নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়েরের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফরেনসিক চিকিৎসক বলছেন, আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরিফের মা আঁখি বেগমের দাবি, মামলা করার কারণেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও তাঁর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর নগরের টিভি গেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মানিকপীরের টিলায় তাঁকে দাফন করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের বাকি তিনটি নীলাফোলা জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
আরিফের মা আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে পূর্বের হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার ছেলেকে একই আসামিরা খুন করেছে। শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই আমার ছেলে খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।’
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের ব্যবহৃত সরকারি নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে আরিফের মা আঁখি বেগমের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ তারিখ নিহত আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ৯-১০টার দিকে আঁখি বেগম একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। এর চার ঘণ্টা পর হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান বিমানবন্দর থানাধীন এলাকা হওয়ায় ওই থানায় মামলা হবে। বাকি সবই শাহপরান থানা এলাকায়।’
পুলিশের গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে গাফিলতি প্রমাণিত হলে বিভাগীয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
নিহত আরিফের বালুচরের বাসায় গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক চিত্র। মা আঁখি বেগম বিলাপ করছেন, পুলিশ রাতেই ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরন মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন।
এ ঘটনার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একাধিক বার হিরন মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরন মাহমুদ নিপু ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি তো নির্বাচনও করিনি। বালুচর এলাকার যাঁরা ওনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, বর্তমানে তাঁরা খুবই অসহায়। ধারাবাহিকভাবে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। নিহত আরিফও ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগেও আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় গত রাতে তাঁর মা শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই হামলা চালায়।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। ভাই হারানোর বেদনা বলে বোঝানো যাবে না। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী আরিফের পরিবারের পাশে আছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়েরের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফরেনসিক চিকিৎসক বলছেন, আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরিফের মা আঁখি বেগমের দাবি, মামলা করার কারণেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও তাঁর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর নগরের টিভি গেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মানিকপীরের টিলায় তাঁকে দাফন করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের বাকি তিনটি নীলাফোলা জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
আরিফের মা আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে পূর্বের হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার ছেলেকে একই আসামিরা খুন করেছে। শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই আমার ছেলে খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।’
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের ব্যবহৃত সরকারি নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে আরিফের মা আঁখি বেগমের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ তারিখ নিহত আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ৯-১০টার দিকে আঁখি বেগম একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। এর চার ঘণ্টা পর হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান বিমানবন্দর থানাধীন এলাকা হওয়ায় ওই থানায় মামলা হবে। বাকি সবই শাহপরান থানা এলাকায়।’
পুলিশের গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে গাফিলতি প্রমাণিত হলে বিভাগীয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
নিহত আরিফের বালুচরের বাসায় গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক চিত্র। মা আঁখি বেগম বিলাপ করছেন, পুলিশ রাতেই ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরন মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন।
এ ঘটনার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একাধিক বার হিরন মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরন মাহমুদ নিপু ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি তো নির্বাচনও করিনি। বালুচর এলাকার যাঁরা ওনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, বর্তমানে তাঁরা খুবই অসহায়। ধারাবাহিকভাবে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। নিহত আরিফও ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগেও আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় গত রাতে তাঁর মা শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই হামলা চালায়।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। ভাই হারানোর বেদনা বলে বোঝানো যাবে না। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী আরিফের পরিবারের পাশে আছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে