পঞ্চগড় প্রতিনিধি
মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে ছেলের চাকরির জন্য সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধানকে দিয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দুই বছরেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন তিনি। এই ঘটনার কিছুদিন পর স্ট্রোক করে মারা যান ভুক্তভোগী।
টাকা ফেরত ও জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ভুক্তভোগীর মরদেহ নিয়ে অবস্থান করেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রাত ৩টার দিকে তাঁরা আসেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ইউপি সদস্যদের সহায়তায় ৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে মরদেহ দাফন করার কথা জানিয়েছেন সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে।
গতকাল রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত সরেজমিনে উপস্থিত জনতার কাছ থেকে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে জাকিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কারণে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের (৫৫) কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতি পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তখন টাকা ফেরত পেতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু জুলফিকার বিভিন্নভাবে হয়রানি ও টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছিলেন।
আরও জানা যায়, ২০-২৫ দিন আগে দবিরুল ইসলাম প্রধান জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান। এ সময় জুলফিকার দবিরুলকে টাকা না দিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে উদ্যত হন। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সেই অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরেই তিনি স্ট্রোক করেন বলে জানায় তাঁর পরিবার। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রোববার আবারও স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান দবিরুল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের মরদেহ নিয়ে জুলফিকারের বাড়ি গিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
দবিরুলের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাহিদামতো টাকা দিয়েও ছেলেকে চাকরি দিতে না পারা এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার উদ্বেগে স্ট্রোক করেন দবিরুল। টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত মরদেহ দাফন করবেন বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।
দবিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুস সবুর প্রধান বলেন, ‘প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমানুল্লাহ স্যারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার বাবা জুলফিকারের কাছে ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন। টাকা উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।’
দবিরুলের ছেলে জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জুলফিকারকে বাবা ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন। জমি-জায়গা, গরু-ছাগল বিক্রি করে জুলফিকারকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার চাকরিও দেননি, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। উল্টো বাবাকে হয়রানি করেছেন।’
দবিরুলের ভাই বদিরুল ইসলাম বলেন, ‘চিন্তায় চিন্তায় ভাই বারবার স্ট্রোক করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মারাই গেল। প্রতারক জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিষয়টি উভয় পক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে ছেলের চাকরির জন্য সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধানকে দিয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দুই বছরেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন তিনি। এই ঘটনার কিছুদিন পর স্ট্রোক করে মারা যান ভুক্তভোগী।
টাকা ফেরত ও জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ভুক্তভোগীর মরদেহ নিয়ে অবস্থান করেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রাত ৩টার দিকে তাঁরা আসেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ইউপি সদস্যদের সহায়তায় ৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে মরদেহ দাফন করার কথা জানিয়েছেন সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে।
গতকাল রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত সরেজমিনে উপস্থিত জনতার কাছ থেকে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে জাকিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কারণে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের (৫৫) কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতি পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তখন টাকা ফেরত পেতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু জুলফিকার বিভিন্নভাবে হয়রানি ও টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছিলেন।
আরও জানা যায়, ২০-২৫ দিন আগে দবিরুল ইসলাম প্রধান জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান। এ সময় জুলফিকার দবিরুলকে টাকা না দিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে উদ্যত হন। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সেই অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরেই তিনি স্ট্রোক করেন বলে জানায় তাঁর পরিবার। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রোববার আবারও স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান দবিরুল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের মরদেহ নিয়ে জুলফিকারের বাড়ি গিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
দবিরুলের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাহিদামতো টাকা দিয়েও ছেলেকে চাকরি দিতে না পারা এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার উদ্বেগে স্ট্রোক করেন দবিরুল। টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত মরদেহ দাফন করবেন বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।
দবিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুস সবুর প্রধান বলেন, ‘প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমানুল্লাহ স্যারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার বাবা জুলফিকারের কাছে ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন। টাকা উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।’
দবিরুলের ছেলে জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জুলফিকারকে বাবা ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন। জমি-জায়গা, গরু-ছাগল বিক্রি করে জুলফিকারকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার চাকরিও দেননি, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। উল্টো বাবাকে হয়রানি করেছেন।’
দবিরুলের ভাই বদিরুল ইসলাম বলেন, ‘চিন্তায় চিন্তায় ভাই বারবার স্ট্রোক করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মারাই গেল। প্রতারক জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিষয়টি উভয় পক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
৯ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
২৬ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে