শাপলার রাজ্যে মুগ্ধ পর্যটক

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) 
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৮
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৪
সিলেটের জৈন্তাপুরের লাল শাপলার রাজ্যে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সিলেটের জৈন্তাপুরের লাল শাপলার রাজ্য ডিবির হাওর। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের ওই এলাকায় প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে ছুটে আসছে পর্যটকেরা।

সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল, কেন্দ্রী বিলসহ ৯০০ একর এলাকাজুড়ে লাল শাপলার এই রাজ্য। প্রতিবছর শরতের শেষ দিকে শাপলা ফোটে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। লাল শাপলার রাজ্যে হারাতে কয়েক দিন ধরে বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে সুরক্ষা কমিটি করা হয়েছে। নির্ধারিত ফি দিয়ে হাওর ঘুরে কাছ থেকে লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা।

শরতের শেষ দিকে সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল, কেন্দ্রী বিলসহ ৯০০ একর এলাকাজুড়ে ফোটে লাল শাপলা।
শরতের শেষ দিকে সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল, কেন্দ্রী বিলসহ ৯০০ একর এলাকাজুড়ে ফোটে লাল শাপলা।

পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় শাপলা বিল সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা পর্যটকদের বরণ করার অপেক্ষায় আছি। সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় ভ্রমণপিয়াসিদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সিলেটের জৈন্তাপুরের লাল শাপলার রাজ্যে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।
সিলেটের জৈন্তাপুরের লাল শাপলার রাজ্যে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।

অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ডিবির হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা লোকজনও বেশ উচ্ছ্বসিত। পানির ওপর ভেসে থাকা লাল শাপলার গালিচা তাদের মন জয় করে নিয়েছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তৌহিদ বলেন, ‘প্রতিবছর শীতে এখানে ঘুরতে আসি। এখানে এলে মন ভালো হয়ে যায়। প্রকৃতি যে কত সুন্দর, এখানে না এলে বোঝানো যাবে না। তাই পরিবার-পরিজনসহ বেড়াতে এসেছি।’

সিলেট নগরের সোবহানীঘাট থেকে জাফলংগামী বাসে করে যাওয়া যাবে জৈন্তাপুর বাজারে। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সরাসরি চলে যেতে পারবেন এই শাপলার রাজ্যে।
সিলেট নগরের সোবহানীঘাট থেকে জাফলংগামী বাসে করে যাওয়া যাবে জৈন্তাপুর বাজারে। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সরাসরি চলে যেতে পারবেন এই শাপলার রাজ্যে।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘ডিবির হাওরে সব সময় আমাদের টহল টিম থাকে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সদা তৎপর রয়েছি।’

পানির ওপর ভেসে থাকা লাল শাপলার গালিচা মন জয় করে নিয়েছে পর্যটকদের। ডিবির হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন অনেকেই।
পানির ওপর ভেসে থাকা লাল শাপলার গালিচা মন জয় করে নিয়েছে পর্যটকদের। ডিবির হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন অনেকেই।

যেভাবে যাবেন ডিবির হাওরে

সিলেট নগরের সোবহানীঘাট থেকে জাফলংগামী বাসে করে যাওয়া যাবে জৈন্তাপুর বাজারে। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সরাসরি বিলে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বাসভাড়া জনপ্রতি ১০০

টাকা। টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া জৈন্তাপুর বাজার থেকে ৩০ টাকা।

এ ছাড়া সিলেট নগর থেকে সরাসরি বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা লেগুনা রিজার্ভ করেও যাওয়া যাবে ডিবির হাওরে। হাওরে নৌকায় ঘুরতে হলে এক ঘণ্টার জন্য খরচ পড়বে ৪৫০ টাকা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত