রংপুর ও বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
রংপুর জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল আব্দুল্লাহ আল মামুন। আজ শুক্রবার ফল প্রকাশের পর জানা যায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। কিন্তু ভালো ফলের এই আনন্দ যেন নিতে পারছে না সহপাঠী, শিক্ষক বা পরিবারের কেউই। কারণ স্কুলে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার ফল ঘোষণা হচ্ছে, অন্যদিকে তখন দাফন করা হচ্ছে মামুনের লাশ।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামন দিঘি নিজ গ্রামে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়। তার বাবা মোস্তফা জামান ও মা আরজিনা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সেই বড়।
মামুনের পরিবার বলছে, দীর্ঘদিন ধরে রক্ত শূন্যতায় ভুগছিল মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ দিকে প্রিয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকার্ত রংপুর জিলা স্কুলে তার সহপাঠী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফল প্রকাশের দিনে তাদের মনে নেই তেমন আনন্দ।
মামুনের বন্ধু ও সহপাঠী ইয়াসির আরাফাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলছে, ‘মামুন আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। ও খুবই ভালো ছেলে। রেজাল্টের দিন সে এভাবে হারিয়ে যাবে, এটা ভাবতে পারছি না। খুবই কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ পাক আমার বন্ধুকে ওপারে ভালো রাখুন।’
রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। সে সাত বছর আগে আমাদের স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সাহিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর রেজাল্টের দিন আমরা স্কুলে অনেক আনন্দ উল্লাস করি। কিন্তু আজ তার পরিবর্তে আমরা শোকাহত। আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম। খুব কষ্ট হচ্ছে, মনকে স্থির করতে পারছি না। সন্তানের মতো সাত বছর ধরে মামুনকে স্কুলে দেখভাল করেছি। আজ খুশির দিনে সে নেই। সে নিজের ফলাফল দেখে যেতে পারল না।’
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মোস্তফা জামান নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলের মধ্যে মামুন বড়। তার লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগ ছিল। সে আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘বাবা আমার (মামুন) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। সে জানতে পারল না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।’
রংপুর জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল আব্দুল্লাহ আল মামুন। আজ শুক্রবার ফল প্রকাশের পর জানা যায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। কিন্তু ভালো ফলের এই আনন্দ যেন নিতে পারছে না সহপাঠী, শিক্ষক বা পরিবারের কেউই। কারণ স্কুলে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার ফল ঘোষণা হচ্ছে, অন্যদিকে তখন দাফন করা হচ্ছে মামুনের লাশ।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামন দিঘি নিজ গ্রামে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়। তার বাবা মোস্তফা জামান ও মা আরজিনা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সেই বড়।
মামুনের পরিবার বলছে, দীর্ঘদিন ধরে রক্ত শূন্যতায় ভুগছিল মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ দিকে প্রিয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকার্ত রংপুর জিলা স্কুলে তার সহপাঠী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফল প্রকাশের দিনে তাদের মনে নেই তেমন আনন্দ।
মামুনের বন্ধু ও সহপাঠী ইয়াসির আরাফাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলছে, ‘মামুন আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। ও খুবই ভালো ছেলে। রেজাল্টের দিন সে এভাবে হারিয়ে যাবে, এটা ভাবতে পারছি না। খুবই কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ পাক আমার বন্ধুকে ওপারে ভালো রাখুন।’
রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। সে সাত বছর আগে আমাদের স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সাহিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর রেজাল্টের দিন আমরা স্কুলে অনেক আনন্দ উল্লাস করি। কিন্তু আজ তার পরিবর্তে আমরা শোকাহত। আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম। খুব কষ্ট হচ্ছে, মনকে স্থির করতে পারছি না। সন্তানের মতো সাত বছর ধরে মামুনকে স্কুলে দেখভাল করেছি। আজ খুশির দিনে সে নেই। সে নিজের ফলাফল দেখে যেতে পারল না।’
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মোস্তফা জামান নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলের মধ্যে মামুন বড়। তার লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগ ছিল। সে আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘বাবা আমার (মামুন) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। সে জানতে পারল না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।’
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
১৫ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
২৭ মিনিট আগেগাংনী উপজেলায় নেপিয়ার ঘাসসহ অন্যান্য গোখাদ্যের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় ঘাসের দাম কমছে না। স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, নেপিয়ার ঘাস চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁরা অন্য ফসল বাদ দিয়ে ঘাস চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।
২৮ মিনিট আগে