কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কুড়ালের কোপে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে খুনের দায় ‘স্বীকার’ করে আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৬ বছরের সংসার জীবন অতিবাহিত করার পর কেন নিজ স্ত্রীকে খুন করলেন সত্য চন্দ্র, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
গত রোববার ভোর রাতে নিজ ঘরে গৃহবধূ লতা রানী (৪০) হত্যার শিকার হন। তাঁর স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা। সত্য চন্দ্র শীল স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তার দুই ছেলে। গৃহবধূর ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর সত্য চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। পরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা-পুলিশের সহায়তায় সীমান্ত এলাকায় তার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে সত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় রোববার নিহতের ভাই বাদী হয়ে সত্য চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয়রা বলছে, অভিযুক্ত সত্য চন্দ্র শীল পেশায় সেলুনের (নরসুন্দর) ব্যবসা করেন। প্রায় ২৬ বছর আগে লতা রানীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে রয়েছেন। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি সত্য চন্দ্রের ভালোবাসার কমতি ছিল না। তবে জমি বিক্রি ও ঋণ করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে কলহ তার বাঁধত বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আদালতে আসামির দেওয়া জবানবন্দির বরাতে মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রাতে আসামি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে গেলেও তার ঘুম আসছিল না। এর মধ্যে তার পায়ের তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এ সময় তিনি স্ত্রী লতা রানীকে ডাকলে লতা রানী উঠতে অস্বীকৃতি জানান। তখন অস্থিরতা ও ক্ষোভ থেকে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সত্য চন্দ্র।’
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সত্য চন্দ্র পালিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আত্মগোপনের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি লতা রানীকে হত্যা করেছেন তা নিয়ে একেকবার একেক রকম বক্তব্য দিয়েছেন। পুলিশ সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখছে।
হত্যাকাণ্ডের কী কী কারণ হতে পারে, এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্লু নিয়ে তদন্তকারী অফিসার তদন্তকাজ করছেন। এগুলো হলো পূর্বের অর্থ ঋণ, হতাশা এবং ড্রাগ কিংবা বিভিন্ন মেডিসিনের বিরূপ প্রভাব।’
তিনি বলেন, ‘বাম পায়ে বাতের ব্যথাজনিত কারণে আসামি মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় ড্রাগ সেবন করতেন। এ ছাড়াও তিনি ড্রাগ নিতেন কি না সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এগুলোর কোনো বিরূপ প্রভাব আসামিকে হত্যা করার মতো কাজে উত্তেজিত করেছিল কি না সে বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব।’
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার বলেন, ‘আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কুড়ালের কোপে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে খুনের দায় ‘স্বীকার’ করে আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৬ বছরের সংসার জীবন অতিবাহিত করার পর কেন নিজ স্ত্রীকে খুন করলেন সত্য চন্দ্র, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
গত রোববার ভোর রাতে নিজ ঘরে গৃহবধূ লতা রানী (৪০) হত্যার শিকার হন। তাঁর স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা। সত্য চন্দ্র শীল স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তার দুই ছেলে। গৃহবধূর ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর সত্য চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। পরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা-পুলিশের সহায়তায় সীমান্ত এলাকায় তার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে সত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় রোববার নিহতের ভাই বাদী হয়ে সত্য চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয়রা বলছে, অভিযুক্ত সত্য চন্দ্র শীল পেশায় সেলুনের (নরসুন্দর) ব্যবসা করেন। প্রায় ২৬ বছর আগে লতা রানীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে রয়েছেন। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি সত্য চন্দ্রের ভালোবাসার কমতি ছিল না। তবে জমি বিক্রি ও ঋণ করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে কলহ তার বাঁধত বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আদালতে আসামির দেওয়া জবানবন্দির বরাতে মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রাতে আসামি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে গেলেও তার ঘুম আসছিল না। এর মধ্যে তার পায়ের তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এ সময় তিনি স্ত্রী লতা রানীকে ডাকলে লতা রানী উঠতে অস্বীকৃতি জানান। তখন অস্থিরতা ও ক্ষোভ থেকে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সত্য চন্দ্র।’
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সত্য চন্দ্র পালিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আত্মগোপনের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি লতা রানীকে হত্যা করেছেন তা নিয়ে একেকবার একেক রকম বক্তব্য দিয়েছেন। পুলিশ সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখছে।
হত্যাকাণ্ডের কী কী কারণ হতে পারে, এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্লু নিয়ে তদন্তকারী অফিসার তদন্তকাজ করছেন। এগুলো হলো পূর্বের অর্থ ঋণ, হতাশা এবং ড্রাগ কিংবা বিভিন্ন মেডিসিনের বিরূপ প্রভাব।’
তিনি বলেন, ‘বাম পায়ে বাতের ব্যথাজনিত কারণে আসামি মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় ড্রাগ সেবন করতেন। এ ছাড়াও তিনি ড্রাগ নিতেন কি না সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এগুলোর কোনো বিরূপ প্রভাব আসামিকে হত্যা করার মতো কাজে উত্তেজিত করেছিল কি না সে বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব।’
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার বলেন, ‘আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
১ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা
২ ঘণ্টা আগেপাবনা শহরে রাতের আঁধারে তুষার হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের খেয়াঘাট রোডে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে