সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ৪৮

সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামন নূরের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নীলফামারী সদর আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী হলেন মো. লিটন রহমান, তিনি সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় ২০২ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন–সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামন নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সহসভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম রিণ্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কাচারি বাজারে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর উল্লেখিত আসামিরা আবারও ওই বাজারে গিয়ে সরকার বিরোধীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদান করে। সেখান থেকে শহরের ফেরার পথে রামগঞ্জ বাজারের কাছে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

এরপর রামগঞ্জ বাজারে পৌঁছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় মামলার বাদী লিটন রহমানের বাবা সিদ্দিক আলী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে ছুটে আসলে আসাদুজ্জামান নূর তাঁর গাড়ি চালিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. আর সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়ে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার দায়ের করা মামলার কাগজ এখনো থানায় পৌঁছেনি।’

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে দুটি হত্যা মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত