মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
মহান বিজয় দিবসসহ টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের স্রোতোধারা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণে আসেন পর্যটকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের দিন ও আজ শুক্রবার কয়েক লাখ পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এ ছাড়া প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলাবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, আজ শুক্রবার সকাল থেকেই দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তাঁরা মুগ্ধ হন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া ঠাঁই ছিল না এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে। রেস্টুরেন্টগুলোতেও তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
করোনাকালে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকার পর এবারই পর্যটনকেন্দ্রে একসঙ্গে এত লোকসমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশিতে রয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সাদ্দাম মিয়া। তিনি বলেন, টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। পাহাড়, পানি আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখলাম। খুব ভালো লাগল।
কাপড় ব্যবসায়ী শাহ আলম মিয়া বলেন, দুই দিন ধরে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে।
জাফলং ভিউ রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানি আহমেদ বলেন, ‘বিজয় দিবস ও শুক্রবার মিলে অনেক পর্যটক এসেছেন। এই দুই দিন আমাদের রেস্টুরেন্টে খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে। মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশনই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই পর্যটকেরা যাতে খাওয়াধাওয়া করে তৃপ্তি পান, সেই লক্ষ্যে আমরা পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকি।’
জাফলং গ্রিন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবলু বখত বলেন, ‘টানা ছুটিতে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। তাঁদের সেবাদানে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গত কয়েক দিন ধরে আমাদের রিসোর্টসহ স্থানীয় আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোর শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। পর্যটকের এমন সমাগম থাকলে আশা করি সামনের দিনগুলোতেও ব্যবসা-বাণিজ্যের সমৃদ্ধি হবে।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে এখানে কয়েক লাখ লোক বেড়াতে এসেছেন। তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছি। তাঁরা যাতে সতর্কতা অবলম্বন করে ঘোরাফেরা করেন, সেই আহ্বান জানানো হচ্ছে। পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, বছরের দুই ঈদ, বাংলা নববর্ষ বা বিশেষ কোনো উৎসবের দিনে গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রচুরসংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসেন। কিন্তু করোনার পর থেকে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো এখানকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক কমে যায়। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবারের বিজয় দিবসে তিনটি স্পট মিলিয়ে প্রায় কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আর তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব পর্যটকের জন্য টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসসহ টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের স্রোতোধারা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণে আসেন পর্যটকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের দিন ও আজ শুক্রবার কয়েক লাখ পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এ ছাড়া প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলাবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, আজ শুক্রবার সকাল থেকেই দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তাঁরা মুগ্ধ হন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া ঠাঁই ছিল না এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে। রেস্টুরেন্টগুলোতেও তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
করোনাকালে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকার পর এবারই পর্যটনকেন্দ্রে একসঙ্গে এত লোকসমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশিতে রয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সাদ্দাম মিয়া। তিনি বলেন, টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। পাহাড়, পানি আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখলাম। খুব ভালো লাগল।
কাপড় ব্যবসায়ী শাহ আলম মিয়া বলেন, দুই দিন ধরে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে।
জাফলং ভিউ রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানি আহমেদ বলেন, ‘বিজয় দিবস ও শুক্রবার মিলে অনেক পর্যটক এসেছেন। এই দুই দিন আমাদের রেস্টুরেন্টে খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে। মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশনই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই পর্যটকেরা যাতে খাওয়াধাওয়া করে তৃপ্তি পান, সেই লক্ষ্যে আমরা পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকি।’
জাফলং গ্রিন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবলু বখত বলেন, ‘টানা ছুটিতে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। তাঁদের সেবাদানে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গত কয়েক দিন ধরে আমাদের রিসোর্টসহ স্থানীয় আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোর শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। পর্যটকের এমন সমাগম থাকলে আশা করি সামনের দিনগুলোতেও ব্যবসা-বাণিজ্যের সমৃদ্ধি হবে।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে এখানে কয়েক লাখ লোক বেড়াতে এসেছেন। তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছি। তাঁরা যাতে সতর্কতা অবলম্বন করে ঘোরাফেরা করেন, সেই আহ্বান জানানো হচ্ছে। পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, বছরের দুই ঈদ, বাংলা নববর্ষ বা বিশেষ কোনো উৎসবের দিনে গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রচুরসংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসেন। কিন্তু করোনার পর থেকে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো এখানকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক কমে যায়। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবারের বিজয় দিবসে তিনটি স্পট মিলিয়ে প্রায় কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আর তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব পর্যটকের জন্য টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে