সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
‘বর্তমানে যে অবস্থায় আছি, পোলাপাইনরে কেমনে ভাত খাওয়াইমু ওই চিন্তাত পড়ছি। আর ঈদের কাপড় তো এখন আমার লাগি দুঃস্বপ্ন।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কেজাউড়া গ্রামের আয়ন নেছা।
আয়ন নেছা বলেন, ‘আমার পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে ও বৃদ্ধ স্বামীসহ পরিবারের সদস্য মোট ১০ জন। একমাত্র বোরো ফসলই সারা বছরের খাবারের জোগান দিত। বিকল্প কোনো আয় নেই, নেই কোনো সহায়সম্বল। ছোট দুই ছেলে অবুঝ। তাই ঈদ আইতাছে বলে কাপড়ও চাইতাছে। কিন্তু আমার পরিবারে এখন খাবারের জোগান দিতেই হিমশিম খাইতাছি, কাপড় কেমনে দিতাম?
জানা গেছে, আয়ন নেছার মতো হাজারো কৃষক পরিবার এভাবেই দিনাতিপাত করছে। হাওর এলাকায় নেই ঈদের আনন্দ। পাহাড়ি ঢলে নিঃস্ব হওয়া হাওর অধ্যুষিত চার উপজেলার ২২ হাজারের অধিক কৃষকের বেশির ভাগই এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট চৈত্রের অকালবন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব তাহিরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার কৃষক পরিবারের মধ্যে ঈদ এলেও তাঁরা এখন চরম অসহায়।
গত কদিনের টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ১৫টি হাওরের ফসল ভেসে গেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলের কবলে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের চাপতির হাওরের শতভাগ ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ওই হাওরের প্রায় ১৭ হাজার কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের ৭০ ঊর্ধ্ব আইয়ুব আলী ৭ সন্তানের বাবা। সংসারে আছে নাতি-নাতনিও। একমাত্র বোরো ফসলের ওপরই নির্ভরশীল এত বড় সংসার। ফসল হারিয়ে এখন তিনি প্রায় দিশেহারা। একদিকে ঋণের চাপ, অন্যদিকে সন্তান ও নাতি-নাতনিদের ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ার বায়না। সব মিলিয়ে দিশেহারা আইয়ুব আলী।
একই হাওরে চাষাবাদ করেছিলেন উপজেলার বকশিপুর গ্রামের মাসুক মিয়া। ঈদের চিন্তা মাথায় আনতেই পারছেন না। এরই মধ্যে বাচ্চাদের কাপড় দেওয়ার বায়না তো আছেই। ফসল হারিয়ে এখন তাঁর একদিকে চিন্তা ঋণ পরিশোধ, অন্যদিকে চিন্তা সামনের দিন কীভাবে চলবে।
মাসুক মিয়া ও আইয়ুব আলীর মতো হাওরাঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে। উজানের ঢলে দিরাই উপজেলার চাপতির পার্শ্ববর্তী হাওরের কৃষকেরা যখন ফসল তোলা নিয়ে ব্যস্ত, অপর প্রান্তের চাপতির হাওরের কৃষকেরা তখন অসহায়ের মতো চেয়ে আছেন। থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ উপকরণ দেব। একই সঙ্গে জিআর চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আমি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। ত্রাণ এলে তখন আরও দেওয়া হবে।
‘বর্তমানে যে অবস্থায় আছি, পোলাপাইনরে কেমনে ভাত খাওয়াইমু ওই চিন্তাত পড়ছি। আর ঈদের কাপড় তো এখন আমার লাগি দুঃস্বপ্ন।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কেজাউড়া গ্রামের আয়ন নেছা।
আয়ন নেছা বলেন, ‘আমার পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে ও বৃদ্ধ স্বামীসহ পরিবারের সদস্য মোট ১০ জন। একমাত্র বোরো ফসলই সারা বছরের খাবারের জোগান দিত। বিকল্প কোনো আয় নেই, নেই কোনো সহায়সম্বল। ছোট দুই ছেলে অবুঝ। তাই ঈদ আইতাছে বলে কাপড়ও চাইতাছে। কিন্তু আমার পরিবারে এখন খাবারের জোগান দিতেই হিমশিম খাইতাছি, কাপড় কেমনে দিতাম?
জানা গেছে, আয়ন নেছার মতো হাজারো কৃষক পরিবার এভাবেই দিনাতিপাত করছে। হাওর এলাকায় নেই ঈদের আনন্দ। পাহাড়ি ঢলে নিঃস্ব হওয়া হাওর অধ্যুষিত চার উপজেলার ২২ হাজারের অধিক কৃষকের বেশির ভাগই এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট চৈত্রের অকালবন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব তাহিরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার কৃষক পরিবারের মধ্যে ঈদ এলেও তাঁরা এখন চরম অসহায়।
গত কদিনের টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ১৫টি হাওরের ফসল ভেসে গেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলের কবলে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের চাপতির হাওরের শতভাগ ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ওই হাওরের প্রায় ১৭ হাজার কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের ৭০ ঊর্ধ্ব আইয়ুব আলী ৭ সন্তানের বাবা। সংসারে আছে নাতি-নাতনিও। একমাত্র বোরো ফসলের ওপরই নির্ভরশীল এত বড় সংসার। ফসল হারিয়ে এখন তিনি প্রায় দিশেহারা। একদিকে ঋণের চাপ, অন্যদিকে সন্তান ও নাতি-নাতনিদের ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ার বায়না। সব মিলিয়ে দিশেহারা আইয়ুব আলী।
একই হাওরে চাষাবাদ করেছিলেন উপজেলার বকশিপুর গ্রামের মাসুক মিয়া। ঈদের চিন্তা মাথায় আনতেই পারছেন না। এরই মধ্যে বাচ্চাদের কাপড় দেওয়ার বায়না তো আছেই। ফসল হারিয়ে এখন তাঁর একদিকে চিন্তা ঋণ পরিশোধ, অন্যদিকে চিন্তা সামনের দিন কীভাবে চলবে।
মাসুক মিয়া ও আইয়ুব আলীর মতো হাওরাঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে। উজানের ঢলে দিরাই উপজেলার চাপতির পার্শ্ববর্তী হাওরের কৃষকেরা যখন ফসল তোলা নিয়ে ব্যস্ত, অপর প্রান্তের চাপতির হাওরের কৃষকেরা তখন অসহায়ের মতো চেয়ে আছেন। থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ উপকরণ দেব। একই সঙ্গে জিআর চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আমি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। ত্রাণ এলে তখন আরও দেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার ভোরে এ আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৭ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা
৮ ঘণ্টা আগেপাবনা শহরে রাতের আঁধারে তুষার হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের খেয়াঘাট রোডে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগে