বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জে চলন্ত পিকআপ থেকে ঝাঁপ দিয়ে অপহরণকারীদের থেকে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী রক্ষা পেয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীকে সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। তার নাম সামিউল হক (১৪)। সে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ গ্রামের দিনমজুর শহীদ আলীর ছেলে। সামিউল স্থানীয় এহিয়াগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোর ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সামিউলের মা মাসুদা বেগম বদরগঞ্জ পৌর শহরের একটি বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। আজ শুক্রবারও সকালে মা মাসুদা বেগম কাজে যান। সামিউল বেলা ১টার দিকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে নিজ বাড়ি থেকে মেলার মাঠ হয়ে বদরগঞ্জ পৌর শহরে যাচ্ছিল। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর একজন পিকআপ থেকে নেমেই সামিউলের নাক রুমাল দিয়ে চেপে ধরে, পরে একটি ইনজেকশন দেন কোমরে। এরপর তাকে পিকআপ ভ্যানে উঠে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামিউল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘যখন আমাকে পিকআপে তোলা হয়, তখন আমার নাকে রুমাল চেপে ধরা হয়, পরে কোমরে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আর কিছু বলতে পারি না।’
সে আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে দেখি আমার পাশে ১২–১৪ জন আমার বয়সী ছেলে মেয়ে পিকআপ ভ্যানে শুয়ে আছে। সেখানে একজন ব্যক্তি আমাদের তদারকি করছিলেন। চালকের সঙ্গে আর দুজন বসা ছিল। আমাদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তি চালককে বলছিলেন, ‘এটা বদরগঞ্জ ময়নাকুড়ি, বৈরামপুর হয়ে পীরগঞ্জের দিকে গাড়ি টান দেন। তখন গাড়ি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তি মুখে গুল দিচ্ছিল। আমি সেই গুল তার কাছ থেকে নিয়ে তার চোখে ছুড়ে মারি। পরে ওই ব্যক্তি দুই হাত চোখে দিয়ে থাকায় আমি তাকে ফেলে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেই।’
সামিউল বলে, ‘এ সময় একটি মেয়েও চেতন ছিল। সে আমাকে বলছিল, ‘‘আমার শরীর দুর্বল, ঝাঁপ দিতে পারব না, তুমি ঝাঁপ দাও।’ ’ যেখানে ঝাঁপ দেই সেখানে একটি বাঁশের ঝোপ ছিল। পরে আমি ধানখেত দিয়ে বদরগঞ্জ পৌর শহরে মায়ের কাছে আসি।’
মা মাসুদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মোর ছইল যদি বুদ্ধি খাটিয়ে অপহরণকারীর চোখে গুল দিতে না পারত, তাহলে আজ ওরা মোর ছইলোক হয়তো নিয়া মারি ফেলাইতো। ভাগ্যিস আল্লাহ বাঁচিয়েছেন।’
তার বাবা শহীদ আলী বলেন, ‘মোর ছইল এখনো ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে না। তার মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে।’
বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবা সুলতানা বলেন, সামিউলের শরীরে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চোখে-মুখে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের বদরগঞ্জে চলন্ত পিকআপ থেকে ঝাঁপ দিয়ে অপহরণকারীদের থেকে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী রক্ষা পেয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীকে সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। তার নাম সামিউল হক (১৪)। সে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ গ্রামের দিনমজুর শহীদ আলীর ছেলে। সামিউল স্থানীয় এহিয়াগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোর ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সামিউলের মা মাসুদা বেগম বদরগঞ্জ পৌর শহরের একটি বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। আজ শুক্রবারও সকালে মা মাসুদা বেগম কাজে যান। সামিউল বেলা ১টার দিকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে নিজ বাড়ি থেকে মেলার মাঠ হয়ে বদরগঞ্জ পৌর শহরে যাচ্ছিল। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর একজন পিকআপ থেকে নেমেই সামিউলের নাক রুমাল দিয়ে চেপে ধরে, পরে একটি ইনজেকশন দেন কোমরে। এরপর তাকে পিকআপ ভ্যানে উঠে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামিউল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘যখন আমাকে পিকআপে তোলা হয়, তখন আমার নাকে রুমাল চেপে ধরা হয়, পরে কোমরে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আর কিছু বলতে পারি না।’
সে আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে দেখি আমার পাশে ১২–১৪ জন আমার বয়সী ছেলে মেয়ে পিকআপ ভ্যানে শুয়ে আছে। সেখানে একজন ব্যক্তি আমাদের তদারকি করছিলেন। চালকের সঙ্গে আর দুজন বসা ছিল। আমাদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তি চালককে বলছিলেন, ‘এটা বদরগঞ্জ ময়নাকুড়ি, বৈরামপুর হয়ে পীরগঞ্জের দিকে গাড়ি টান দেন। তখন গাড়ি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তি মুখে গুল দিচ্ছিল। আমি সেই গুল তার কাছ থেকে নিয়ে তার চোখে ছুড়ে মারি। পরে ওই ব্যক্তি দুই হাত চোখে দিয়ে থাকায় আমি তাকে ফেলে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেই।’
সামিউল বলে, ‘এ সময় একটি মেয়েও চেতন ছিল। সে আমাকে বলছিল, ‘‘আমার শরীর দুর্বল, ঝাঁপ দিতে পারব না, তুমি ঝাঁপ দাও।’ ’ যেখানে ঝাঁপ দেই সেখানে একটি বাঁশের ঝোপ ছিল। পরে আমি ধানখেত দিয়ে বদরগঞ্জ পৌর শহরে মায়ের কাছে আসি।’
মা মাসুদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মোর ছইল যদি বুদ্ধি খাটিয়ে অপহরণকারীর চোখে গুল দিতে না পারত, তাহলে আজ ওরা মোর ছইলোক হয়তো নিয়া মারি ফেলাইতো। ভাগ্যিস আল্লাহ বাঁচিয়েছেন।’
তার বাবা শহীদ আলী বলেন, ‘মোর ছইল এখনো ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে না। তার মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে।’
বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবা সুলতানা বলেন, সামিউলের শরীরে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চোখে-মুখে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৪৪ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে