গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি মহিলা এতিমখানা ও বসতবাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ বুধবার ভোর ৫টায় উপজেলার আলবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী বাজারের ছাপিয়োন নেছা মহিলা হাফিজিয়া এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে আমরা হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি এতিমখানায় আগুন লেগেছে। আমরা এতিমখানার শিশুদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এতিমখানায় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী মাকামাম মাহমুদা শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া বই হাতে নিয়ে বলেন, ‘এখন কী হবে? এই এতিম শিশুরা কোথায় থাকবে? তারা কী খাবে?’
এতিমখানার প্রধান শিক্ষকের ছেলে সোয়াইবুর বলে, ‘আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে আমি নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখি এতিমখানার সিলিং ফ্যানে আগুন লেগেছে। আগুন দেখে বাবাকে ডাক দিলে বাবা দৌড়ে এসে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং এতিমখানার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে করে। ততক্ষণে এতিমখানা ও আমাদের বাড়ির সবকিছু পুড়ে গেছে।’
এতিমখানার শিক্ষার্থী জান্নাতি (১৪) বলেছে, ‘আমরা ওই সময় ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে আগুন। আমাদের চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে গেছে, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি নাই। আমাদের পড়ার কোরআন শরীফ, জামা-কাপড়, সবকিছু পুড়ে গেছে।’
এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম ওরফে সফিয়ার পীর সাহেব বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে তাঁর নগদ ৬ লাখসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’ তিনি আরও জানান, তিস্তা নদীতে নয়বার বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি এতিমখানা খুলে স্ত্রীসহ শিশুদের পাঠদান করে আসছি, যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। তবে এবার এতিমখানা আর বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় কিছুই রইল না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ, আমার এই প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য তারা যেন সহযোগিতা করেন।’
গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হক বললেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
এ বিষয়ে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, ‘আমি এতিমখানায় আগুন লাগার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।’
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি মহিলা এতিমখানা ও বসতবাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ বুধবার ভোর ৫টায় উপজেলার আলবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী বাজারের ছাপিয়োন নেছা মহিলা হাফিজিয়া এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে আমরা হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি এতিমখানায় আগুন লেগেছে। আমরা এতিমখানার শিশুদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এতিমখানায় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী মাকামাম মাহমুদা শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া বই হাতে নিয়ে বলেন, ‘এখন কী হবে? এই এতিম শিশুরা কোথায় থাকবে? তারা কী খাবে?’
এতিমখানার প্রধান শিক্ষকের ছেলে সোয়াইবুর বলে, ‘আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে আমি নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখি এতিমখানার সিলিং ফ্যানে আগুন লেগেছে। আগুন দেখে বাবাকে ডাক দিলে বাবা দৌড়ে এসে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং এতিমখানার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে করে। ততক্ষণে এতিমখানা ও আমাদের বাড়ির সবকিছু পুড়ে গেছে।’
এতিমখানার শিক্ষার্থী জান্নাতি (১৪) বলেছে, ‘আমরা ওই সময় ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে আগুন। আমাদের চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে গেছে, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি নাই। আমাদের পড়ার কোরআন শরীফ, জামা-কাপড়, সবকিছু পুড়ে গেছে।’
এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম ওরফে সফিয়ার পীর সাহেব বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে তাঁর নগদ ৬ লাখসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’ তিনি আরও জানান, তিস্তা নদীতে নয়বার বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি এতিমখানা খুলে স্ত্রীসহ শিশুদের পাঠদান করে আসছি, যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। তবে এবার এতিমখানা আর বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় কিছুই রইল না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ, আমার এই প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য তারা যেন সহযোগিতা করেন।’
গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হক বললেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
এ বিষয়ে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, ‘আমি এতিমখানায় আগুন লাগার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে