রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভুলে অস্ত্রোপচারের সময় এক রোগীকে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়। ঘটনার ১৮ দিন পর আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন নিহত ফাতেমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম। ফাতেমা স্বামী সন্তান নিয়ে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা থাকতেন। গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবকসে তাঁর লাশ সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।
রমেক ও ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ জুন অস্ত্রোপচারের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ফাতেমা। রোগীকে ট্রান্সমিশন বিভাগে নিয়ে পরীক্ষার পর জানানো হয়, তাঁর রক্তের গ্রুপ ‘এ’ পজিটিভ। এরপর স্বজনেরা ‘এ’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ক্রস ম্যাচ করে নিশ্চিত করে, রক্তের গ্রুপ ঠিক আছে।
২২ জুন ফাতেমার জরায়ুর অস্ত্রোপচার হয়। এক ব্যাগ রক্ত শরীরে যাওয়ার পরপরই রক্তক্ষরণ, শরীর ফুলে যাওয়া, খিঁচুনিসহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয় তাঁর। কারণ জানতে না পেরে পরদিন চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, আবার অস্ত্রোপচার করবেন।
তাই আবার স্বজনদের রক্ত সংগ্রহ করতে বলা হয়। স্বজনেরা এবারও তিন ব্যাগ ‘এ’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করেন। কিন্তু এবার আর ক্রস ম্যাচ হয়নি। এতে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। এরপর হাসপাতাল ও বাইরে থেকে ফাতেমার রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, তাঁর রক্তের গ্রুপ আসলে ‘ও’ পজিটিভ।
চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, রক্তের গ্রুপ মিস ম্যাচ হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর ফাতেমাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২৯ জুন পর্যন্ত আইসিইউতে রাখার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৩০ জুন তাঁকে ঢামেকে নেওয়া হয়। এরপর আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে মায়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পেরে ৭ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম সহপাঠী, বন্ধু ও জেলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাসপাতাল ঘেরাও করে চার ঘণ্টা অবস্থান করেন। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম অভিযোগ করেন, ভুল চিকিৎসায় তাঁর মায়ের জীবন এখন সংকটাপন্ন। তাঁর জন্য মেডিসিন, গাইনি, নেফ্রো, গ্যাস্ট্রোর ডাক্তার একসঙ্গে বসে বোর্ড করে চিকিৎসা করাতে হবে। একটি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে হবে। শুরু থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যত টাকা খরচ হবে, তাঁর সম্পূর্ণ দায়িত্ব মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। যাঁদের জন্য তাঁর মায়ের আজ এই অবস্থা, তাঁদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মাদ ইউনুস আলী দাবিগুলো লিখিতভাবে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিলে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। এ নিয়ে ৮ জুলাই আজকের পত্রিকার শেষ পাতা ‘ভিন্ন গ্রুপের রক্ত নিয়ে রোগীর জীবন যায় যায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ফাতেমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুল গ্রুপের রক্ত আমার মায়ের শরীরে দিয়ে চিকিৎসকেরা আমার মাকে মেরে ফেলেছে। আমার মাকে হত্যা করেছে রংপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আমাকে এতিম করেছে। সহায়-সম্বল যা ছিল সব শেষ করেও মাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। টাকার অভাবে চিকিৎসার অভাবে মা হারালাম। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
এ ঘটনায় ৩ জুলাই হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম কামরুজ্জামানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয় হয়নি।
জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ ইউনুস আলী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করেছি উনারা ব্যস্ত ছিল। তাই প্রতিবেদন দিতে পারেনি। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি বসব। এতে দায় কার সেটি কালকে পাওয়া যাবে।’
নিহত ফাতেমা বেগমের ছেলের ক্ষতিপূরণের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভুলে অস্ত্রোপচারের সময় এক রোগীকে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়। ঘটনার ১৮ দিন পর আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন নিহত ফাতেমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম। ফাতেমা স্বামী সন্তান নিয়ে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা থাকতেন। গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবকসে তাঁর লাশ সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।
রমেক ও ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ জুন অস্ত্রোপচারের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ফাতেমা। রোগীকে ট্রান্সমিশন বিভাগে নিয়ে পরীক্ষার পর জানানো হয়, তাঁর রক্তের গ্রুপ ‘এ’ পজিটিভ। এরপর স্বজনেরা ‘এ’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ক্রস ম্যাচ করে নিশ্চিত করে, রক্তের গ্রুপ ঠিক আছে।
২২ জুন ফাতেমার জরায়ুর অস্ত্রোপচার হয়। এক ব্যাগ রক্ত শরীরে যাওয়ার পরপরই রক্তক্ষরণ, শরীর ফুলে যাওয়া, খিঁচুনিসহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয় তাঁর। কারণ জানতে না পেরে পরদিন চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, আবার অস্ত্রোপচার করবেন।
তাই আবার স্বজনদের রক্ত সংগ্রহ করতে বলা হয়। স্বজনেরা এবারও তিন ব্যাগ ‘এ’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করেন। কিন্তু এবার আর ক্রস ম্যাচ হয়নি। এতে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। এরপর হাসপাতাল ও বাইরে থেকে ফাতেমার রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, তাঁর রক্তের গ্রুপ আসলে ‘ও’ পজিটিভ।
চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, রক্তের গ্রুপ মিস ম্যাচ হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর ফাতেমাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২৯ জুন পর্যন্ত আইসিইউতে রাখার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৩০ জুন তাঁকে ঢামেকে নেওয়া হয়। এরপর আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে মায়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পেরে ৭ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম সহপাঠী, বন্ধু ও জেলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাসপাতাল ঘেরাও করে চার ঘণ্টা অবস্থান করেন। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মারুফ জিয়াম অভিযোগ করেন, ভুল চিকিৎসায় তাঁর মায়ের জীবন এখন সংকটাপন্ন। তাঁর জন্য মেডিসিন, গাইনি, নেফ্রো, গ্যাস্ট্রোর ডাক্তার একসঙ্গে বসে বোর্ড করে চিকিৎসা করাতে হবে। একটি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে হবে। শুরু থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যত টাকা খরচ হবে, তাঁর সম্পূর্ণ দায়িত্ব মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। যাঁদের জন্য তাঁর মায়ের আজ এই অবস্থা, তাঁদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মাদ ইউনুস আলী দাবিগুলো লিখিতভাবে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিলে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। এ নিয়ে ৮ জুলাই আজকের পত্রিকার শেষ পাতা ‘ভিন্ন গ্রুপের রক্ত নিয়ে রোগীর জীবন যায় যায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ফাতেমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুল গ্রুপের রক্ত আমার মায়ের শরীরে দিয়ে চিকিৎসকেরা আমার মাকে মেরে ফেলেছে। আমার মাকে হত্যা করেছে রংপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আমাকে এতিম করেছে। সহায়-সম্বল যা ছিল সব শেষ করেও মাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। টাকার অভাবে চিকিৎসার অভাবে মা হারালাম। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
এ ঘটনায় ৩ জুলাই হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম কামরুজ্জামানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয় হয়নি।
জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ ইউনুস আলী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করেছি উনারা ব্যস্ত ছিল। তাই প্রতিবেদন দিতে পারেনি। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি বসব। এতে দায় কার সেটি কালকে পাওয়া যাবে।’
নিহত ফাতেমা বেগমের ছেলের ক্ষতিপূরণের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে