নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে দরপতন থেকে বেরই হতে পারছে না পুঁজিবাজার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আটের মধ্যে সাত সপ্তাহেই দরপতন হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
চলমান এই দরপতনকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার প্রতিফলন বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। আর অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, সরকার বা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংস্কার উদ্যোগের কারণে বেকায়দায় পড়ছে কারসাজিকারী এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। তাই সাজা থেকে বাঁচতে পুঁজিবাজারে পতনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘গত দুই-তিন বছরে ফ্লোর প্রাইস এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারকে ধরে রাখা হয়েছে। বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না, সেই কারণে বাজার সংশোধন দেখতে পাচ্ছি।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের পেছনে কারসাজিকারীরা এক জোট হয়ে কলকাঠি নাড়ছেন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কারের মধ্যে বিগত সময়ের অপরাধে যাঁদের শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে, সেই ধরনের গ্রুপ সমন্বিত হয়ে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে। তারা চেষ্টা করে যাবে পুঁজিবাজারে পতন ত্বরান্বিত করে কমিশনকে চাপে ফেলতে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হলো আট সপ্তাহ। এর মধ্যে সাত সপ্তাহেই দরপতন দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই সপ্তাহ পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়। তবে তৃতীয় সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এরপর চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সপ্তাহেও দরপতন অব্যাহত থাকে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইউনূস সরকারের অধীনে প্রথম কর্মদিবস ১১ আগস্ট। তার আগের কর্মদিবস ৮ আগস্ট ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা গত বৃহস্পতিবারে ঠেকেছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ, এই সময়ে ৩৮ কর্মদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার ৭৯৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু বিদায়ী সপ্তাহেই মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
আরও খবর পড়ুন:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে দরপতন থেকে বেরই হতে পারছে না পুঁজিবাজার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আটের মধ্যে সাত সপ্তাহেই দরপতন হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
চলমান এই দরপতনকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার প্রতিফলন বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। আর অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, সরকার বা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংস্কার উদ্যোগের কারণে বেকায়দায় পড়ছে কারসাজিকারী এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। তাই সাজা থেকে বাঁচতে পুঁজিবাজারে পতনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘গত দুই-তিন বছরে ফ্লোর প্রাইস এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারকে ধরে রাখা হয়েছে। বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না, সেই কারণে বাজার সংশোধন দেখতে পাচ্ছি।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের পেছনে কারসাজিকারীরা এক জোট হয়ে কলকাঠি নাড়ছেন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কারের মধ্যে বিগত সময়ের অপরাধে যাঁদের শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে, সেই ধরনের গ্রুপ সমন্বিত হয়ে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে। তারা চেষ্টা করে যাবে পুঁজিবাজারে পতন ত্বরান্বিত করে কমিশনকে চাপে ফেলতে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হলো আট সপ্তাহ। এর মধ্যে সাত সপ্তাহেই দরপতন দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই সপ্তাহ পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়। তবে তৃতীয় সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এরপর চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সপ্তাহেও দরপতন অব্যাহত থাকে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইউনূস সরকারের অধীনে প্রথম কর্মদিবস ১১ আগস্ট। তার আগের কর্মদিবস ৮ আগস্ট ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা গত বৃহস্পতিবারে ঠেকেছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ, এই সময়ে ৩৮ কর্মদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার ৭৯৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু বিদায়ী সপ্তাহেই মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
আরও খবর পড়ুন:
দক্ষিণের বিভাগীয় শহর খুলনায় উদ্বোধন হয়েছে ওয়ালটন কম্পিউটারের নতুন শোরুম ও এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। নগরীর প্রাণকেন্দ্র খান-এ-সবুর রোডে অবস্থিত কম্পিউটার পণ্যের মার্কেট জলিল টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সব ধরনের কম্পিউ
২২ মিনিট আগেশীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে পেরোল চুক্তি সই করেছে জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এ চুক্তি করে প্রাইম ব্যাংক।
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১২ ঘণ্টা আগে