রংপুর প্রতিনিধি
কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আজ শনিবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্কের মোড় হয়ে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা—মানি না—মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল কর—করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়—বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে—কোটা প্রথা কবর দে’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার, কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা কোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ওপর হাইকোর্ট যে রায় চাপিয়ে দিয়েছেন, আমরা সেই রায় মানি না। যারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতে চান, তাঁদের বলতে চাই, এই পরিচয় খুবই লজ্জার। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করল, আমার বোধগম্য হয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত না আমাদের দাবি মানা হবে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন বলেন ‘এ বৈষম্য আমরা কখনো মানব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। সকল যৌক্তিক আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারী আমাদের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে যেন এটিকে নষ্ট করে না দিতে পারে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রতিদিন আমরা একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আজ শনিবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্কের মোড় হয়ে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা—মানি না—মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল কর—করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়—বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে—কোটা প্রথা কবর দে’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার, কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা কোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ওপর হাইকোর্ট যে রায় চাপিয়ে দিয়েছেন, আমরা সেই রায় মানি না। যারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতে চান, তাঁদের বলতে চাই, এই পরিচয় খুবই লজ্জার। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করল, আমার বোধগম্য হয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত না আমাদের দাবি মানা হবে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন বলেন ‘এ বৈষম্য আমরা কখনো মানব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। সকল যৌক্তিক আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারী আমাদের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে যেন এটিকে নষ্ট করে না দিতে পারে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রতিদিন আমরা একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
৮ মিনিট আগেশেরপুরের নকলায় পরিত্যক্ত একটি ডোবা থেকে এক দরজির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুণীগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের এক ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখ ও গলায় একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেরাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
৩৫ মিনিট আগে