মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের অন্যতম। কাগজপত্রে এ সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির আয়তন ১ হাজার ২৫০ হেক্টর হলে বাস্তবে কতটুকু আছে তা জানে না বন বিভাগ। ১৯৯৬ সালে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখনো ভূমি জরিপ হয়নি।
সীমানা চিহ্নিত না থাকায় দীর্ঘ ৩ দশক ধরে এই উদ্যানের অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। ভূমি জরিপ না হওয়ায় উদ্যানের জমি কতটুকু, ও দখল হয়েছে কতটুকু তা নিশ্চিত করতে পারছে না বন বিভাগ।
গত রোববার বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও থানা-পুলিশ হীড বাংলাদেশের পশ্চিমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বেদখল হওয়া প্রায় ৪ একর জমি উদ্ধার করেছে। এর আগে পৃথক অভিযানে বেদখল হওয়া আরও ছয় একর জমি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সীমানা চিহ্নিত না থাকায় উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভূমি পরিমাপ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বনের জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হলে আর কেউ জায়গা দখল করতে পারবে না। একই সঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে সহজ হবে।
পরিবেশকর্মী মো. আহাদ মিয়া বলেন, বনের জায়গা অনেকেই দখল করে বিভিন্ন বাগান করেছেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সঙ্গেও বনের জায়গা দখলে আছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সীমানা নির্ধারণ না থাকায় সহজেই জায়গা দখল হচ্ছে। দ্রুত সময়ে উদ্যানের জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রায় চার একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই জমি বদরুল আলম জেনার নামে একজনের দখলে ছিল। আমরা জমি উদ্ধার করে গাছ লাগিয়েছি। এর আগেও আমরা প্রায় ছয় একর জমি উদ্ধার করেছি। জমি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বন বিভাগের মামলাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া বনের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকায় বনের জমির সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি করা সম্ভব হলে দখল সব জমি উদ্ধার করতে সহজ হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান জরিপ করার জন্য আমরা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। কিছুদিন আগে আবার চিঠির উত্তরের জন্য রিভিউ পাঠিয়েছি। তবে তাদের কাছ থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি। বনের জায়গা জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হলে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সহজ হবে। অনেক সময় উদ্ধার অভিযানে গেলে ব্যক্তি মালিকানার জমি বলে কাগজ ধরিয়ে দেয়। আবার কেউ জায়গা নিয়ে মামলা চলছে বলে জানান।’
তবে সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিমাপের জন্য আমাদের সিলেট অফিসে কোনো চিঠি আসেনি। বন বিভাগ থেকে চিঠি হয়তো ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় একজন ব্যক্তি লাউয়াছড়া বনের জায়গা জরিপ করার জন্য আমাদের কাছে ২০২৩ সালে একটা চিঠি দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের অন্যতম। কাগজপত্রে এ সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির আয়তন ১ হাজার ২৫০ হেক্টর হলে বাস্তবে কতটুকু আছে তা জানে না বন বিভাগ। ১৯৯৬ সালে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখনো ভূমি জরিপ হয়নি।
সীমানা চিহ্নিত না থাকায় দীর্ঘ ৩ দশক ধরে এই উদ্যানের অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। ভূমি জরিপ না হওয়ায় উদ্যানের জমি কতটুকু, ও দখল হয়েছে কতটুকু তা নিশ্চিত করতে পারছে না বন বিভাগ।
গত রোববার বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও থানা-পুলিশ হীড বাংলাদেশের পশ্চিমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বেদখল হওয়া প্রায় ৪ একর জমি উদ্ধার করেছে। এর আগে পৃথক অভিযানে বেদখল হওয়া আরও ছয় একর জমি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সীমানা চিহ্নিত না থাকায় উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভূমি পরিমাপ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বনের জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হলে আর কেউ জায়গা দখল করতে পারবে না। একই সঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে সহজ হবে।
পরিবেশকর্মী মো. আহাদ মিয়া বলেন, বনের জায়গা অনেকেই দখল করে বিভিন্ন বাগান করেছেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সঙ্গেও বনের জায়গা দখলে আছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সীমানা নির্ধারণ না থাকায় সহজেই জায়গা দখল হচ্ছে। দ্রুত সময়ে উদ্যানের জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রায় চার একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই জমি বদরুল আলম জেনার নামে একজনের দখলে ছিল। আমরা জমি উদ্ধার করে গাছ লাগিয়েছি। এর আগেও আমরা প্রায় ছয় একর জমি উদ্ধার করেছি। জমি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বন বিভাগের মামলাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া বনের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকায় বনের জমির সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি করা সম্ভব হলে দখল সব জমি উদ্ধার করতে সহজ হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান জরিপ করার জন্য আমরা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। কিছুদিন আগে আবার চিঠির উত্তরের জন্য রিভিউ পাঠিয়েছি। তবে তাদের কাছ থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি। বনের জায়গা জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হলে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সহজ হবে। অনেক সময় উদ্ধার অভিযানে গেলে ব্যক্তি মালিকানার জমি বলে কাগজ ধরিয়ে দেয়। আবার কেউ জায়গা নিয়ে মামলা চলছে বলে জানান।’
তবে সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিমাপের জন্য আমাদের সিলেট অফিসে কোনো চিঠি আসেনি। বন বিভাগ থেকে চিঠি হয়তো ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় একজন ব্যক্তি লাউয়াছড়া বনের জায়গা জরিপ করার জন্য আমাদের কাছে ২০২৩ সালে একটা চিঠি দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে