কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উজানের ঢলে দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে জেলার ৯ উপজেলার প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা এসব কথা জানিয়েছে।
এদিকে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে পাউবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমলেও চিলমারী পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সময়ে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি কমতে শুরু করেছে। দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলার পানি সদরের সেতু পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলার ৯ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ি ত্যাগ করে উঁচু স্থান, স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠছে। তবে প্লাবিত এলাকার বেশির ভাগ পরিবার জিনিসপত্র ও গবাদিপশু সরাতে না পারায় ঝুঁকি নিয়ে বসতবাড়িতেই অবস্থান করছে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রামের ১৪ হাজার ৬০টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। এসব পরিবারের ৫৬ হাজার ২৪০ মানুষ পানিবন্দী জীবন যাপন করছেন। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলা। সেখানে ৯টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা আরও জানায়, উপজেলাগুলোতে দুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৫ টন চাল, সাড়ে ৮ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় তা বিতরণ শুরু হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সাদাত বলেন, ‘উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় পুরোটাই প্লাবিত। মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। ত্রাণসহায়তা শুরু করেছি। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।’
আজ ত্রাণসহায়তা নিয়ে দুর্গত এলাকায় বেরিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। সকালে চিলমারী উপজেলা নয়ারহাটে ত্রাণসহায়তা বিতরণ শেষে তিনি নাগেশ্বরী উপজেলায় যান। দিনব্যাপী তিনি দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণসহায়তা বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জেলার ৯ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণসহায়তা বিতরণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়েছে। দুর্গত এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের ত্রাণসহায়তা অব্যাহত থাকবে। পশুখাদ্য যেন ঘাটতি না হয় সে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র স্থিতিশীল থাকলেও দুধকুমার ও ধরলার পানি কমছে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী উজানে বৃষ্টিপাত কমেছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে নদ-নদীর পানি নেমে গিয়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
উজানের ঢলে দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে জেলার ৯ উপজেলার প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা এসব কথা জানিয়েছে।
এদিকে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে পাউবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমলেও চিলমারী পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সময়ে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি কমতে শুরু করেছে। দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলার পানি সদরের সেতু পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলার ৯ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ি ত্যাগ করে উঁচু স্থান, স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠছে। তবে প্লাবিত এলাকার বেশির ভাগ পরিবার জিনিসপত্র ও গবাদিপশু সরাতে না পারায় ঝুঁকি নিয়ে বসতবাড়িতেই অবস্থান করছে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রামের ১৪ হাজার ৬০টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। এসব পরিবারের ৫৬ হাজার ২৪০ মানুষ পানিবন্দী জীবন যাপন করছেন। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলা। সেখানে ৯টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা আরও জানায়, উপজেলাগুলোতে দুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৫ টন চাল, সাড়ে ৮ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় তা বিতরণ শুরু হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সাদাত বলেন, ‘উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় পুরোটাই প্লাবিত। মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। ত্রাণসহায়তা শুরু করেছি। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।’
আজ ত্রাণসহায়তা নিয়ে দুর্গত এলাকায় বেরিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। সকালে চিলমারী উপজেলা নয়ারহাটে ত্রাণসহায়তা বিতরণ শেষে তিনি নাগেশ্বরী উপজেলায় যান। দিনব্যাপী তিনি দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণসহায়তা বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জেলার ৯ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণসহায়তা বিতরণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়েছে। দুর্গত এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের ত্রাণসহায়তা অব্যাহত থাকবে। পশুখাদ্য যেন ঘাটতি না হয় সে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র স্থিতিশীল থাকলেও দুধকুমার ও ধরলার পানি কমছে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী উজানে বৃষ্টিপাত কমেছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে নদ-নদীর পানি নেমে গিয়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
২ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
৬ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৩৩ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৩৬ মিনিট আগে