নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে আড়াই বছর পর অজ্ঞাত কিশোর (১৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ছাড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিআইডি সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সুজ্ঞান চাকমা।
এসপি সুজ্ঞান চাকমা জানান, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি বিকেলে সিলেটের শাহপরান (র.) এলাকা উত্তর দলইছড়া কাউতলা এলাকায় মোখলেছুর রহমানের বাগানের ছড়া থেকে অজ্ঞাত (১৫) কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক নারী মোখলেছুর রহমানের কেয়ারটেকার মামলার বাদী ফয়েজ আহমদকে জানালে তিনি বাগান মালিক ও স্থানীয় খাদিমপাড়া ইউপির সাবেক সদস্য বদরুল ইসলাম আজাদকে ফোনে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি বাড়ির কেয়ারটেকার ফয়েজ আহমদকে বাদী করে একটি হত্যা মামলা নেয় এসএমপির শাহপরান (র.) থানা-পুলিশ।
সিআইডির এসপি সুজ্ঞান চাকমা বলেন, মামলাটি ক্লুলেস (সূত্রহীন) ছিল। দুই তদন্ত কর্মকর্তার হাত বদলের পর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ২০২২ সালের ২৭ জুলাই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেই সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ শামসুল হাবিবকে।
তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে শামসুল হাবিবের নেতৃত্বে সিআইডির দল প্রথমে নিহত অজ্ঞাত কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হন। নিহত কিশোরের বাবা নগরের ঘাসিটুলার মৃত ধনু মিয়ার ছেলে মো. সেলিমের কাছে ছবি দেখে তাঁর ছেলে শাহরিয়ার ওরফে শাকারিয়ার (১৫) মরদেহ শনাক্ত করেন এবং ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হন।
এরপর ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাধীন সানকিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে ও নগরের ঘাসিটুলা ৭৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা সেলিম আহমদ (২১) এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসানুর (১৭)।
গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরের ঘাসিটুলা ৭৫ নম্বর বাসার সামনে থেকে সেলিম আহমদকে এবং রাত ৯টার দিকে কাজিরবাজার এলাকা থেকে আসানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দা ঘটনাস্থলে পুকুর সেচকালে পেয়ে সংরক্ষণে রেখেছিলেন মামলার বাদী। পরে আসামিদের শনাক্ত মতে সেটি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ‘নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে এ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করি। মূলত আসামিরা একত্রে চলাফেরা ও মাদক সেবন করতেন। এরই জের ধরে শাহরিয়ারকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ৬ জন ঘটনাস্থল দলইপাড়া এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এরপর গ্রেপ্তার সেলিমের দা দিয়ে মাথা, বুকে, পেটে, পিঠে কুপিয়ে ও একাধিক ছুরিকাঘাত করেন। আটকের পর পরই যখন স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসা করছিল তাদের কেন আটক করলেন, তখন তাঁদেরকে বলা হয়, তোমরা বলো, কেন তোমাদের আটক করা হয়েছে? তখন জনসম্মুখে তাঁরা খুনের ঘটনা অকপটে স্বীকার করে এবং ফোনে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে সেটি তদন্ত কর্মকর্তা আমাকেও শুনিয়েছেন।’
এ ছাড়া আসামিদের তথ্যমতে ঘটনাস্থলে পুকুরে আলামত খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জামাল আহমদ একটি দা পান। এরপর তিনি ওই দা পুলিশকে দেখান। তখন পুলিশের কাছে আসামি সেলিম দা শনাক্ত করে এটি নিজের বলে স্বীকার করেন। এই দা দিয়ে কুপিয়েছিলেন বলেও জানান। মূলত শাহরিয়ার উগ্র ছিল, এরআগে সহপাঠীদের কয়েকজনকে নানা কারণে ছুরিকাঘাত করেন। যে কারণে ছোটখাটো দোষের জন্য পরিকল্পিতভাবে শাহরিয়ারকে হত্যা করে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর ৩ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এসপি সুজ্ঞান চাকমা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ শামসুল হাবিব বলেন, ‘খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাঁরা স্বেচ্ছায় ঘটনার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।’
সিলেটে আড়াই বছর পর অজ্ঞাত কিশোর (১৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ছাড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিআইডি সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সুজ্ঞান চাকমা।
এসপি সুজ্ঞান চাকমা জানান, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি বিকেলে সিলেটের শাহপরান (র.) এলাকা উত্তর দলইছড়া কাউতলা এলাকায় মোখলেছুর রহমানের বাগানের ছড়া থেকে অজ্ঞাত (১৫) কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক নারী মোখলেছুর রহমানের কেয়ারটেকার মামলার বাদী ফয়েজ আহমদকে জানালে তিনি বাগান মালিক ও স্থানীয় খাদিমপাড়া ইউপির সাবেক সদস্য বদরুল ইসলাম আজাদকে ফোনে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি বাড়ির কেয়ারটেকার ফয়েজ আহমদকে বাদী করে একটি হত্যা মামলা নেয় এসএমপির শাহপরান (র.) থানা-পুলিশ।
সিআইডির এসপি সুজ্ঞান চাকমা বলেন, মামলাটি ক্লুলেস (সূত্রহীন) ছিল। দুই তদন্ত কর্মকর্তার হাত বদলের পর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ২০২২ সালের ২৭ জুলাই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেই সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ শামসুল হাবিবকে।
তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে শামসুল হাবিবের নেতৃত্বে সিআইডির দল প্রথমে নিহত অজ্ঞাত কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হন। নিহত কিশোরের বাবা নগরের ঘাসিটুলার মৃত ধনু মিয়ার ছেলে মো. সেলিমের কাছে ছবি দেখে তাঁর ছেলে শাহরিয়ার ওরফে শাকারিয়ার (১৫) মরদেহ শনাক্ত করেন এবং ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হন।
এরপর ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাধীন সানকিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে ও নগরের ঘাসিটুলা ৭৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা সেলিম আহমদ (২১) এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসানুর (১৭)।
গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরের ঘাসিটুলা ৭৫ নম্বর বাসার সামনে থেকে সেলিম আহমদকে এবং রাত ৯টার দিকে কাজিরবাজার এলাকা থেকে আসানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দা ঘটনাস্থলে পুকুর সেচকালে পেয়ে সংরক্ষণে রেখেছিলেন মামলার বাদী। পরে আসামিদের শনাক্ত মতে সেটি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ‘নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে এ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করি। মূলত আসামিরা একত্রে চলাফেরা ও মাদক সেবন করতেন। এরই জের ধরে শাহরিয়ারকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ৬ জন ঘটনাস্থল দলইপাড়া এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এরপর গ্রেপ্তার সেলিমের দা দিয়ে মাথা, বুকে, পেটে, পিঠে কুপিয়ে ও একাধিক ছুরিকাঘাত করেন। আটকের পর পরই যখন স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসা করছিল তাদের কেন আটক করলেন, তখন তাঁদেরকে বলা হয়, তোমরা বলো, কেন তোমাদের আটক করা হয়েছে? তখন জনসম্মুখে তাঁরা খুনের ঘটনা অকপটে স্বীকার করে এবং ফোনে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে সেটি তদন্ত কর্মকর্তা আমাকেও শুনিয়েছেন।’
এ ছাড়া আসামিদের তথ্যমতে ঘটনাস্থলে পুকুরে আলামত খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জামাল আহমদ একটি দা পান। এরপর তিনি ওই দা পুলিশকে দেখান। তখন পুলিশের কাছে আসামি সেলিম দা শনাক্ত করে এটি নিজের বলে স্বীকার করেন। এই দা দিয়ে কুপিয়েছিলেন বলেও জানান। মূলত শাহরিয়ার উগ্র ছিল, এরআগে সহপাঠীদের কয়েকজনকে নানা কারণে ছুরিকাঘাত করেন। যে কারণে ছোটখাটো দোষের জন্য পরিকল্পিতভাবে শাহরিয়ারকে হত্যা করে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর ৩ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এসপি সুজ্ঞান চাকমা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ শামসুল হাবিব বলেন, ‘খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাঁরা স্বেচ্ছায় ঘটনার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১২ মিনিট আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে