আরিফুল ইসলাম রিগান ও আমিনুল ইসলাম (ফুলবাড়ী) কুড়িগ্রাম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও তাঁদের অনেকের বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্বল্প পরিসরে হলেও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
সদ্য বিদায়ী সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে দলবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপর ‘জুলুম-নিপীড়ন’ করেছেন এমন নেতা-কর্মীরা আক্রোশের শিকার হয়েছেন বেশি। হামলার শিকার হয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী এবং তাঁদের পরিবারও। তবে রাজনৈতিক আক্রোশের জেরে ঘটা হামলাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে ‘সংখ্যালঘুর ওপর হামলা’ বলে দাবি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক তালিকায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারি গ্রামের মনোরঞ্জন সেন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। সরেজমিনে মনোরঞ্জন সেনের বাড়িতে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে মনোরঞ্জন সেনের ছোট ভাই চিত্তরঞ্জন সেনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়ির কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়।
গত বুধবার দুপুরে রাবাইতারি গ্রামে মনোরঞ্জন সেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। মনোরঞ্জনের পুত্রবধূ লাবন সরকার মানসী বলেন, ‘ঘটনার দিন বাবা (শ্বশুর) বাড়িতে ছিলেন না। চাচাশ্বশুরের (চিত্তরঞ্জন সেনের) বাড়িতে হামলা করার সময় আমাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছিল। ঢিলে একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। কিন্তু শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জানার পর আর কেউ হামলা করেনি।’
হামলা ও ভাঙচুরের শিকার চিত্তরঞ্জন সেন জানান, ‘৫ আগস্ট বিকেলে বিএনপি সমর্থক এলাকার কিছু লোক, যাদের বেশির ভাগই ছেলেপেলে, বাড়িতে হামলা করে। কিছুক্ষণ ভাঙচুর করার পর আমি তাদের অনুরোধ করি আর ভাঙচুর না করতে। তখন তারা চলে যায়। আমাদের গ্রামে আরও কয়েকটি পরিবারে হামলা হয়েছে। তবে তারা মুসলিম পরিবার।’
কেন হামলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না—এমন প্রশ্নে চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘কেন হামলা করেছে আমি জানি না। আমি কৃষক মানুষ, রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগে ভোট দিই। আমার ছেলে শুভ্রজিৎ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিল। তবে সে ২০২২ সালে ইস্তফা দেয়। আক্রোশ আমার ছেলের ওপর, নাকি আমার ওপর সেটা জানি না।’
চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘বাড়িতে শুধু আমি ছিলাম। তাঁরা আমার ওপর হামলা করেনি। আমি অনুরোধ করেছিলাম ভাঙচুর না করার।
পরে তাঁরা চলে গেছে। আমার দোকানেও হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির লোকজন তা হতে দেয়নি। পরে তাঁদের সহায়তায় দোকান খুলেছি।’
রাবাইতারি গ্রামে ২০০ থেকে ৩০০ হিন্দু পরিবারের বসবাস। চিত্তরঞ্জন সেনের বাড়িতে হামলা হলেও তাঁর প্রতিবেশী অন্য কোনো হিন্দু পরিবার হামলার শিকার হয়নি। একই গ্রামে হামলার শিকার হয়েছেন দিনমজুর আব্দুস ছামাদ ও নজির হোসেন। সামাদের ছেলে রাসেল ও নজিরের ছেলে সবুজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। মূলত ছেলেদের রাজনৈতিক আদর্শের কারণে এই পরিবারগুলো প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, এসব হামলা রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক নয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় শুধু একটি হিন্দু পরিবার হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। সেটা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, রাজনৈতিক কারণে হামলা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো প্রতিমা ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
‘এই হামলাকে সাম্প্রদায়িক বা সংখ্যালঘুর ওপর হামলা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমি স্থানীয় প্রশাসনকেও একই মত দিয়েছি। তবে আমরা কোনো ধরনের হামলাকেই সমর্থন করি না। রাজনৈতিক হামলাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে কেউ ফায়দা হাসিল করতে চাইলে তার নিন্দা জানাই।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও তাঁদের অনেকের বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্বল্প পরিসরে হলেও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
সদ্য বিদায়ী সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে দলবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপর ‘জুলুম-নিপীড়ন’ করেছেন এমন নেতা-কর্মীরা আক্রোশের শিকার হয়েছেন বেশি। হামলার শিকার হয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী এবং তাঁদের পরিবারও। তবে রাজনৈতিক আক্রোশের জেরে ঘটা হামলাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে ‘সংখ্যালঘুর ওপর হামলা’ বলে দাবি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক তালিকায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারি গ্রামের মনোরঞ্জন সেন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। সরেজমিনে মনোরঞ্জন সেনের বাড়িতে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে মনোরঞ্জন সেনের ছোট ভাই চিত্তরঞ্জন সেনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়ির কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়।
গত বুধবার দুপুরে রাবাইতারি গ্রামে মনোরঞ্জন সেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। মনোরঞ্জনের পুত্রবধূ লাবন সরকার মানসী বলেন, ‘ঘটনার দিন বাবা (শ্বশুর) বাড়িতে ছিলেন না। চাচাশ্বশুরের (চিত্তরঞ্জন সেনের) বাড়িতে হামলা করার সময় আমাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছিল। ঢিলে একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। কিন্তু শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জানার পর আর কেউ হামলা করেনি।’
হামলা ও ভাঙচুরের শিকার চিত্তরঞ্জন সেন জানান, ‘৫ আগস্ট বিকেলে বিএনপি সমর্থক এলাকার কিছু লোক, যাদের বেশির ভাগই ছেলেপেলে, বাড়িতে হামলা করে। কিছুক্ষণ ভাঙচুর করার পর আমি তাদের অনুরোধ করি আর ভাঙচুর না করতে। তখন তারা চলে যায়। আমাদের গ্রামে আরও কয়েকটি পরিবারে হামলা হয়েছে। তবে তারা মুসলিম পরিবার।’
কেন হামলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না—এমন প্রশ্নে চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘কেন হামলা করেছে আমি জানি না। আমি কৃষক মানুষ, রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগে ভোট দিই। আমার ছেলে শুভ্রজিৎ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিল। তবে সে ২০২২ সালে ইস্তফা দেয়। আক্রোশ আমার ছেলের ওপর, নাকি আমার ওপর সেটা জানি না।’
চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘বাড়িতে শুধু আমি ছিলাম। তাঁরা আমার ওপর হামলা করেনি। আমি অনুরোধ করেছিলাম ভাঙচুর না করার।
পরে তাঁরা চলে গেছে। আমার দোকানেও হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির লোকজন তা হতে দেয়নি। পরে তাঁদের সহায়তায় দোকান খুলেছি।’
রাবাইতারি গ্রামে ২০০ থেকে ৩০০ হিন্দু পরিবারের বসবাস। চিত্তরঞ্জন সেনের বাড়িতে হামলা হলেও তাঁর প্রতিবেশী অন্য কোনো হিন্দু পরিবার হামলার শিকার হয়নি। একই গ্রামে হামলার শিকার হয়েছেন দিনমজুর আব্দুস ছামাদ ও নজির হোসেন। সামাদের ছেলে রাসেল ও নজিরের ছেলে সবুজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। মূলত ছেলেদের রাজনৈতিক আদর্শের কারণে এই পরিবারগুলো প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, এসব হামলা রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক নয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় শুধু একটি হিন্দু পরিবার হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। সেটা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, রাজনৈতিক কারণে হামলা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো প্রতিমা ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
‘এই হামলাকে সাম্প্রদায়িক বা সংখ্যালঘুর ওপর হামলা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমি স্থানীয় প্রশাসনকেও একই মত দিয়েছি। তবে আমরা কোনো ধরনের হামলাকেই সমর্থন করি না। রাজনৈতিক হামলাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে কেউ ফায়দা হাসিল করতে চাইলে তার নিন্দা জানাই।’
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২৩ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
৩৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগে