তেতুঁলিয়া প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিদিনই ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা, দূতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসসহ তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়াও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেন পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে এবং দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসসহ মোট পাঁচ জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে।
গত কয়েক বছরে রেলক্রসিংগুলোর উন্নয়নে কিংবা রেলক্রসিংয়ের সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। ট্রেনে কাটা পড়ে জীবন হারাতে হচ্ছে।
দেশের দীর্ঘতম রেলপথ পঞ্চগড় থেকে ঢাকার দূরত্ব ৬৩৯ কিলোমিটার। ১৯৬৮ সালে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের যাতায়াত সুলভ করার জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়। পঞ্চগড়-ঢাকা, পঞ্চগড়-রাজশাহী ও পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে পাঁচ জোড়া আন্তনগর ট্রেনে এখন যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। পঞ্চগড় জেলা রেলপথ রয়েছে মোট ১৭ কিলোমিটার। স্টেশন রয়েছে তিনটি।
রেলপথের রেলক্রসিং গেট রয়েছে নয়টি। তবে নয়টি রেলক্রসিং গেটের মধ্যে শুধুমাত্র কিসমত স্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান রয়েছে। আর বাকি আটটি গেটেই গেটম্যান নেই। ফলে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে আটটি রেলক্রসিং গেট। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন রেলক্রসিং পারাপার হওয়া স্থানীয় মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝলইহাট-আমলারহার সড়ক। এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিনই চলাচল করছে শত শত সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়কটিতে চলাচল করতে আরোহীদের অতিক্রম করতে হয় একটি রেলক্রসিং গেট। কিন্তু গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে তাদের।
একই চিত্র দেখা যায়, সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের নয়নীবুরুজ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং গেট থাকলেও সেখানে নেই কোনো গেটম্যান। ফলে প্রায় সময় এই গেটে নানান দুর্ঘটনা ঘটে। গত ২০১৯ সালে রেলক্রসিংয়ের গেট পার হওয়ার সময় একই সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্রসিং গেটের আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন এলেও বুঝতে পারেন না পথচারীরা। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কায় থাকেন তারা। দ্রুতই গেটগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ করা না গেলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
নয়নীবুরুজ এলাকার বাসিন্দা হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন রেলক্রসিং গেটের ওপর দিয়ে পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন কয়েক শতাধিক পথচারী যাতায়াত করেন। এই গেট পার হওয়ার সময় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’
টেংগনমারী রেলগেট এলাকায় কথা হয় পথচারী তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গেটম্যান ও সিগনালের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন কখন আসে পথচারীরা আমরা বুঝতেই পারি না। ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।’
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুত রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময় আমরা স্থানীয়রা রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেল বিভাগ।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জনবলের অভাবে প্রতিটি রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা গেটম্যানবিহীন রেলক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করতে রেলপথের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়ে দিয়েছি। সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে।’
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিদিনই ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা, দূতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসসহ তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়াও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেন পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে এবং দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসসহ মোট পাঁচ জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে।
গত কয়েক বছরে রেলক্রসিংগুলোর উন্নয়নে কিংবা রেলক্রসিংয়ের সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। ট্রেনে কাটা পড়ে জীবন হারাতে হচ্ছে।
দেশের দীর্ঘতম রেলপথ পঞ্চগড় থেকে ঢাকার দূরত্ব ৬৩৯ কিলোমিটার। ১৯৬৮ সালে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের যাতায়াত সুলভ করার জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়। পঞ্চগড়-ঢাকা, পঞ্চগড়-রাজশাহী ও পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে পাঁচ জোড়া আন্তনগর ট্রেনে এখন যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। পঞ্চগড় জেলা রেলপথ রয়েছে মোট ১৭ কিলোমিটার। স্টেশন রয়েছে তিনটি।
রেলপথের রেলক্রসিং গেট রয়েছে নয়টি। তবে নয়টি রেলক্রসিং গেটের মধ্যে শুধুমাত্র কিসমত স্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান রয়েছে। আর বাকি আটটি গেটেই গেটম্যান নেই। ফলে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে আটটি রেলক্রসিং গেট। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন রেলক্রসিং পারাপার হওয়া স্থানীয় মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝলইহাট-আমলারহার সড়ক। এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিনই চলাচল করছে শত শত সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়কটিতে চলাচল করতে আরোহীদের অতিক্রম করতে হয় একটি রেলক্রসিং গেট। কিন্তু গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে তাদের।
একই চিত্র দেখা যায়, সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের নয়নীবুরুজ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং গেট থাকলেও সেখানে নেই কোনো গেটম্যান। ফলে প্রায় সময় এই গেটে নানান দুর্ঘটনা ঘটে। গত ২০১৯ সালে রেলক্রসিংয়ের গেট পার হওয়ার সময় একই সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্রসিং গেটের আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন এলেও বুঝতে পারেন না পথচারীরা। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কায় থাকেন তারা। দ্রুতই গেটগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ করা না গেলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
নয়নীবুরুজ এলাকার বাসিন্দা হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন রেলক্রসিং গেটের ওপর দিয়ে পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন কয়েক শতাধিক পথচারী যাতায়াত করেন। এই গেট পার হওয়ার সময় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’
টেংগনমারী রেলগেট এলাকায় কথা হয় পথচারী তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গেটম্যান ও সিগনালের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন কখন আসে পথচারীরা আমরা বুঝতেই পারি না। ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।’
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুত রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময় আমরা স্থানীয়রা রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেল বিভাগ।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জনবলের অভাবে প্রতিটি রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা গেটম্যানবিহীন রেলক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করতে রেলপথের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়ে দিয়েছি। সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে