হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌর সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মা টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় হুমাইয়ুন মিয়া (২৬) নামের এক বিকাশ ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা দোকানের ক্যাশ ভেঙে নগদ প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

হুমাইয়ুন মিয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন মিয়া আজমিরীগঞ্জ বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বিগত কয়েক বছর আগে মা টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ব্যবসার পাশাপাশি দোকানেই রাত্রি যাপন করতেন তিনি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দোকান থেকে বের হলে চার পাচঁজন ডাকাত হুমায়ুন মিয়ার মাথায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

এ সময় আহত হুমায়ুন মিয়া মোবাইলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নাইডগার্ড আবু বক্করকে বিষয়টি অবগত করলে আবু বক্করসহ আরও কয়েকজন পাহারাদার হুমায়ুন মিয়ার দোকানে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এরপর বুধবার সকালে হুমাইয়ুনের স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা নিয়ে যান।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড আবু বক্কর জানান, হুমায়ুন মিয়া রাতে আমাকে ফোন করার পর আমি হেলাল মিয়াসহ আরও কয়েকজন পাহারাদারের সঙ্গে নিয়ে তাঁর দোকানে যাই। তারপর তাঁকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। 

আহত ব্যবসায়ী হুমায়ুন মিয়ার চাচা আবুল কাশেম জানান, আমরা খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ গিয়ে হুমায়ুনকে ঢাকায় নিয়ে আসি। তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাত রয়েছে। হুমায়ুন বলছে ক্যাশে থেকে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।

আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, হুমায়ুন মিয়া একজন বিকাশ ব্যবসায়ী। রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ৯ লাখের অধিক টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ীর স্বজনরা। তবে এটি ডাকাতি কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, হুমায়ুনের বন্ধুবান্ধবরাও টাকার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।