রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান খুনিয়াদীঘি স্মৃতিসৌধ। পুকুরপাড় ঘেঁষা এই সৌধটি মাটি ধসে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে পাড় ভেঙে স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত চলে এসেছে। সীমানা লাগোয়া একটি মেহগনি গাছ মাটি ধসে পুকুরের পানিতে পড়ে গেছে। এমন অবস্থায় স্মৃতিসৌধ ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে স্মৃতিসৌধের সঙ্গে থাকা পুকুরটিতে প্রত্যেক বছর মাটি ধসে পড়ছে। স্মৃতিসৌধের সন্নিকটে মাটি ধসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাটি ধসে গেলে স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীরসহ গণকবরের মাটিও ধসে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত মাটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।
রাণীশংকৈল-কাঠালডাঙ্গী সড়কের রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে সড়ক ঘেঁষা খুনিয়াদীঘির অবস্থান। এখানে প্রায় বিশাল পুকুর তার সঙ্গেই পাহাড়। ইতিহাস বলে এই পাহাড় এবং পুকুরেই মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ কারণেই রাণীশংকৈলবাসীর কাছে এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান। এ কারণে এখানে তৈরি হয়েছে খুনিয়াদীঘি স্মৃতিসৌধ। এটি ১৯৭৪ সালে জাতীয় চার নেতার অন্যতম এইচ এম কামরুজ্জামান স্মৃতিসৌধ হিসাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তখন থেকেই জাতীয়ভাবেই এখানেই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালন হয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাহাড়ে চারপাশে পুকুর রয়েছে। পুকুরের উত্তর পাশে নতুন করে আরেকটি খুনিয়াদীঘি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুকুর ঘিরে পুকুরের বর্তমান মালিক গোলাম মোস্তফা মাটি খনন করায় এখন পাহাড়ের মাটি পানির স্রোতের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত ধসে পরছে। এখন পুরোনো স্মৃতিসৌধের কাছাকাছি চলে গেছে। যেকোনো সময় প্রাচীও ধসে পরতে পারে।
পুকুরের মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কোনো মাটি খনন হয়নি। পাহাড় না ধসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, পুকুরটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্ত মিশে রয়েছে। এ পুকুরটি উদ্ধারে জোরালো কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পুকুরটি উদ্ধারসহ পাহাড়ের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাণীশংকৈল পৌরসভার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহেরুল ইসলাম বলেন, পুকুরটি মূলত সরকারি সম্পত্তি। এখানে মোট জমি রয়েছে ৫ একর ৬৮ শতক এর মধ্যে ২ একর ১৮ শতকের মধ্যে রয়েছে পুকুরটি। তবে পুকুরটি ১৯৮২ সালে মাছ চাষের শর্তে এক ব্যক্তিকে দেয় তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সে আদেশের বলে এখন পুকুরের মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রক্ত মাখা এ পুকুর উদ্ধারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, সীমানা প্রাচীরের নিরাপত্তা নিয়ে পুকুরের বর্তমান চাষাবাদ কারীর সঙ্গে কথা বলা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান খুনিয়াদীঘি স্মৃতিসৌধ। পুকুরপাড় ঘেঁষা এই সৌধটি মাটি ধসে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে পাড় ভেঙে স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত চলে এসেছে। সীমানা লাগোয়া একটি মেহগনি গাছ মাটি ধসে পুকুরের পানিতে পড়ে গেছে। এমন অবস্থায় স্মৃতিসৌধ ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে স্মৃতিসৌধের সঙ্গে থাকা পুকুরটিতে প্রত্যেক বছর মাটি ধসে পড়ছে। স্মৃতিসৌধের সন্নিকটে মাটি ধসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাটি ধসে গেলে স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীরসহ গণকবরের মাটিও ধসে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত মাটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।
রাণীশংকৈল-কাঠালডাঙ্গী সড়কের রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে সড়ক ঘেঁষা খুনিয়াদীঘির অবস্থান। এখানে প্রায় বিশাল পুকুর তার সঙ্গেই পাহাড়। ইতিহাস বলে এই পাহাড় এবং পুকুরেই মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ কারণেই রাণীশংকৈলবাসীর কাছে এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান। এ কারণে এখানে তৈরি হয়েছে খুনিয়াদীঘি স্মৃতিসৌধ। এটি ১৯৭৪ সালে জাতীয় চার নেতার অন্যতম এইচ এম কামরুজ্জামান স্মৃতিসৌধ হিসাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তখন থেকেই জাতীয়ভাবেই এখানেই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালন হয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাহাড়ে চারপাশে পুকুর রয়েছে। পুকুরের উত্তর পাশে নতুন করে আরেকটি খুনিয়াদীঘি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুকুর ঘিরে পুকুরের বর্তমান মালিক গোলাম মোস্তফা মাটি খনন করায় এখন পাহাড়ের মাটি পানির স্রোতের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত ধসে পরছে। এখন পুরোনো স্মৃতিসৌধের কাছাকাছি চলে গেছে। যেকোনো সময় প্রাচীও ধসে পরতে পারে।
পুকুরের মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কোনো মাটি খনন হয়নি। পাহাড় না ধসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, পুকুরটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্ত মিশে রয়েছে। এ পুকুরটি উদ্ধারে জোরালো কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পুকুরটি উদ্ধারসহ পাহাড়ের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাণীশংকৈল পৌরসভার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহেরুল ইসলাম বলেন, পুকুরটি মূলত সরকারি সম্পত্তি। এখানে মোট জমি রয়েছে ৫ একর ৬৮ শতক এর মধ্যে ২ একর ১৮ শতকের মধ্যে রয়েছে পুকুরটি। তবে পুকুরটি ১৯৮২ সালে মাছ চাষের শর্তে এক ব্যক্তিকে দেয় তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সে আদেশের বলে এখন পুকুরের মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রক্ত মাখা এ পুকুর উদ্ধারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, সীমানা প্রাচীরের নিরাপত্তা নিয়ে পুকুরের বর্তমান চাষাবাদ কারীর সঙ্গে কথা বলা হবে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
২ ঘণ্টা আগে