জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
মো. আবু তালহা (২৪) সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী। বাবা আব্দুল হক ওষুধ কোম্পানি চাকরি করেন। সে সুবাদে ফরিদপুরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকেন তাঁরা।
গত শুক্রবার পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফরিদপুর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এখান থেকে তাঁর সৈয়দপুরের উদ্দেশে ট্রেন পরিবর্তন করার কথা ছিল।
রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনটির কয়েকটি বগি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এর পর থেকে আবু তালহার আর খোঁজ মিলছে না। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আগুনে ট্রেনের চারজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।
প্রিয় সন্তানের খোঁজে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন আবু তালহার মা, বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আর্মি ইউনিভার্সিটির দুজন শিক্ষক ও তালহার সহপাঠীরা। লাশগুলো এতটাই দগ্ধ যে শনাক্ত করার উপায় নেই। এখন ডিএনএ পরীক্ষার ফল আসা পর্যন্ত তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গতকাল রোববার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তালহার বাবা। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সিআইডি অফিসে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তালহার মা-বাবার রক্ত সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে আবু তালহা নিখোঁজ থাকায় বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) কর্তৃপক্ষ নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. নাঈম এ অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা পুড়ে যাওয়া চারটি মরদেহ রয়েছে। এর মধ্যে একটি মরদেহ ২৩-২৪ বছরের যুবকের রয়েছে। ওই মরদেহটি শিক্ষার্থী আবু তালহার কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন।’
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু তালহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. জিকরুল হক হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তালহা রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গ্যাংবধূনদিয়া গ্রামের আবদুল হকের দ্বিতীয় ছেলে।
গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ওই শিক্ষার্থী ফরিদপুর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। আর ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে তালহার ফোন নম্বর বন্ধ।
আবু তালহার বাবা আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রোববার ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সিআইডি অফিসে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আমার ও তালহার মায়ের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এ সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষক ও সহপাঠীরা।’
আবু তালহার মা মাহফুজা ফেরদৌসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আর্মি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেছে। কিন্তু অর্থ নিয়ে আমরা কী করব? আমার ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে ওই ভার্সিটিতে ভর্তি করেছি। ৫ তারিখ ফরিদপুর স্টেশনে হাসিমুখে তাকে বিদায় দিলাম। কে জানে সে বিদায় হবে তার শেষবিদায়! মর্গে রাখা পোড়া মরদেহগুলোর মধ্যে আমার তালহা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক সাহায্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করব। তারা আমার ছোট ছেলে আবু তাসলামকে ভর্তি করে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার করার মনোবাসনা পূরণ করবেন। আবু তাসলাম ফরিদপুর রাজেন্দ্র সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্সের ছাত্র।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবু তালহা নামে ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। ঘটনাটি আমার থানার আওতাধীন না হওয়ায় লিখিত আবেদনটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’
মো. আবু তালহা (২৪) সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী। বাবা আব্দুল হক ওষুধ কোম্পানি চাকরি করেন। সে সুবাদে ফরিদপুরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকেন তাঁরা।
গত শুক্রবার পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফরিদপুর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এখান থেকে তাঁর সৈয়দপুরের উদ্দেশে ট্রেন পরিবর্তন করার কথা ছিল।
রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনটির কয়েকটি বগি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এর পর থেকে আবু তালহার আর খোঁজ মিলছে না। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আগুনে ট্রেনের চারজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।
প্রিয় সন্তানের খোঁজে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন আবু তালহার মা, বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আর্মি ইউনিভার্সিটির দুজন শিক্ষক ও তালহার সহপাঠীরা। লাশগুলো এতটাই দগ্ধ যে শনাক্ত করার উপায় নেই। এখন ডিএনএ পরীক্ষার ফল আসা পর্যন্ত তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গতকাল রোববার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তালহার বাবা। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সিআইডি অফিসে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তালহার মা-বাবার রক্ত সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে আবু তালহা নিখোঁজ থাকায় বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) কর্তৃপক্ষ নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. নাঈম এ অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা পুড়ে যাওয়া চারটি মরদেহ রয়েছে। এর মধ্যে একটি মরদেহ ২৩-২৪ বছরের যুবকের রয়েছে। ওই মরদেহটি শিক্ষার্থী আবু তালহার কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন।’
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু তালহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. জিকরুল হক হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তালহা রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গ্যাংবধূনদিয়া গ্রামের আবদুল হকের দ্বিতীয় ছেলে।
গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ওই শিক্ষার্থী ফরিদপুর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। আর ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে তালহার ফোন নম্বর বন্ধ।
আবু তালহার বাবা আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রোববার ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সিআইডি অফিসে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আমার ও তালহার মায়ের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এ সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষক ও সহপাঠীরা।’
আবু তালহার মা মাহফুজা ফেরদৌসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আর্মি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেছে। কিন্তু অর্থ নিয়ে আমরা কী করব? আমার ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে ওই ভার্সিটিতে ভর্তি করেছি। ৫ তারিখ ফরিদপুর স্টেশনে হাসিমুখে তাকে বিদায় দিলাম। কে জানে সে বিদায় হবে তার শেষবিদায়! মর্গে রাখা পোড়া মরদেহগুলোর মধ্যে আমার তালহা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক সাহায্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করব। তারা আমার ছোট ছেলে আবু তাসলামকে ভর্তি করে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার করার মনোবাসনা পূরণ করবেন। আবু তাসলাম ফরিদপুর রাজেন্দ্র সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্সের ছাত্র।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবু তালহা নামে ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। ঘটনাটি আমার থানার আওতাধীন না হওয়ায় লিখিত আবেদনটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে