মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না কর্মজীবী মানুষের। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে শত বিড়ম্বনা পেরিয়ে বাড়ি এসে কর্মক্ষেত্রে ফেরার পথে আবারও বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা। একদিকে ট্রেনের টিকিট অনেকটা সোনার হরিণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে দ্বিগুণ দামেও মিলছে না বাসের টিকিট। দেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মতোই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকায় ঈদ-পরবর্তী যাত্রী-চাপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
ঈদের আনন্দ শেষ হতে-না হতেই আবারও কর্মক্ষেত্রে ফেরার তড়িঘড়িতে পড়ছেন বিড়ম্বনায়। কোথাও টিকিট নেই। ট্রেন ও বাসের টিকিট পাওয়াটা যেন দুর্মূল্য কোনো বস্তু হাতে পাওয়া। পাল্লা দিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। এটা এতটাই যে অনেক যাত্রী টিকিট কালোবাজারিদের হাতে লাঞ্ছিতও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে বাস ও ট্রেনের ছাদে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফেরার চেষ্টা করছেন।
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা এ অঞ্চলের চারটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল। ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের কাছেই সরকারের বড় তিনটি প্রতিষ্ঠান—বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া পাথরখনি। পাশাপাশি ফুলবাড়ী ২৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরও ফুলবাড়ীতে। এ ছাড়া ফুলবাড়ী পৌর শহরের কোল ঘেঁষে রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর, হরিরামপুর ও মোস্তফাপুর ইউনিয়ন, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ও কুশদহ ইউনিয়ন, বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন। এসব এলাকার বাসিন্দারা ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। ফলে সারা বছরে ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে টিকিটের সংকট লেগে থাকে। ঈদের ছুটি শুরু হলে এই সংকট আরও তীব্র হয়।
ফুলবাড়ী রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ১০টি আন্তনগর ট্রেন যাতায়াত করে। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচটি ট্রেন যাতায়াত করলেও ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস নামে তিনটি ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। এ ছাড়া রাজশাহীগামী ট্রেনের মধ্যে রয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ও রূপসা এক্সপ্রেস।
ঢাকাগামী নীলসাগর, একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস—এই তিন ট্রেনের মাত্র ৩৮টি সিট এই টিকিট কাউন্টারের জন্য বরাদ্দ। খুলনাগামী দুটি ট্রেনে ১২টি ও রাজশাহীগামী তিনটি ট্রেনে ৪৫টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নিয়মিত যাতায়াত করলেও ট্রেন দুটির ফুলবাড়ীতে যাত্রাবিরতি নেই। অনেক দিন ধরেই এ স্টেশনে ট্রেন দুটির যাত্রাবিরতি দেওয়ার দাবি করে আসছে এখানকার স্থানীয়রা। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চাহিদার তুলনায় টিকিট বরাদ্দ কম থাকায় এই সুযোগ কাজে লাগায় টিকিট কালোবাজারিরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে চেয়ার-বেঞ্চ দিয়ে স্থানীয় একটি টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট লাইন দিয়ে রেখেছে। এর প্রতিবাদ করায় নুরুজ্জামান নামের এক যাত্রীকে এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। একইভাবে অশ্লীল গালমন্দের শিকার হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম নামের এক সেনা সদস্য।
ট্রেনযাত্রীরা জানান, টিকিট কাউন্টারের সামনে চেয়ার-বেঞ্চ দিয়ে একটি লম্বা লাইন করে রাখে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হলেই তারা আগাম টিকিট নেয়। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে থেকেও টিকিট পায় না সাধারণ যাত্রীরা।
এ বিষয়ে স্টেশনমাস্টার ইসরাফিল আলম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে স্টেশনের বুকিং সহকারী রায়হান মিয়া জানান, ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো টিকিট নাই। সব টিকিট আগাম বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ঈদুল ফিতরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে কয়েকজন টিকিট কালোবাজারিকে জরিমানা করেছিলাম। আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।’
এদিকে দ্বিগুণ দাম দিয়েও টিকিট মিলছে না দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে। সেখানে আন্তজেলা বাস ভাড়া নিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে অনেককে। বিভিন্ন বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দের টিকিট আগাম বিক্রি হওয়ায় এখন হাতে টিকিট নেই। এ কারণে বাস রিজার্ভ করে যাত্রীদের সিট দেওয়া হচ্ছে। তাই ভাড়া একটু বেশি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না কর্মজীবী মানুষের। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে শত বিড়ম্বনা পেরিয়ে বাড়ি এসে কর্মক্ষেত্রে ফেরার পথে আবারও বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা। একদিকে ট্রেনের টিকিট অনেকটা সোনার হরিণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে দ্বিগুণ দামেও মিলছে না বাসের টিকিট। দেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মতোই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকায় ঈদ-পরবর্তী যাত্রী-চাপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
ঈদের আনন্দ শেষ হতে-না হতেই আবারও কর্মক্ষেত্রে ফেরার তড়িঘড়িতে পড়ছেন বিড়ম্বনায়। কোথাও টিকিট নেই। ট্রেন ও বাসের টিকিট পাওয়াটা যেন দুর্মূল্য কোনো বস্তু হাতে পাওয়া। পাল্লা দিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। এটা এতটাই যে অনেক যাত্রী টিকিট কালোবাজারিদের হাতে লাঞ্ছিতও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে বাস ও ট্রেনের ছাদে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফেরার চেষ্টা করছেন।
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা এ অঞ্চলের চারটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল। ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের কাছেই সরকারের বড় তিনটি প্রতিষ্ঠান—বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া পাথরখনি। পাশাপাশি ফুলবাড়ী ২৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরও ফুলবাড়ীতে। এ ছাড়া ফুলবাড়ী পৌর শহরের কোল ঘেঁষে রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর, হরিরামপুর ও মোস্তফাপুর ইউনিয়ন, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ও কুশদহ ইউনিয়ন, বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন। এসব এলাকার বাসিন্দারা ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। ফলে সারা বছরে ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে টিকিটের সংকট লেগে থাকে। ঈদের ছুটি শুরু হলে এই সংকট আরও তীব্র হয়।
ফুলবাড়ী রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ১০টি আন্তনগর ট্রেন যাতায়াত করে। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচটি ট্রেন যাতায়াত করলেও ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস নামে তিনটি ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। এ ছাড়া রাজশাহীগামী ট্রেনের মধ্যে রয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ও রূপসা এক্সপ্রেস।
ঢাকাগামী নীলসাগর, একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস—এই তিন ট্রেনের মাত্র ৩৮টি সিট এই টিকিট কাউন্টারের জন্য বরাদ্দ। খুলনাগামী দুটি ট্রেনে ১২টি ও রাজশাহীগামী তিনটি ট্রেনে ৪৫টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নিয়মিত যাতায়াত করলেও ট্রেন দুটির ফুলবাড়ীতে যাত্রাবিরতি নেই। অনেক দিন ধরেই এ স্টেশনে ট্রেন দুটির যাত্রাবিরতি দেওয়ার দাবি করে আসছে এখানকার স্থানীয়রা। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চাহিদার তুলনায় টিকিট বরাদ্দ কম থাকায় এই সুযোগ কাজে লাগায় টিকিট কালোবাজারিরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে চেয়ার-বেঞ্চ দিয়ে স্থানীয় একটি টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট লাইন দিয়ে রেখেছে। এর প্রতিবাদ করায় নুরুজ্জামান নামের এক যাত্রীকে এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। একইভাবে অশ্লীল গালমন্দের শিকার হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম নামের এক সেনা সদস্য।
ট্রেনযাত্রীরা জানান, টিকিট কাউন্টারের সামনে চেয়ার-বেঞ্চ দিয়ে একটি লম্বা লাইন করে রাখে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হলেই তারা আগাম টিকিট নেয়। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে থেকেও টিকিট পায় না সাধারণ যাত্রীরা।
এ বিষয়ে স্টেশনমাস্টার ইসরাফিল আলম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে স্টেশনের বুকিং সহকারী রায়হান মিয়া জানান, ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো টিকিট নাই। সব টিকিট আগাম বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ঈদুল ফিতরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে কয়েকজন টিকিট কালোবাজারিকে জরিমানা করেছিলাম। আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।’
এদিকে দ্বিগুণ দাম দিয়েও টিকিট মিলছে না দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে। সেখানে আন্তজেলা বাস ভাড়া নিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে অনেককে। বিভিন্ন বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দের টিকিট আগাম বিক্রি হওয়ায় এখন হাতে টিকিট নেই। এ কারণে বাস রিজার্ভ করে যাত্রীদের সিট দেওয়া হচ্ছে। তাই ভাড়া একটু বেশি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে