গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর আগ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মুছা, ছামু, ইমতিয়াজ, মুছা কারিমুল্লার ছেলে খাদেমুলসহ সাত–আটজন হঠাৎ করে পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।’
কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি আর ওরা বিএনপি-জামায়াত করে, সে জন্য তারা আমাকে এ কাজ করছে।’
এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজে পৌঁছালে তাঁদের পথরোধ করে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। তাঁর সঙ্গে থাকা মো. কবির মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয়রা। মো. জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার নিহতের বড় বোন আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সামিউল ইসলাম সামু (৪১) ও পূর্ব রামজীবন কুড়িপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে (সোমবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের লোকেরাই যুবলীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। তবে পুরো সংগঠনকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না করার অনুরোধ জানান ওই দুই দলের নেতারা। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে জাহিদুল ইসলাম হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন, এটাই বড় প্রমাণ। যদি আওয়ামী লীগ জোর করে দুটি দলকে (বিএনপি–জামায়াত) জড়ায়, তাহলে তাঁরা অন্যায়ভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার মতো হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম সরকার মঞ্জু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘যেকোনো হত্যাকাণ্ড ঘৃণিত কাজ। একটা মানুষকে হত্যা করবে এটা কোনোভাবেই আমরা বরদাশত করি না। যেহেতু জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুর আগে কয়েকজনের নাম বলে গেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা মনে করি। এ মামলায় অন্যায়ভাবে কাউকে জড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করাটা হবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাহিদুল হত্যাকাণ্ডে জামায়াত-শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। আমাদের কর্মীরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক আদর্শে গড়ে ওঠে না।’
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার রাজনীতি কোনো দলের জন্যই কাম্য নয়। তেমনি যুবলীগ নেতা জাহিদুল হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্যতম অপরাধ। আমি চাই এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’ তবে নিরপরাধ মানুষ বা কোনো রাজনৈতিক দলের ঘাড়ে দোষ চেপে দিয়ে গণহারে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করার দাবি তাঁর।
হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান লিটু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।’ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর আগ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মুছা, ছামু, ইমতিয়াজ, মুছা কারিমুল্লার ছেলে খাদেমুলসহ সাত–আটজন হঠাৎ করে পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।’
কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি আর ওরা বিএনপি-জামায়াত করে, সে জন্য তারা আমাকে এ কাজ করছে।’
এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজে পৌঁছালে তাঁদের পথরোধ করে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। তাঁর সঙ্গে থাকা মো. কবির মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয়রা। মো. জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার নিহতের বড় বোন আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সামিউল ইসলাম সামু (৪১) ও পূর্ব রামজীবন কুড়িপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে (সোমবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের লোকেরাই যুবলীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। তবে পুরো সংগঠনকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না করার অনুরোধ জানান ওই দুই দলের নেতারা। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে জাহিদুল ইসলাম হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন, এটাই বড় প্রমাণ। যদি আওয়ামী লীগ জোর করে দুটি দলকে (বিএনপি–জামায়াত) জড়ায়, তাহলে তাঁরা অন্যায়ভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার মতো হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম সরকার মঞ্জু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘যেকোনো হত্যাকাণ্ড ঘৃণিত কাজ। একটা মানুষকে হত্যা করবে এটা কোনোভাবেই আমরা বরদাশত করি না। যেহেতু জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুর আগে কয়েকজনের নাম বলে গেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা মনে করি। এ মামলায় অন্যায়ভাবে কাউকে জড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করাটা হবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাহিদুল হত্যাকাণ্ডে জামায়াত-শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। আমাদের কর্মীরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক আদর্শে গড়ে ওঠে না।’
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার রাজনীতি কোনো দলের জন্যই কাম্য নয়। তেমনি যুবলীগ নেতা জাহিদুল হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্যতম অপরাধ। আমি চাই এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’ তবে নিরপরাধ মানুষ বা কোনো রাজনৈতিক দলের ঘাড়ে দোষ চেপে দিয়ে গণহারে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করার দাবি তাঁর।
হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান লিটু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।’ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
১০ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
২৮ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে