চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা। তাঁর স্বামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় (জামুকা) তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে আ. লতিফ সরকার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮-১৯। তিনি কুড়িগ্রামের চিলমারীর রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারমারী গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী সরকার ও মৃত নছমান বেওয়ার মেজ ছেলে ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে সারা দেশে শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়ন আর বাংলার মাটিতে দখলের যুদ্ধ। মা-বোনদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালাত পাকিস্তানি নরপিশাচরা। চারদিক থেকে ভেসে আসত শুধু গোলাগুলির শব্দ। নিজেকে আর সংবরণ করতে পারেননি আ. লতিফ সরকার।
বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছায় বের হয়ে যান দেশমাতৃকার সম্ভ্রম রক্ষার্থে। মুক্তিযুদ্ধের জন্য দেশকে স্বাধীন করার ইচ্ছা লালন করে নদীপাড় হয়ে রৌমারীতে যুদ্ধে লিপ্ত হন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এসএসসি পাস করা আ. লতিফ সরকার ১৯৮৫ সালে ঢাকার সেনানিবাসে এমইএসএতে যোগদান করেন।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রুবী) বলেন, ‘আমার স্বামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় (জামুকা) তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সেনাবাহিনীর এমইএসএ সেক্টরে চাকরি নেন এবং দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে চাকরি করার কারণে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিবার্তা ও চূড়ান্ত গেজেটে তালিকাভুক্ত হতে পারেন নাই। এ কারণে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁর মৃত্যু হওয়ায় আমি মহিলা মানুষ হিসেবে কোথাও যোগাযোগ করতে পারিনি।’
আ. লতিফ সরকারর স্ত্রী আরও বলেন, ‘চাকরিরত অবস্থায় হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করায় আমি দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
আ. লতিফের ছেলে ফরহাদ সোবাহান স্বাদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারের কাছে একটাই দাবি, যেন আমার বাবা প্রয়াত আ. লতিফকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যাতে আমরা এই দেশের মাটিতে মাথা উঁচু করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে পারি।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চিলমারী উপজেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মেদ বলেন, ‘প্রয়াত আ. লতিফ সরকার একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আমি তাঁকে চিনি।’
একই কথা বলেন তৎকালীন রৌমারী হাইস্কুল ক্যাম্পের প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন মর্মে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন (গেজেট নম্বর ১৬৪৯), বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস উদ্দিন (গেজেট নম্বর ১৬৫৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা খতিব উদ্দিনসহ (চূড়ান্ত গেজেট নম্বর-১৬৫৯) আরও অনেকে স্বীকারোক্তি দেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা। তাঁর স্বামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় (জামুকা) তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে আ. লতিফ সরকার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮-১৯। তিনি কুড়িগ্রামের চিলমারীর রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারমারী গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী সরকার ও মৃত নছমান বেওয়ার মেজ ছেলে ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে সারা দেশে শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়ন আর বাংলার মাটিতে দখলের যুদ্ধ। মা-বোনদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালাত পাকিস্তানি নরপিশাচরা। চারদিক থেকে ভেসে আসত শুধু গোলাগুলির শব্দ। নিজেকে আর সংবরণ করতে পারেননি আ. লতিফ সরকার।
বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছায় বের হয়ে যান দেশমাতৃকার সম্ভ্রম রক্ষার্থে। মুক্তিযুদ্ধের জন্য দেশকে স্বাধীন করার ইচ্ছা লালন করে নদীপাড় হয়ে রৌমারীতে যুদ্ধে লিপ্ত হন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এসএসসি পাস করা আ. লতিফ সরকার ১৯৮৫ সালে ঢাকার সেনানিবাসে এমইএসএতে যোগদান করেন।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রুবী) বলেন, ‘আমার স্বামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় (জামুকা) তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সেনাবাহিনীর এমইএসএ সেক্টরে চাকরি নেন এবং দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে চাকরি করার কারণে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিবার্তা ও চূড়ান্ত গেজেটে তালিকাভুক্ত হতে পারেন নাই। এ কারণে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁর মৃত্যু হওয়ায় আমি মহিলা মানুষ হিসেবে কোথাও যোগাযোগ করতে পারিনি।’
আ. লতিফ সরকারর স্ত্রী আরও বলেন, ‘চাকরিরত অবস্থায় হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করায় আমি দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
আ. লতিফের ছেলে ফরহাদ সোবাহান স্বাদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারের কাছে একটাই দাবি, যেন আমার বাবা প্রয়াত আ. লতিফকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যাতে আমরা এই দেশের মাটিতে মাথা উঁচু করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে পারি।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চিলমারী উপজেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মেদ বলেন, ‘প্রয়াত আ. লতিফ সরকার একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আমি তাঁকে চিনি।’
একই কথা বলেন তৎকালীন রৌমারী হাইস্কুল ক্যাম্পের প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরকারের সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন মর্মে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন (গেজেট নম্বর ১৬৪৯), বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস উদ্দিন (গেজেট নম্বর ১৬৫৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা খতিব উদ্দিনসহ (চূড়ান্ত গেজেট নম্বর-১৬৫৯) আরও অনেকে স্বীকারোক্তি দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লুৎফল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মাছের প্রজেক্ট দেখতে যাচ্ছিলাম। আজমপুর রেলওয়ে কলোনি মসজিদের সামনে দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর আরও ৪-৫ জন যুবক এসে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে স্বপন স্বাধীনকে লম্বা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। বিষয়টি তাৎক্
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর এত ভরসা করত, কিন্তু তাদের খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম
১ ঘণ্টা আগেতিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগে