নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক সভায় ভরা মঞ্চে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আকরাম হোসেনের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে সেই ভিডিওর একটি ক্লিপ আসে আজকের পত্রিকার হাতে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বর্ধিত সভায় মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য মঞ্চে বসে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আকরাম চৌধুরীর দিকে মাইক্রোফোন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘নৌকার জন্য যখন আপনার এত ভালোবাসা তাহলে মাইক্রোফোন নিয়ে একটু বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় কোথাও কারও জন্য ভোট চেয়েছেন কি না বা তার কোনো প্রমাণ কি দেখাতে পারবেন।’
তখন আকরাম চৌধুরী মাইক্রোফোন নিয়ে বলেন, ‘ওই সময় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকায় আইনগত জটিলতায় ভোট চাইতে পারিনি।’ তখনই অকস্মাৎ তাঁর হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন ছলিম তরফদার। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জোরে আওয়াজ দিয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ওই দিন আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর সহযোগিতা করে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তাঁকে আমি বোঝাতেই পারিনি এ বক্তব্যের শেষ পয়েন্টটা আসলে কী ছিল।’
এ ঘটনা নিয়ে আজ সন্ধ্যায় নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘সেদিনের ঘটনা বড় কিছু নিয়ে নয়। অতীতের জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই এমনটা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি এখন একটি সভামঞ্চে আছি। এখানে আকরাম হোসেন চৌধুরীও আছেন।’
বিষয়টি নিয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলু বলেন, ‘সেদিনের অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। সাবেক ও বর্তমান এমপির মাঝে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ওটা নিরসন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আকরাম হোসেন চৌধুরী ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম। সেই সময় তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন। প্রায় তিন বছর দলের বাইরে থাকার পর ২০১৬ সালের দিকে আবারও তাঁকে দলের দায়িত্বে নেওয়া হয়।
অন্যান্য খবর পড়ুন:
নওগাঁর বদলগাছীতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক সভায় ভরা মঞ্চে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আকরাম হোসেনের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে সেই ভিডিওর একটি ক্লিপ আসে আজকের পত্রিকার হাতে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বর্ধিত সভায় মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য মঞ্চে বসে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আকরাম চৌধুরীর দিকে মাইক্রোফোন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘নৌকার জন্য যখন আপনার এত ভালোবাসা তাহলে মাইক্রোফোন নিয়ে একটু বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় কোথাও কারও জন্য ভোট চেয়েছেন কি না বা তার কোনো প্রমাণ কি দেখাতে পারবেন।’
তখন আকরাম চৌধুরী মাইক্রোফোন নিয়ে বলেন, ‘ওই সময় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকায় আইনগত জটিলতায় ভোট চাইতে পারিনি।’ তখনই অকস্মাৎ তাঁর হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন ছলিম তরফদার। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জোরে আওয়াজ দিয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ওই দিন আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর সহযোগিতা করে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তাঁকে আমি বোঝাতেই পারিনি এ বক্তব্যের শেষ পয়েন্টটা আসলে কী ছিল।’
এ ঘটনা নিয়ে আজ সন্ধ্যায় নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘সেদিনের ঘটনা বড় কিছু নিয়ে নয়। অতীতের জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই এমনটা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি এখন একটি সভামঞ্চে আছি। এখানে আকরাম হোসেন চৌধুরীও আছেন।’
বিষয়টি নিয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলু বলেন, ‘সেদিনের অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। সাবেক ও বর্তমান এমপির মাঝে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ওটা নিরসন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আকরাম হোসেন চৌধুরী ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম। সেই সময় তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন। প্রায় তিন বছর দলের বাইরে থাকার পর ২০১৬ সালের দিকে আবারও তাঁকে দলের দায়িত্বে নেওয়া হয়।
অন্যান্য খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১৭ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২৭ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে