দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ নামছে বেশি। বগুড়া এবং লালমনিরহাটও এর ব্যতিক্রম নয়। আজ সকাল ৯টায় বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে এ সময় লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় জেলা দুটিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

এদিকে তীব্র ঠান্ডায় উত্তরের জেলা গুলির জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন বেশি। 

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানিয়েছেন, সোমবার জেলায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি জেলায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। 

তিনি জানান, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই মাস জুড়েই এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে সরকার ঘোষিত পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসের তথ্য পেয়ে জেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তা জানানো হয়েছে।’ 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’ 

এদিকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা জেঁকে বসেছে লালমনিরহাটে। টানা এক সপ্তাহর বেশি সময় ধরে সূর্যের দেখা না পেয়ে হঠাৎ শুক্রবার উঁকি দেয় সূর্য। অব্যাহত থাকে শনিবার পর্যন্ত। দুই দিন পরে রোববার আবার দেখা নেই সূর্যের। তাপমাত্রার পারদও নিচে নেমে আসে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত এ জনপদের মানুষ। সোমবার সকাল ৯টায় রংপুর আবহাওয়া অফিস লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

তাপমাত্রার পারদ নিচে নামায় লালমনিরহাটের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এক জরুরি বার্তায় সোমবার পাঠদান বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে। অপর দিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করে পত্র জারি করেছে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে। তাই জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, ঠান্ডার কারণ সোমবার ও মঙ্গলবার জেলার সব বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পত্র বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।