রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি প্রণোদনার ১৬৭ বস্তা ধানবীজ ও ১২ বস্তা রাসায়নিক সার উদ্ধারের ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই ধানবীজ ও সার উপজেলা পরিষদের সামনে ও আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। 

ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘ব্যবসায়ীর বাড়িতে খড়ে ঢেকে রাখা ১৫৩ বস্তা প্রণোদনার ধানবীজ উদ্ধার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপরই আজ রোববার গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

ইউএনও নাহিদ তামান্না তিন সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করেছেন, তাতে গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহাকে আহ্বায়ক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল হক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামানকে সদস্য করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইউএনও বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

• ব্যবসায়ীর বাড়িতে খড়ে ঢেকে রাখা ১৫৩ বস্তা প্রণোদনার ধানবীজ উদ্ধার

অপর দিকে, একই দিনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হককে আহ্বায়ক এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক শামিমুর রহমান ও খালেদুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে। এই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ায় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ওরফে ভাঙারি আলমের (৫০) বাড়ি থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৫৩ বস্তা ধানবীজ ও ১ বস্তা পাটবীজ এবং উপজেলা পরিষদ থেকে ১৪ বস্তা ধানবীজ ও ১২ বস্তা রাসায়নিক সার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।