আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় মাঠের পর মাঠ আমন ধানের সবুজ সমারোহ। জেলার অনেক এলাকায় আমন ধানের শিষ উঁকি দিয়ে বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। যেসব এলাকার জমি নিচু, সেখানে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হচ্ছে। ইদানীং বৃষ্টি হওয়ায় ইঁদুরের উপদ্রব তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে।
বিভিন্ন উপজেলার আমন ধানের খেত ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে এতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন। তবুও কোনো কাজে আসছে না। খেতে ইঁদুরের হানা দেওয়া ধানের গাছ দেখে মনে হবে কেউ কাঁচি দিয়ে কেটে রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবন-জীবিকার জন্য জেলা অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্য অন্যতম ফসল হচ্ছে ধান। কৃষকেরা ধান ঘরে তুলে তাঁদের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। রোপা ইরি ধানের তুলনায় কম খরচে লাভজনক ফসল হচ্ছে আমন ধান। জলবায়ু পরিবর্তনে খরা আর বন্যাসহ নানা প্রতিকূল পেরিয়ে ঘরে ধান তুলতে বুকভরা আশা বেঁধে ছিলেন কৃষকেরা।
কিন্তু বিধিবাম! বেশ কিছু মাঠে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ পাতা ব্লাস্ট বা খোলপচা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে রেহাই পেতে না পেতেই দেখা দিয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। ধানগাছ কেটে সাবাড় করছে ইঁদুরের দল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ধানখেত নষ্ট হওয়া মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
কৃষকদের দাবি, ফসলহানি হওয়ার সময় মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ পান না তাঁরা। অনেক এলাকায় কৃষি উপসহকারীদের বছরের পর বছর দেখাই মেলে না। অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের কিছু রাজনৈতিক ও যাঁদের জমির পরিমাণ বেশি—তাঁদের খুব সহজেই পরামর্শ দেন। অন্য কৃষকদের ফসলের পরামর্শের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা মেলে ভাগ্যের ব্যাপার।
সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক জাকিরুল ইসলাম বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এ থেকে ভালো ফলন ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছিলেন। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে তাঁর। আরেক কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না তিনি। বাধ্য হয়ে বাঁশের ডোঙ্গার ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, খুব বেশি পরিমাণ খেতে ইঁদুরের আক্রমণ নেই। কিছু কিছু খেতে সামান্য আক্রমণ করেছে। এসব ইঁদুর নিধনে বিষ টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষক আফজল হোসেন বলেন, তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন ধানের শিষ বের হচ্ছে। এ অবস্থায় খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ওষুধ ছিটিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন। বাতাসে কাগজ উড়ার শব্দে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরেক কৃষক ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘নানা কৌশল অবলম্বন করেও ইঁদুরের হাত থেকে রোপা আমন রক্ষা করা যাচ্ছে না। এখন ফলন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোপা আমনখেতে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্য এর সমাধান হয়ে যাবে।’
গাইবান্ধায় মাঠের পর মাঠ আমন ধানের সবুজ সমারোহ। জেলার অনেক এলাকায় আমন ধানের শিষ উঁকি দিয়ে বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। যেসব এলাকার জমি নিচু, সেখানে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হচ্ছে। ইদানীং বৃষ্টি হওয়ায় ইঁদুরের উপদ্রব তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে।
বিভিন্ন উপজেলার আমন ধানের খেত ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে এতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন। তবুও কোনো কাজে আসছে না। খেতে ইঁদুরের হানা দেওয়া ধানের গাছ দেখে মনে হবে কেউ কাঁচি দিয়ে কেটে রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবন-জীবিকার জন্য জেলা অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্য অন্যতম ফসল হচ্ছে ধান। কৃষকেরা ধান ঘরে তুলে তাঁদের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। রোপা ইরি ধানের তুলনায় কম খরচে লাভজনক ফসল হচ্ছে আমন ধান। জলবায়ু পরিবর্তনে খরা আর বন্যাসহ নানা প্রতিকূল পেরিয়ে ঘরে ধান তুলতে বুকভরা আশা বেঁধে ছিলেন কৃষকেরা।
কিন্তু বিধিবাম! বেশ কিছু মাঠে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ পাতা ব্লাস্ট বা খোলপচা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে রেহাই পেতে না পেতেই দেখা দিয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। ধানগাছ কেটে সাবাড় করছে ইঁদুরের দল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ধানখেত নষ্ট হওয়া মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
কৃষকদের দাবি, ফসলহানি হওয়ার সময় মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ পান না তাঁরা। অনেক এলাকায় কৃষি উপসহকারীদের বছরের পর বছর দেখাই মেলে না। অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের কিছু রাজনৈতিক ও যাঁদের জমির পরিমাণ বেশি—তাঁদের খুব সহজেই পরামর্শ দেন। অন্য কৃষকদের ফসলের পরামর্শের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা মেলে ভাগ্যের ব্যাপার।
সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক জাকিরুল ইসলাম বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এ থেকে ভালো ফলন ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছিলেন। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে তাঁর। আরেক কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না তিনি। বাধ্য হয়ে বাঁশের ডোঙ্গার ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, খুব বেশি পরিমাণ খেতে ইঁদুরের আক্রমণ নেই। কিছু কিছু খেতে সামান্য আক্রমণ করেছে। এসব ইঁদুর নিধনে বিষ টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষক আফজল হোসেন বলেন, তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন ধানের শিষ বের হচ্ছে। এ অবস্থায় খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ওষুধ ছিটিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন। বাতাসে কাগজ উড়ার শব্দে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরেক কৃষক ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘নানা কৌশল অবলম্বন করেও ইঁদুরের হাত থেকে রোপা আমন রক্ষা করা যাচ্ছে না। এখন ফলন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোপা আমনখেতে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্য এর সমাধান হয়ে যাবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে