ময়মনসিংহে স্বামী হত্যা মামলায় প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদন্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫৪
ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদন্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জজ আলী মনসুর এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন–জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ভিকটিমের স্ত্রী মোছা সাবিনা খাতুন (৩৩) ও তার পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলী (৩৬)।

আদালত পরিদর্শক (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জজ আলী মনসুর আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন বিচারক।’

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবিনা খাতুন একই এলাকার লিয়াকত আলীর ঢাকার বাসায় থেকে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকে লিয়াকত তার স্ত্রীর অগোচরে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে করোনার সময় ২০২১ সালে লিয়াকত সপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গোরকপুরে ফিরে আসেন। সাবিনা খাতুনও ঢাকা থেকে ফিরে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।

অপরদিকে, একই গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম হজরত আলীর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর একাই ছিলেন। পরে সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে হজরত আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনা খাতুনের। সংসার করার সময় প্রায়ই লিয়াকত আলী হজরত আলীর বাড়িতে যাতায়াত করে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন।

ঘটনার মাসখানেক আগে হজরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে উভয়কে গালমন্দ করেন। এ রকম অবস্থায় অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথে হজরত আলীকে বাধা মনে করেন তারা। পরে উভয়ে হজরত আলীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন।

ঘটনার দিন ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাবিনা খাতুন মোবাইলে হজরত আলীকে আসামি মো. লিয়াকত আলীর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওই দিন রাতে হজরত আলী গোরকপুর বাজারে লিয়াকতের সঙ্গে দেখা করলে কৌশলে কুতিকুড়া আঁতলা বিলে নিয়ে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুতে রাখে এবং হজরত আলীকে হত্যার বিষয়টি মোবাইলে সাবিনাকে জানায় লিয়াকত। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এই মামলার রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন–সহকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট শামীমুল আজম খান লিছন ও বিবাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আকবর আলী খান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

ছাত্র সমন্বয়ক আম্মারের শাস্তি চায় রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ সংগঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত