রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে