ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এ বছর কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩টি বেশি পশু প্রস্তুত করছেন এ উপজেলার খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগই দেশি জাতের। কদিন পরেই পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, এতে এই গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে দাবি খামারিদের।
ফুলবাড়ী প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ২০ হাজার ১০৫ পশু। যা চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩টি পশু বেশি এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এর মধ্যে ষাঁড় ৮ হাজার ৫১১, বলদ ১ হাজার ৯৮, গাভি ১ হাজার ৮৩৫, মহিষ ১২, ছাগল ৮ হাজার ১২৩ ও ভেড়া ৫২৬ টি।
সূত্র আরও জানায়, ফুলবাড়ী উপজেলায় নিবন্ধিত গরু খামার রয়েছে ৪৪ টি, ছাগলের একটি ও ভেড়ার খামার রয়েছে একটি। অনিবন্ধিত গরুর খামার রয়েছে ২৫৭ টি, ছাগলের ১১০, ভেড়ার খামার রয়েছে ২৪ টি। এ ছাড়াও কৃষক পর্যায়ে উপজেলায় দেশি গরু রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ টি।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, এবার পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু পালন করেছেন। গরুকে খাবার হিসেবে কাচা ঘাস, ব্রান্ড, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, এবার যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, এতে দেশি গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। এতে খামারিরাও লাভবান হবেন। তাই ঈদের আগে দেশের বাজারে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশে না করে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারির দাবি করেছেন তাঁরা।
পৌর এলাকার স্বজন পুকুর এলাকার আমিন এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। পৃথক দুটো সেটে একটিতে দেশি জাতের গরু, অপরটিতে বিদেশি জাতের গরু রয়েছে। গরুগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা ক্রস ব্রাহামা, শাহিওয়াল, নেপালি, হরিয়ানা ও দেশিসহ উন্নত জাতের প্রায় অর্ধশতাধিক গরু রয়েছে, এ ছাড়া উন্নত জাতের দুটো মহিষ রয়েছে। এর মধ্যে দেশি গরুই বেশি।’
আমিন এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের খামারে বর্তমানে শতাধিক গরু রয়েছে। এর মধ্যে দেশিসহ বিভিন্ন জাতের কোরবানির জন্য অর্ধশতাধিক গরু প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত করা গরু ৬০ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি গরু বিক্রি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খইল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় দেওয়া হয়। প্রতিদিন গোসল করানো হয়। জায়গা পরিষ্কার রাখা হয়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হৃষ্টপুষ্টকরণ, প্রাকৃতিক উপায়ে পশু পালন এবং বাজারজাত করণে খামারিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে খামারিদের। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
প্রাণিসম্পদের এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর এই উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ২০ হাজার ১০৫টি পশু। যা চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩ পশু বেশি। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি এসব পশু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো সম্ভব হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এ বছর কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩টি বেশি পশু প্রস্তুত করছেন এ উপজেলার খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগই দেশি জাতের। কদিন পরেই পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, এতে এই গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে দাবি খামারিদের।
ফুলবাড়ী প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ২০ হাজার ১০৫ পশু। যা চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩টি পশু বেশি এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এর মধ্যে ষাঁড় ৮ হাজার ৫১১, বলদ ১ হাজার ৯৮, গাভি ১ হাজার ৮৩৫, মহিষ ১২, ছাগল ৮ হাজার ১২৩ ও ভেড়া ৫২৬ টি।
সূত্র আরও জানায়, ফুলবাড়ী উপজেলায় নিবন্ধিত গরু খামার রয়েছে ৪৪ টি, ছাগলের একটি ও ভেড়ার খামার রয়েছে একটি। অনিবন্ধিত গরুর খামার রয়েছে ২৫৭ টি, ছাগলের ১১০, ভেড়ার খামার রয়েছে ২৪ টি। এ ছাড়াও কৃষক পর্যায়ে উপজেলায় দেশি গরু রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ টি।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, এবার পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু পালন করেছেন। গরুকে খাবার হিসেবে কাচা ঘাস, ব্রান্ড, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, এবার যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, এতে দেশি গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। এতে খামারিরাও লাভবান হবেন। তাই ঈদের আগে দেশের বাজারে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশে না করে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারির দাবি করেছেন তাঁরা।
পৌর এলাকার স্বজন পুকুর এলাকার আমিন এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। পৃথক দুটো সেটে একটিতে দেশি জাতের গরু, অপরটিতে বিদেশি জাতের গরু রয়েছে। গরুগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা ক্রস ব্রাহামা, শাহিওয়াল, নেপালি, হরিয়ানা ও দেশিসহ উন্নত জাতের প্রায় অর্ধশতাধিক গরু রয়েছে, এ ছাড়া উন্নত জাতের দুটো মহিষ রয়েছে। এর মধ্যে দেশি গরুই বেশি।’
আমিন এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের খামারে বর্তমানে শতাধিক গরু রয়েছে। এর মধ্যে দেশিসহ বিভিন্ন জাতের কোরবানির জন্য অর্ধশতাধিক গরু প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত করা গরু ৬০ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি গরু বিক্রি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খইল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় দেওয়া হয়। প্রতিদিন গোসল করানো হয়। জায়গা পরিষ্কার রাখা হয়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হৃষ্টপুষ্টকরণ, প্রাকৃতিক উপায়ে পশু পালন এবং বাজারজাত করণে খামারিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে খামারিদের। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
প্রাণিসম্পদের এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর এই উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ২১২ টি। কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ২০ হাজার ১০৫টি পশু। যা চাহিদার চেয়েও ২ হাজার ৮৯৩ পশু বেশি। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি এসব পশু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২৪ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
৩৬ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে