বছরের শুরুতেই প্রাথমিকের সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার আশা উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ৩৩
সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিধান রঞ্জন রায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্তরের বইগুলোর ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে হয়েছে। সে কারণে বইগুলো তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বছরের শুরুতেই প্রাথমিক স্তরের সকল পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আজ রোববার দুপুরে সিলেটে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিধান রঞ্জন রায় এই আশা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি অযৌক্তিক নয় উল্লেখ করে এই উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে তাঁদের দশম গ্রেড দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান লক্ষ্য প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃজন করা। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ শতভাগ পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হবেন।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেটের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ত্রুটিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে। দেশকে উন্নত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে গতিশীল করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

শিক্ষার সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় প্রাথমিক শিক্ষা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন বলেন, জাতি সবচেয়ে ধনী হচ্ছে জনশক্তিতে। এ আপন সম্পদ কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই কোনো দিন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হতো, তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা এ অবস্থায় থাকত না।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় আরও বলেন, যদি নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে, বাস্তবিক অর্থেই সব ক্ষেত্রে এর পুরোপুরি ব্যবহার হবে না। ফলে নিজেদেরই কম খরচ করে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার মতো লাগসই কিছু ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

ছাত্র সমন্বয়ক আম্মারের শাস্তি চায় রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ সংগঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত