ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম), প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানকার করলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে চলে যাচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চাষিরা খেতের পরিচর্যা, করলা ওঠানো এবং বিক্রির জন্য ব্যস্ত। এ ছাড়া দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীরা করলা কিনে ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে করলা বিক্রিতে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
উপজেলার বালারহাট, খড়িবাড়ি, বড়ভিটা, ফুলবাড়ি সদর, বেড়াকুটিহাট, নেওয়াশি হাটে গড়ে উঠেছে মৌসুমি করলার হাট-বাজার। এসব হাট-বাজারে দিনভর চলছে করলা বেচা কেনা। ভালো দাম থাকায় প্রান্তিক কৃষকেরা সরাসরি বাজারে এসে বিক্রি করছেন করলা। স্থানীয় পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ৭৫০-৮০০ টাকা দরে কিনে দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীদের কাছে ৯০০-১০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করছেন। এতে কৃষকদের সঙ্গে স্থানীয় পাইকাররাও লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, বন্যার পর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরে পলি পড়ে উর্বর হয়ে উঠে। চরাঞ্চলের রবি শস্যের ওপর নির্ভরশীল কৃষকেরা সুযোগ বুঝে সে সময় করলা চাষে ঝুঁকে পড়েন। শুরু করেন বাণিজ্যিক করলার চাষ। এতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। উপজেলার চর শিমুলবাড়ি, পেচাই, গোড়কমন্ডল, রামপ্রসাদ, জোতিন্দ্রনারায়ন, বড়ভিটা, বড়লই, রাঙামাটি, মেকলি, পূর্ব-পশ্চিম ধনিরাম, নাওডাঙ্গা এবং বড়ভিটার চরে ব্যাপক হারে করলা চাষ হয়েছে। সময়মতো পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলনও হয়েছে আশাতীত।
এ বিষয়ে খড়িবাড়ি হাটের পাইকার জামাল হোসেন বলেন, 'এবার আমরা কৃষকের কাছ থেকে করলা কিনে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। কারণ স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিনেই ৩০০ থেকে ৩৫০ মন করলা ট্রাকে করে দূর দুরান্তের হাট বাজারে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।'
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের করলা চাষি রুহুল আমিন বলেন, 'এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছি। এবার করলার ফলন ভালো হয়েছে। খেতে মধ্যেই বসে প্রতি মন ৯০০-১০০০ টাকা দরে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করছি।'
চর বড়লইয়ের কৃষক দুর্জন মিয়া বলেন, 'দাম ভালো পাওয়ায় আমরা খুব খুশি। এ দরদাম এক মাস স্থায়ী থাকলে আমরা আরও অনেক বেশি লাভবান হব। বাজার দর ভালো থাকায় গ্রামগঞ্জে গড়েও উঠেছে করলার বাজার। ফলে করলা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে বন্যার পর ধানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠায় কৃষক-কৃষাণীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এক বিঘা জমিতে করলার ফলন হয় ৫০-৬০ মন। প্রতি বিঘা জমিতে করলা চাষে ব্যয় হয় ৮-১০ হাজার টাকা। প্রতি মন করলা পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। সে হিসেবে বিঘা প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে এবার।'
সরেজমিনে আরও জানা যায়, চন্দ্রখানা এলাকার স্থানীয় পাইকার (ব্যবসায়ী) হায়দার আলী, আজিজুল হক, আশরাফুলসহ আরও অনেকেই কৃষকদের কাছ শত শত মণ করলা ক্রয় করে উপজেলার নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় বাজারের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলমের আড়তে রেখেছেন। সেখান থেকে প্রতিদিনেই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ী শুকুরউদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, হাসান আলী সহ অনেকেই শত শত মন করলা ক্রয় করে ট্রাক দিয়ে নিজ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ী শুকুরউদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, হাসান আলী বলেন, 'প্রতি মন করলা স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তা তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে এক হাজার ৩৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৪৫০ দরে বিক্রি করছেন।'
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসফিয়া খাতুন বলেন, 'চলতি মৌসুমে উপজেলার চরাঞ্চলে এবার ১৫০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। বেশি করে করলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় এ বছর যথেষ্ট সাফল্য হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এলাকার কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।'
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানকার করলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে চলে যাচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চাষিরা খেতের পরিচর্যা, করলা ওঠানো এবং বিক্রির জন্য ব্যস্ত। এ ছাড়া দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীরা করলা কিনে ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে করলা বিক্রিতে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
উপজেলার বালারহাট, খড়িবাড়ি, বড়ভিটা, ফুলবাড়ি সদর, বেড়াকুটিহাট, নেওয়াশি হাটে গড়ে উঠেছে মৌসুমি করলার হাট-বাজার। এসব হাট-বাজারে দিনভর চলছে করলা বেচা কেনা। ভালো দাম থাকায় প্রান্তিক কৃষকেরা সরাসরি বাজারে এসে বিক্রি করছেন করলা। স্থানীয় পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ৭৫০-৮০০ টাকা দরে কিনে দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীদের কাছে ৯০০-১০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করছেন। এতে কৃষকদের সঙ্গে স্থানীয় পাইকাররাও লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, বন্যার পর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরে পলি পড়ে উর্বর হয়ে উঠে। চরাঞ্চলের রবি শস্যের ওপর নির্ভরশীল কৃষকেরা সুযোগ বুঝে সে সময় করলা চাষে ঝুঁকে পড়েন। শুরু করেন বাণিজ্যিক করলার চাষ। এতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। উপজেলার চর শিমুলবাড়ি, পেচাই, গোড়কমন্ডল, রামপ্রসাদ, জোতিন্দ্রনারায়ন, বড়ভিটা, বড়লই, রাঙামাটি, মেকলি, পূর্ব-পশ্চিম ধনিরাম, নাওডাঙ্গা এবং বড়ভিটার চরে ব্যাপক হারে করলা চাষ হয়েছে। সময়মতো পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলনও হয়েছে আশাতীত।
এ বিষয়ে খড়িবাড়ি হাটের পাইকার জামাল হোসেন বলেন, 'এবার আমরা কৃষকের কাছ থেকে করলা কিনে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। কারণ স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিনেই ৩০০ থেকে ৩৫০ মন করলা ট্রাকে করে দূর দুরান্তের হাট বাজারে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।'
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের করলা চাষি রুহুল আমিন বলেন, 'এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছি। এবার করলার ফলন ভালো হয়েছে। খেতে মধ্যেই বসে প্রতি মন ৯০০-১০০০ টাকা দরে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করছি।'
চর বড়লইয়ের কৃষক দুর্জন মিয়া বলেন, 'দাম ভালো পাওয়ায় আমরা খুব খুশি। এ দরদাম এক মাস স্থায়ী থাকলে আমরা আরও অনেক বেশি লাভবান হব। বাজার দর ভালো থাকায় গ্রামগঞ্জে গড়েও উঠেছে করলার বাজার। ফলে করলা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে বন্যার পর ধানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠায় কৃষক-কৃষাণীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এক বিঘা জমিতে করলার ফলন হয় ৫০-৬০ মন। প্রতি বিঘা জমিতে করলা চাষে ব্যয় হয় ৮-১০ হাজার টাকা। প্রতি মন করলা পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। সে হিসেবে বিঘা প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে এবার।'
সরেজমিনে আরও জানা যায়, চন্দ্রখানা এলাকার স্থানীয় পাইকার (ব্যবসায়ী) হায়দার আলী, আজিজুল হক, আশরাফুলসহ আরও অনেকেই কৃষকদের কাছ শত শত মণ করলা ক্রয় করে উপজেলার নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় বাজারের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলমের আড়তে রেখেছেন। সেখান থেকে প্রতিদিনেই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ী শুকুরউদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, হাসান আলী সহ অনেকেই শত শত মন করলা ক্রয় করে ট্রাক দিয়ে নিজ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ী শুকুরউদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, হাসান আলী বলেন, 'প্রতি মন করলা স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তা তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে এক হাজার ৩৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৪৫০ দরে বিক্রি করছেন।'
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসফিয়া খাতুন বলেন, 'চলতি মৌসুমে উপজেলার চরাঞ্চলে এবার ১৫০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। বেশি করে করলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় এ বছর যথেষ্ট সাফল্য হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এলাকার কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।'
ফেনীতে জুতার ভেতরে লুকিয়ে রাখা দশটি স্বর্ণের বারসহ দ্বীজেন ধর (৩৯) নামে এক বাস যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই স্বর্ণের ওজন ১ হাজার ১৬৬ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি
৪ মিনিট আগেনওগাঁয় শীতের প্রভাবে মানুষের জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে কয়েক দিন ধরে দেরিতে সূর্যের দেখা মেলছে। আজ রোববার উপজেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ মিনিট আগেশিক্ষার সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় প্রাথমিক শিক্ষা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন বলেন, জাতি সবচেয়ে ধনী হচ্ছে জনশক্তিতে। এ আপন সম্পদ কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই কোনো দিন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হতো, তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা এ অবস্থায় থাকত না।
২০ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বারী প্রায় সাড়ে তিন মাস পর হাইকোর্টের নির্দেশে দায়িত্ব ফিরে পেলেন। আজ রোববার সকালে প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও ইউপি সচিব দবিরুল ইসলাম তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
২২ মিনিট আগে