কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী কয়েক দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ অবস্থায় জেলায় মাঝারি মেয়াদে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় নারী-শিশুসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী অববাহিকার বাসিন্দারা। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ও উলিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপচরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এর অববাহিকার কয়েক শ বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন ও উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তত ৬-৭ হাজার পরিবার। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় অনেকে নৌকায় ও মাচানে আশ্রয় নিয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর ছেড়ে অনেক পরিবার নিকটবর্তী উঁচু বসতিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, এই ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। রাতারাতি অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন জুড়ে হাজারেরও বেশি বসতিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘পানি খুব বাড়ছে। চর ভগবতিপুর ও ঝুনকার চরের কিছু বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী আবাসনে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ হাজার পরিবার। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুত্রের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব গ্রামের হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ বলছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ঢলে দুধকুমার নদের পানি গতি ও উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে সদরের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে তিস্তার পানিও। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এসব নদ-নদীর উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, তাঁর ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির প্রতিবেদন নিয়েছে বলেও জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোন্নাফ আলী বলেন, ‘অবস্থা খুব খারাপ। হুহু কইরা পানি বাড়তাছে। আমার ওয়ার্ডের দুই শতাধিক বাড়িঘরে পানি ঢুইকা পড়ছে। মানুষজন মাচান কইরা আশ্রয় নিতাছে।’
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে আগামী কয়েক দিন জেলার নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্গতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিড বোট, নৌকা এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লাখ টাকা ও ৫৭০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে ১ হাজার প্যাকেট খাবারের বরাদ্দ রয়েছে।’
বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী কয়েক দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ অবস্থায় জেলায় মাঝারি মেয়াদে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় নারী-শিশুসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী অববাহিকার বাসিন্দারা। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ও উলিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপচরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এর অববাহিকার কয়েক শ বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন ও উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তত ৬-৭ হাজার পরিবার। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় অনেকে নৌকায় ও মাচানে আশ্রয় নিয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর ছেড়ে অনেক পরিবার নিকটবর্তী উঁচু বসতিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, এই ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। রাতারাতি অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন জুড়ে হাজারেরও বেশি বসতিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘পানি খুব বাড়ছে। চর ভগবতিপুর ও ঝুনকার চরের কিছু বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী আবাসনে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ হাজার পরিবার। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুত্রের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব গ্রামের হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ বলছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ঢলে দুধকুমার নদের পানি গতি ও উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে সদরের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে তিস্তার পানিও। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এসব নদ-নদীর উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, তাঁর ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির প্রতিবেদন নিয়েছে বলেও জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোন্নাফ আলী বলেন, ‘অবস্থা খুব খারাপ। হুহু কইরা পানি বাড়তাছে। আমার ওয়ার্ডের দুই শতাধিক বাড়িঘরে পানি ঢুইকা পড়ছে। মানুষজন মাচান কইরা আশ্রয় নিতাছে।’
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে আগামী কয়েক দিন জেলার নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্গতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিড বোট, নৌকা এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লাখ টাকা ও ৫৭০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে ১ হাজার প্যাকেট খাবারের বরাদ্দ রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৮ মিনিট আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে