এবার প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ২১

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বিদায়ী উপাচার্য এম. রোস্তম আলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রক্টর হাসিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। 

আজ সোমবার দুপুরে পাবিপ্রবির প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা প্রক্টর হাসিবুর রহমানকে দুর্নীতিবাজ, অদক্ষ ও ব্যর্থ অভিহিত করে পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেন। 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রক্টর হাসিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী বিতর্কিত উপাচার্য এম. রোস্তম আলীর সকল দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রধান সহযোগী। নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি ছাড়াও, নিজে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লেকের মাছ লুট করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, খাবারের মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেননি। শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আবেদন করার পর চারটি পদে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত হই। কিন্তু, মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার পরেও আমার চাকরি না হওয়ায় উপাচার্য স্যারের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রক্টর হাসিবুর রহমান আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন।’ 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, প্রান্ত, নাবিলা, নওরীন বলেন, ‘বিদায়ী উপাচার্যের তোষামোদী ও দুর্নীতিতে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে তিনি প্রক্টর পদে নিয়োগ পান। তিনি উপাচার্যের অপকর্মের নিরাপত্তা দেওয়া আর উন্নয়ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্য ছাড়া গত এক বছরে কিছুই করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা হলে ঢুকে চুরি, ছিনতাই, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। এসব নিয়ে প্রক্টরকে বারবার অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেননি। বরং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদেরকেই উল্টো পুলিশে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখিয়েছেন। আমরা এই বিতর্কিত, ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’ 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাবিপ্রবির প্রক্টর হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে অভিভাবকহীন। ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল পদই শূন্য। এই সুযোগে একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। ছাত্রদের ব্যবহার করে কতিপয় শিক্ষক নিজেদের ফায়দা লুটতে চাইছেন।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

যানজটে গুলি করে ফেঁসে গেলেন জাপার সাবেক এমপি, অস্ত্রসহ আটক

শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি, কী ঘটেছিল সেখানে

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত