পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। অথচ তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলামের ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র ৯৪৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন তিনি। ন্যূনতম ভোট না পাওয়ায় তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

আজ সোমবার বিকেলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর। 

নজরুল ইসলাম ৩ নম্বর পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর এই ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া গ্রামে বর্তমান সাংসদ মজাহারুল হকের বাড়ি। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে মোট ১৬ হাজার ৪২১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪২৯ ভোট বাতিল হয়েছে। ৬ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আল ইমরান মোটরসাইকেল প্রতীকে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দলটির আরেক বিদ্রোহী সিরাজুল ইসলাম। তিনি আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৮৭১ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিয়ার রহমান। তিনি চশমা প্রতীকে ২ হাজার ২৩৮টি ভোট পেয়েছেন। 

পঞ্চগড় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, বৈধ ও বাতিল মোট ভোটসংখ্যাকে আট ভাগ করে এক ভাগের কম হলে প্রার্থীর জামানত বাতিল বলে গণ্য হবে। সে হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

গতকাল রোববার পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০টি এবং আটোয়ারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকের ছয়জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী (নৌকার বিদ্রোহী) জয়ী হয়েছেন তিন ইউপিতে। আর দুই ইউনিয়নে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। দুই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হয়ে স্থানীয় জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী, একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং একটিতে স্থানীয় জাসদ-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।