আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
‘যে সময় বাদাম লাগামো, সে সময় বীজই পাওয়া যায় না, যদিও পাইনো তায়ও আবার ৫ হাজার টাকার বীজ ১০ হাজার দিয়া কিনিয় শ্যালোমেশিন দিয়া জমিত পানি ঢুকি লাগাইনো। কয়েক দিন পর যে খরা শুরু হইল অনেক গাছ মরি গেইছে। এলা যদি ফির বাদাম তোলার সময় হইছে এলা ফির ঝড়ি শুরু হইছে। বাড়ি নিয়া যাবার আগোতেই জমিত অনেক বাদাম পচি গেইল। হামার কৃষকের লাভ আর হইল না। হামারগুলার লাভের ধন পিপঁড়ায় খায়া নেয়।’ আজ শনিবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে এভাবেই কথাগুলো বলেন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপাড়ের বাদামচাষি আমিনুর রহমান।
গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের বিভিন্ন স্থানে এবার বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে দাবদাহে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে বাদামগাছ। এতে চাষিদের মুখে হাসি নেই। কৃষকেরা জানান, দাবদাহে ও পানির সংকটের পরেও যেসব বাদাম গাছ ভালো ছিল, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলার আগেই সেই সব গাছ থেকে অনেকগুলো পচে গেছে। এতে চাষিদের উৎপাদন খরচের টাকাই উঠবে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে বাদাম চাষের পরিমাণ বেশি। কিন্তু তীব্র খরায় খেতেই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে তিস্তাপাড়ে বাদামের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছে কৃষি অফিস।
আজ শনিবার তিস্তা নদীর বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কথা হয় উপজেলার পূর্ব মহিপুর এলাকার বাদামচাষি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই-আড়াই মাস থাকি যে রইদ গেল এই রইদোত বাদামের গাছ পোড়া লাগছিল। এলা ফির টানা বৃষ্টিত বাদাম পচি যায়চোল। বাদাম লাগায় সময় ভাবনো এবার যে বীজের দাম, সারের দাম বাদামত এবার বুঝি কয়টা টাকা পাওয়া যাইবে। কিসের কী, কয়টা টাকা পামো বাহে, এবার বাদাম চাষ করাটাই একবারে লস।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা এলাকার বাদামচাষি সাইদুল বলেন, ‘এবার এমন হইছে, যখন হামার ঝড়ির দরকার তখন ঝড়ি নাই। এলা ঝড়ির দরকার নাই এলা কয়দিন থাকি ফির ঝড়ি হইচোল। ঝড়ি হয়ায় বাদামগুলা পচন আইসেচোল তায় তাড়াতাড়ি তুলি নেইচোল।’
৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক গ্রামের কৃষক রইছুল মিয়া। তিনি জানান, তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। বৃষ্টির অভাবে তাঁর খেত শুকিয়ে বাদাম প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এর পরেও যা পাবেন তা হয়তো তিন থেকে চার মণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদুল হক বলেন, ‘এ বছর গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তিস্তাপাড়ে বাদামের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
‘যে সময় বাদাম লাগামো, সে সময় বীজই পাওয়া যায় না, যদিও পাইনো তায়ও আবার ৫ হাজার টাকার বীজ ১০ হাজার দিয়া কিনিয় শ্যালোমেশিন দিয়া জমিত পানি ঢুকি লাগাইনো। কয়েক দিন পর যে খরা শুরু হইল অনেক গাছ মরি গেইছে। এলা যদি ফির বাদাম তোলার সময় হইছে এলা ফির ঝড়ি শুরু হইছে। বাড়ি নিয়া যাবার আগোতেই জমিত অনেক বাদাম পচি গেইল। হামার কৃষকের লাভ আর হইল না। হামারগুলার লাভের ধন পিপঁড়ায় খায়া নেয়।’ আজ শনিবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে এভাবেই কথাগুলো বলেন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপাড়ের বাদামচাষি আমিনুর রহমান।
গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের বিভিন্ন স্থানে এবার বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে দাবদাহে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে বাদামগাছ। এতে চাষিদের মুখে হাসি নেই। কৃষকেরা জানান, দাবদাহে ও পানির সংকটের পরেও যেসব বাদাম গাছ ভালো ছিল, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলার আগেই সেই সব গাছ থেকে অনেকগুলো পচে গেছে। এতে চাষিদের উৎপাদন খরচের টাকাই উঠবে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে বাদাম চাষের পরিমাণ বেশি। কিন্তু তীব্র খরায় খেতেই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে তিস্তাপাড়ে বাদামের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছে কৃষি অফিস।
আজ শনিবার তিস্তা নদীর বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কথা হয় উপজেলার পূর্ব মহিপুর এলাকার বাদামচাষি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই-আড়াই মাস থাকি যে রইদ গেল এই রইদোত বাদামের গাছ পোড়া লাগছিল। এলা ফির টানা বৃষ্টিত বাদাম পচি যায়চোল। বাদাম লাগায় সময় ভাবনো এবার যে বীজের দাম, সারের দাম বাদামত এবার বুঝি কয়টা টাকা পাওয়া যাইবে। কিসের কী, কয়টা টাকা পামো বাহে, এবার বাদাম চাষ করাটাই একবারে লস।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা এলাকার বাদামচাষি সাইদুল বলেন, ‘এবার এমন হইছে, যখন হামার ঝড়ির দরকার তখন ঝড়ি নাই। এলা ঝড়ির দরকার নাই এলা কয়দিন থাকি ফির ঝড়ি হইচোল। ঝড়ি হয়ায় বাদামগুলা পচন আইসেচোল তায় তাড়াতাড়ি তুলি নেইচোল।’
৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক গ্রামের কৃষক রইছুল মিয়া। তিনি জানান, তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। বৃষ্টির অভাবে তাঁর খেত শুকিয়ে বাদাম প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এর পরেও যা পাবেন তা হয়তো তিন থেকে চার মণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদুল হক বলেন, ‘এ বছর গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তিস্তাপাড়ে বাদামের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
রাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে এরশাদুল হক নামে এক যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে