আবু সাঈদ হত্যায় সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নামে মামলা

রংপুর ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ৪১

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। 

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজহাট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন রমজান আলী। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ তাজহাট থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

মামলায় আসামি করা পুলিশ সদস্যরা হলেন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। 

মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায় ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। 

আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলাম। আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর আমরা ডিসিশনগুলো নিতেই দেরি করছি। ১৭ জন ছাড়াও আরও ৩৫ জনের মতো অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।’ 

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।’

এর আগে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় বাদী হয়ে তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ দুই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। 

আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হয়। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি শুরু করে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত