকেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমত, যখন যে নীতি নেওয়া উচিত, সেটা নেওয়া হয় না। সব সময়ই বিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আছে। ফলে বিশ্বে যখন মূল্যস্ফীতি কমানোর পদক্ষেপ নিয়ে তা কমানো হয়েছে, তখন বিলম্বিত সিদ্ধান্তের ফলে মূল্যস্ফীতি বিশ্বে কমলেও দেশে কমছে না। একসময় হাত খুলে খরচ করে পরে এসে কড়াকড়ি করা হলেও অসময়ের কারণে এর সুফল নেই।
ডলার-সংকটে বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের মজুত ধরে রাখতে প্রায় বছরজুড়ে আমদানিতে কড়াকড়ি ছিল। এতে আমদানি কমেছে ঠিকই, কিন্তু ডলারের মজুত আর বাড়েনি। বরং কমতে কমতে এমন স্তরে এসে ঠেকেছে যে সামনে বিদেশি ঋণের দায় আর অত্যাবশ্যক পণ্য আমদানির দায় শোধেই কঠিন সংকটে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় আমদানিতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আসছে বাজেটে আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির বিশ্লেষণ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমদানির সঙ্গে দেশের শিল্পোৎপাদন, শুল্ক আয়সহ অর্থনীতির অনেক বিষয় জড়িত। সরকার ডলারের মজুত বাড়াতে আমদানি টেনে ধরলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ—এই ৯ মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে দেশের শিল্পকারখানার উৎপাদন কমে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগের দুই অর্থবছরে শিল্পোৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আমদানিতে কড়াকড়ির কারণে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে। এসব পণ্য সরাসরি বিনিয়োগ ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি কমেছে সাড়ে ২২ শতাংশ। খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৩৪ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য আমদানি কমেছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি-যন্ত্রাংশ আমদানি কমেছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এসব পণ্যের আমদানি কমা মানে অন্য অনেক পণ্যের সরবরাহ কমে যাওয়া। এতে বাজারে পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যায়, উসকে দেয় মূল্যস্ফীতি।
আমদানি কড়াকড়ি করায় যখন পুরো উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থায় সংকট তৈরি হচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে; তখন অর্থ মন্ত্রণালয় আসছে বাজেটে আমদানি আরও কমানোর লক্ষ্য ঠিক করেছে। বলা হচ্ছে, নতুন অর্থবছরে আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ ধরা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, পরের দুই অর্থবছরেও আমদানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরও কমিয়ে ২০২৫-২৬-এ ৯ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরেও তা আরও কমিয়ে ৮ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে মন্থর অর্থনীতি আরও মন্থর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আমদানিতে আরও কড়াকড়ি শিল্পের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানো হলো। এতে শিল্প-ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমেনি। এখন যদি আমদানিতে আরও কড়াকড়ি করা হয়, তবে শিল্পোৎপাদন কমবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে। ডলারের জন্য কড়াকড়ি অথচ তাতে ডলার বাড়েনি, সংকট বেড়েছে। কেউ কেউ ডলারে এলসি কমিয়ে অন্যভাবে ঠিকই ডলার পাঠাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। কাগজে বন্ধ থাকলেও আসলে কোনো কিছুই বন্ধ নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, আগামী অর্থবছরে রিজার্ভকে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ওঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আমদানি কড়াকড়ি করা হচ্ছে। কারণ, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে রাশিয়ার ঋণসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বিদেশি ঋণের বড় বড় কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। ওই চাপ সামাল দিতেই আগেভাগে ডলারের মজুত বাড়ানোর কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যদিও গত দেড় বছরে এরকম বহু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কমে এসে ঠেকেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমত, যখন যে নীতি নেওয়া উচিত, সেটা নেওয়া হয় না। সব সময়ই বিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আছে। ফলে বিশ্বে যখন মূল্যস্ফীতি কমানোর পদক্ষেপ নিয়ে তা কমানো হয়েছে, তখন বিলম্বিত সিদ্ধান্তের ফলে মূল্যস্ফীতি বিশ্বে কমলেও দেশে কমছে না। একসময় হাত খুলে খরচ করে পরে এসে কড়াকড়ি করা হলেও অসময়ের কারণে এর সুফল নেই।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে