জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রিজার্ভের পতন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আওতাধীন দেশগুলোর আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভে বড় ধাক্কা লেগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকুর বিল সমন্বয়ের পর গতকাল রোববার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বিপিএম–৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দেনার জন্য সংরক্ষিত ৫ দশমিক ০৮ ডলার বাদ দিয়ে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
যেখানে আগামী জুনের জন্য আইএমএফের নির্ধারিত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রিজার্ভ ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের মাধ্যমে মার্চ–এপ্রিল দুই মাসের ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দায় বাবদ ৫ দশমিক ৮ ডলার বাদ দিয়ে এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
সাধারণত আঞ্চলিক আমদানির জন্য আকুর এই পেমেন্ট ব্যবস্থার অধীনে নয়টি সদস্য দেশের—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা হয়। প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়।
সূত্র জানায়, ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির আওতায় আইএমএফ আগামী জুন নাগাদ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করেছে ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। এটিও জুনের মধ্যে পূরণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সবশেষ গত ৮ মে আইএমএফ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রিজার্ভের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ১৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন হলেও তা পূরণ নিয়ে সংশয় থাকবে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রিজার্ভ কমছে। এক মাসে তা বাড়ার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কারণ হিসেবে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যেসব উৎস থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। মাত্র আড়াই বছরে গ্রস রিজার্ভ নেমে আসে ২৩ বিলিয়নের ঘরে। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া ১৩ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভের পতন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আওতাধীন দেশগুলোর আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভে বড় ধাক্কা লেগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকুর বিল সমন্বয়ের পর গতকাল রোববার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বিপিএম–৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দেনার জন্য সংরক্ষিত ৫ দশমিক ০৮ ডলার বাদ দিয়ে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
যেখানে আগামী জুনের জন্য আইএমএফের নির্ধারিত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রিজার্ভ ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের মাধ্যমে মার্চ–এপ্রিল দুই মাসের ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দায় বাবদ ৫ দশমিক ৮ ডলার বাদ দিয়ে এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
সাধারণত আঞ্চলিক আমদানির জন্য আকুর এই পেমেন্ট ব্যবস্থার অধীনে নয়টি সদস্য দেশের—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা হয়। প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়।
সূত্র জানায়, ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির আওতায় আইএমএফ আগামী জুন নাগাদ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করেছে ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। এটিও জুনের মধ্যে পূরণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সবশেষ গত ৮ মে আইএমএফ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রিজার্ভের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ১৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন হলেও তা পূরণ নিয়ে সংশয় থাকবে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রিজার্ভ কমছে। এক মাসে তা বাড়ার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কারণ হিসেবে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যেসব উৎস থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। মাত্র আড়াই বছরে গ্রস রিজার্ভ নেমে আসে ২৩ বিলিয়নের ঘরে। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া ১৩ বিলিয়ন ডলার।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে