কালীগঞ্জ ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ‘হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন’ তাঁরই আপন ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকে অংশ নেওয়া মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিপক্ষে গিয়ে প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজ মিলনায়তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দিতে গিয়ে মন্ত্রীর উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত মাসে দুইটা রিকশা দিয়েছেন। যার একটা দিয়েছেন আপনার (মন্ত্রী) বাড়ির পাহারাদার জমিরকে, আরেকটা দিলেন আপনার ছেলের পাকোয়ানি (বাবুর্চি) ইদ্রিসকে। আর গরিব লোক ছিল না? ৫০ কোটি, ১০০ কোটি টাকার চেক দিয়েছেন গরিব-অসহায় ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায়। সেই চেক কে পেলেন? আমিনগঞ্জের বজলুর প্রফেসর আর আদিতমারীর রাজ্জাক মাস্টার পান গরিব ক্যানসার রোগীর চেক।’
মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘গরিব মানুষের বাড়ি পোড়া গেলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে টিন দেওয়া হয়। সেই টিন পায় আমার-আপনার (মন্ত্রী) জেঠাতো ভাই নজরুল মাস্টার আর কেচু মাস্টার। এরা গরিব অসহায়?’
কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘কালীগঞ্জের রুদ্বেশ্বরে দক্ষতা উন্নয়নের অফিস হবে। তার জন্য উনি (মন্ত্রী) জমি কিনলেন চার-পাঁচ লাখ টাকায় গরিব কৃষকদের কাছ থেকে। সেই জমি রেজিস্ট্রি হলো ওনার (মন্ত্রী) ভাতিজা, ফুপাতো ভাই হেলাল, মোস্তফা ফারুকদের নামে। কিনল ৫ লাখে, লিখে নিল ৩০ লাখ টাকায়। সবাই মিলে ৩০ লাখ করে ভাগ করে নিলেন। সরকারের টাকা গরিব কৃষকেরা পেলে দুঃখ ছিল না। মানুষের সাথে প্রতারণা করিয়েন না।’
মাহবুবুজ্জামান আহমেদ আরও বলেন, ‘গোপন ফাঁস করে দেই। আপনি (মন্ত্রী) নৌকা নিয়েছেন না? নৌকায় ভিড়তে পারবেন না! কারণ, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আপনি (মন্ত্রী) নৌকা পুড়িয়েছেন। নৌকা আপনাকে মাফ করবে না।’
নিজের পরিবারের সঙ্গে ঘটা আক্ষেপ তুলে মন্ত্রীর উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘আমার ব্যারিস্টার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত করেছি। তিনি (মন্ত্রী) সোজা বলেছেন, “আমি যাব না, কাউকে যেতেও দেব না।” ছেলের বিয়েতে কাউকে আসতে দেননি। উল্টো বিয়ের দিন বিদ্যুৎও বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনি (মন্ত্রী) কেন এমন হলেন? ছেলে আর বউ মিলে আপনার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘ভোটমারী থেকে মহিষখোঁচা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে বাঁধ দিতে চেয়ে মন্ত্রী দেননি। তার একটাই জবাব—আপনি (মন্ত্রী) বাঁধ দেননি, আমরা আপনাকে বাদ (বয়কট) দিলাম।’
পরে মঞ্চে থাকা আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হককে দেখিয়ে তাঁর ঈগল প্রতীকে ভোট ও ভোটে কর্মী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
কর্মিসভায় লালমনিরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত রায় বিদুর, কমলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি ও সারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। এই আসনে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। মন্ত্রীর ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বড় ভাইয়ের নৌকার ভরাডুবি করতে মরিয়া হয়ে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে মন্ত্রীর বাড়ির পাহারাদার ও বাবুর্চির নামে রিকশা বরাদ্দের বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি নয়, ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রজেক্ট থেকে গত বছর ৩০টি রিকশা বিতরণ করা হয়েছে।’ তবে উল্লিখিত নাম দুটি তালিকায় রয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি তিনি।
লালমনিরহাটে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ‘হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন’ তাঁরই আপন ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকে অংশ নেওয়া মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিপক্ষে গিয়ে প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজ মিলনায়তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দিতে গিয়ে মন্ত্রীর উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত মাসে দুইটা রিকশা দিয়েছেন। যার একটা দিয়েছেন আপনার (মন্ত্রী) বাড়ির পাহারাদার জমিরকে, আরেকটা দিলেন আপনার ছেলের পাকোয়ানি (বাবুর্চি) ইদ্রিসকে। আর গরিব লোক ছিল না? ৫০ কোটি, ১০০ কোটি টাকার চেক দিয়েছেন গরিব-অসহায় ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায়। সেই চেক কে পেলেন? আমিনগঞ্জের বজলুর প্রফেসর আর আদিতমারীর রাজ্জাক মাস্টার পান গরিব ক্যানসার রোগীর চেক।’
মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘গরিব মানুষের বাড়ি পোড়া গেলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে টিন দেওয়া হয়। সেই টিন পায় আমার-আপনার (মন্ত্রী) জেঠাতো ভাই নজরুল মাস্টার আর কেচু মাস্টার। এরা গরিব অসহায়?’
কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘কালীগঞ্জের রুদ্বেশ্বরে দক্ষতা উন্নয়নের অফিস হবে। তার জন্য উনি (মন্ত্রী) জমি কিনলেন চার-পাঁচ লাখ টাকায় গরিব কৃষকদের কাছ থেকে। সেই জমি রেজিস্ট্রি হলো ওনার (মন্ত্রী) ভাতিজা, ফুপাতো ভাই হেলাল, মোস্তফা ফারুকদের নামে। কিনল ৫ লাখে, লিখে নিল ৩০ লাখ টাকায়। সবাই মিলে ৩০ লাখ করে ভাগ করে নিলেন। সরকারের টাকা গরিব কৃষকেরা পেলে দুঃখ ছিল না। মানুষের সাথে প্রতারণা করিয়েন না।’
মাহবুবুজ্জামান আহমেদ আরও বলেন, ‘গোপন ফাঁস করে দেই। আপনি (মন্ত্রী) নৌকা নিয়েছেন না? নৌকায় ভিড়তে পারবেন না! কারণ, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আপনি (মন্ত্রী) নৌকা পুড়িয়েছেন। নৌকা আপনাকে মাফ করবে না।’
নিজের পরিবারের সঙ্গে ঘটা আক্ষেপ তুলে মন্ত্রীর উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘আমার ব্যারিস্টার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত করেছি। তিনি (মন্ত্রী) সোজা বলেছেন, “আমি যাব না, কাউকে যেতেও দেব না।” ছেলের বিয়েতে কাউকে আসতে দেননি। উল্টো বিয়ের দিন বিদ্যুৎও বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনি (মন্ত্রী) কেন এমন হলেন? ছেলে আর বউ মিলে আপনার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘ভোটমারী থেকে মহিষখোঁচা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে বাঁধ দিতে চেয়ে মন্ত্রী দেননি। তার একটাই জবাব—আপনি (মন্ত্রী) বাঁধ দেননি, আমরা আপনাকে বাদ (বয়কট) দিলাম।’
পরে মঞ্চে থাকা আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হককে দেখিয়ে তাঁর ঈগল প্রতীকে ভোট ও ভোটে কর্মী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
কর্মিসভায় লালমনিরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত রায় বিদুর, কমলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি ও সারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। এই আসনে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। মন্ত্রীর ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বড় ভাইয়ের নৌকার ভরাডুবি করতে মরিয়া হয়ে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে মন্ত্রীর বাড়ির পাহারাদার ও বাবুর্চির নামে রিকশা বরাদ্দের বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি নয়, ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রজেক্ট থেকে গত বছর ৩০টি রিকশা বিতরণ করা হয়েছে।’ তবে উল্লিখিত নাম দুটি তালিকায় রয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি তিনি।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে