প্রতিনিধি, জৈন্তাপুর (সিলেট)
মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হলেও সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবাধে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। প্রতি বাজারে বাজারে বাজারে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ডও। সিএনজি চালিত অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে সর্বশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ২ মে রোববার। ফেরিঘাট এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় জাফলংগামী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ শিশুসহ ঘটনাস্থলে ৫ যাত্রী ও চালকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সকল মহাসড়কে অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। তবে বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে মানা হচ্ছে না সরকারের এ নিয়ম।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের চিকনাগুল, হরিপুর, বাঘের সড়ক, দরবস্ত, সারিঘাট উত্তর ও দক্ষিণপাড়, ফেরিঘাট, জৈন্তাপুর, চাঙ্গীল,৪ নম্বর বাংলাবাজার, আসামপাড়া এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন ধরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, গ্যাস ও ব্যাটারি চালিত টমটম রেখে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে সিলেট শহর, কানাইঘাট, হরিপুর, বাঘের সড়ক, লাফনাউট, গোয়াইনঘাট, দরবস্ত, সারিঘাট, বারহাল, চতুল, জৈন্তাপুর, তামাবিল, জাফলং যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গ্যাস ও ব্যাটারি চালিত টমটম দিয়েও চিকনাগুল, হরিপুর, বাঘেরসড়ক, দরবস্ত, সারিঘাট উত্তর ও দক্ষিণ বাজার, ফেরিঘাট বাজার, জৈন্তাপুর বাজার, চাঙ্গীলবাজার, ৪ নম্বর বাংলা বাজার, আসামপাড়া বাজার এলাকায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর, দরবস্ত, জৈন্তাপুর বাজার এলাকার স্ট্যান্ডগুলোতে নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশার দীর্ঘ সারি প্রতিদিনই দেখা যায়। এসব নম্বর বিহীন অটোরিকশার ১০-১২ জন চালক জানান, নম্বর না থাকলে অথবা নম্বর যুক্ত গাড়ির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কোনো সমস্যা নেই। পুলিশ টোকেনের মাধ্যমে মাসিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পেয়ে যান তাঁরা।
অটোরিকশার যাত্রী মো. হানিফ, নাজমুল, ইসলাম, বেলাল, হুসেন, আহমদ জানান, প্রায়ই সিএনজি করে সিলেট শহর, সিলেট শহর হতে কানাইঘাট, হরিপুর, বাঘের সড়ক, লাফনাউট, গোয়াইনঘাট, দরবস্ত, সারিঘাট, বারহাল, চতুল, জৈন্তাপুর, তামাবিল, জাফলং যাতায়াত করেন। বাস লেগুনার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সিট পাওয়া যায় না। এ জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে যাতায়াত করতে হয়। এতে কিছুটা হলেও সময় বাঁচে। তবে মহাসড়ক দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াতে দুর্ঘটনার শঙ্কা তো রয়েছেই।
হরিপুর বাজারের সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল হক সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লকডাউন থাকায় আমাদের গাড়ি বেশি বের হয়নি। আমরা নম্বর বিহীন ও নম্বর যুক্ত সকল গাড়ি পুলিশ ডিউটি করে। টোকেন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখানে অনেক বিষয় জড়িত আছে। এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
কানাইঘাট-জৈন্তাপুর সার্কেল সিনিয়র এএসপি মো. আব্দুল করিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা টোকেনের ব্যাপারে থানা-পুলিশ জড়িত নয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, টোকেনের মাধ্যমে নম্বর বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। অবৈধ যে কোনো যানবাহন পেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী বলেন, বিধি মোতাবেক আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমি জৈন্তাপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মোট ৮০টি নম্বর বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হলেও সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবাধে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। প্রতি বাজারে বাজারে বাজারে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ডও। সিএনজি চালিত অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে সর্বশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ২ মে রোববার। ফেরিঘাট এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় জাফলংগামী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ শিশুসহ ঘটনাস্থলে ৫ যাত্রী ও চালকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সকল মহাসড়কে অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। তবে বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে মানা হচ্ছে না সরকারের এ নিয়ম।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের চিকনাগুল, হরিপুর, বাঘের সড়ক, দরবস্ত, সারিঘাট উত্তর ও দক্ষিণপাড়, ফেরিঘাট, জৈন্তাপুর, চাঙ্গীল,৪ নম্বর বাংলাবাজার, আসামপাড়া এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন ধরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, গ্যাস ও ব্যাটারি চালিত টমটম রেখে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে সিলেট শহর, কানাইঘাট, হরিপুর, বাঘের সড়ক, লাফনাউট, গোয়াইনঘাট, দরবস্ত, সারিঘাট, বারহাল, চতুল, জৈন্তাপুর, তামাবিল, জাফলং যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গ্যাস ও ব্যাটারি চালিত টমটম দিয়েও চিকনাগুল, হরিপুর, বাঘেরসড়ক, দরবস্ত, সারিঘাট উত্তর ও দক্ষিণ বাজার, ফেরিঘাট বাজার, জৈন্তাপুর বাজার, চাঙ্গীলবাজার, ৪ নম্বর বাংলা বাজার, আসামপাড়া বাজার এলাকায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর, দরবস্ত, জৈন্তাপুর বাজার এলাকার স্ট্যান্ডগুলোতে নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশার দীর্ঘ সারি প্রতিদিনই দেখা যায়। এসব নম্বর বিহীন অটোরিকশার ১০-১২ জন চালক জানান, নম্বর না থাকলে অথবা নম্বর যুক্ত গাড়ির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কোনো সমস্যা নেই। পুলিশ টোকেনের মাধ্যমে মাসিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পেয়ে যান তাঁরা।
অটোরিকশার যাত্রী মো. হানিফ, নাজমুল, ইসলাম, বেলাল, হুসেন, আহমদ জানান, প্রায়ই সিএনজি করে সিলেট শহর, সিলেট শহর হতে কানাইঘাট, হরিপুর, বাঘের সড়ক, লাফনাউট, গোয়াইনঘাট, দরবস্ত, সারিঘাট, বারহাল, চতুল, জৈন্তাপুর, তামাবিল, জাফলং যাতায়াত করেন। বাস লেগুনার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সিট পাওয়া যায় না। এ জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে যাতায়াত করতে হয়। এতে কিছুটা হলেও সময় বাঁচে। তবে মহাসড়ক দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াতে দুর্ঘটনার শঙ্কা তো রয়েছেই।
হরিপুর বাজারের সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল হক সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লকডাউন থাকায় আমাদের গাড়ি বেশি বের হয়নি। আমরা নম্বর বিহীন ও নম্বর যুক্ত সকল গাড়ি পুলিশ ডিউটি করে। টোকেন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখানে অনেক বিষয় জড়িত আছে। এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
কানাইঘাট-জৈন্তাপুর সার্কেল সিনিয়র এএসপি মো. আব্দুল করিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা টোকেনের ব্যাপারে থানা-পুলিশ জড়িত নয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, টোকেনের মাধ্যমে নম্বর বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। অবৈধ যে কোনো যানবাহন পেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী বলেন, বিধি মোতাবেক আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমি জৈন্তাপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মোট ৮০টি নম্বর বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
রাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
৩ মিনিট আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে