বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাবেন পিকনিকে। এর জন্য পুলিশ দিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করা হয়েছে। এ ধরনের কাজে বেসরকারি বাস রিকুইজিশন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
বগুড়া জেলা কালেক্টরেট তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা যৌথভাবে এ আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বগুড়া ডিসি অফিস চত্বর থেকে বাসগুলো রংপুর জেলার আনন্দ নগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বগুড়া শহরতলির বনানী মোড়ে যাত্রী নামিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করেন বগুড়া জেলা ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পিকনিকে গেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং গাড়িগুলো একসঙ্গে শৃঙ্খলার মধ্যে যাতায়াত করার বিষয়টি বিবেচনা করে ছয়টি গাড়ি রিকুইজিশন করা হয়েছে।’
রিকুইজিশন ছাড়া অন্য কোনোভাবে গাড়ি সংগ্রহ করা যেত কি না, এমন প্রশ্নে এনডিসি বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য রিকুইজিশন করা হলেও গাড়ি মালিকের যেন বড় আর্থিক ক্ষতি না হয় সেদিক বিবেচনা করে জ্বালানি খরচ বহন করা হবে।
গতকাল রাতে রিকুইজিশন করা একটি বাসের চালককে পুলিশ ১৯ ফেব্রুয়ারি এনডিসি স্বাক্ষরিত একটি ফরম ধরিয়ে দেয়। সেই ফরমটি দেখেছেন এই প্রতিবেদক। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য ছয়টি বড় বাস হুকুম দখল করে ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবহারের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার মধ্যে লগবইসহ গাড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তান আনন্দ ভ্রমণে যান। এ জন্য জনপ্রতি চাঁদা ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। অতিথি সঙ্গে নিলে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মচারী ও পরিবারের সদস্য মিলে ৪৫০ জন আনন্দ ভ্রমণে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাতায়াতের জন্য বড় বাস প্রয়োজন নয়টি। এর মধ্যে তিনটি বাস আমরা ভাড়া করেছি। ডিসি স্যারকে বলে ছয়টি বাস পুলিশ দিয়ে রিকুইজিশন করে নেওয়া হয়েছে।’
কর্মচারী পরিষদের এ নেতা স্বীকার করেন, নিয়ম না থাকলেও সীমিত আয়ের কর্মচারী হওয়ায় আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য ছয়টি বাস রিকুইজিশন করতে হয়েছে।
এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির টার্মিনাল সম্পাদক জাহেদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কাজে আমরা সব সময় বাস দিয়ে সহযোগিতা করি। গত মাসেও (প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে) বগুড়ার ২২টি বাস রাজশাহীতে রিকুইজিশন করেছিল। এবার ডিসি অফিসের কর্মচারীদের পিকনিকের জন্য ছয়টি বাস রিকুইজিশন করা হয়েছে। দুটি বাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করার পরেও পুলিশ অনুরোধ রক্ষা করেনি।’
জাহেদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিসি অফিসে কর্মচারীদের পিকনিকের বাস কেন রিকুইজিশন করতে হবে? পিকনিক তো রাষ্ট্রীয় কাজ না!’
এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য বেসরকারি বাস রিকুইজিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি মালামাল পরিবহন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে পুলিশ ফোর্স পাঠানোর জন্য বাস রিকুইজিশন করা হয়। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস থেকে চিঠি দিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করতে বলা হয়েছে। আমরা সেই কাজটি করেছি। ডিসি অফিসের কর্মচারীরা রিকুইজিশন করা বাসে পিকনিকে যাবে কি না সে বিষয় পুলিশের জানা নেই।’
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোনকল করা হলেও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাড়া দেননি।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কেজিএম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ডিসি অফিসের কর্মচারীদের আনন্দ ভ্রমণের জন্য গণপরিবহন রিকুইজিশন করা ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি এবং এক ধরনের দুর্নীতি।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাবেন পিকনিকে। এর জন্য পুলিশ দিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করা হয়েছে। এ ধরনের কাজে বেসরকারি বাস রিকুইজিশন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
বগুড়া জেলা কালেক্টরেট তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা যৌথভাবে এ আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বগুড়া ডিসি অফিস চত্বর থেকে বাসগুলো রংপুর জেলার আনন্দ নগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বগুড়া শহরতলির বনানী মোড়ে যাত্রী নামিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করেন বগুড়া জেলা ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পিকনিকে গেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং গাড়িগুলো একসঙ্গে শৃঙ্খলার মধ্যে যাতায়াত করার বিষয়টি বিবেচনা করে ছয়টি গাড়ি রিকুইজিশন করা হয়েছে।’
রিকুইজিশন ছাড়া অন্য কোনোভাবে গাড়ি সংগ্রহ করা যেত কি না, এমন প্রশ্নে এনডিসি বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য রিকুইজিশন করা হলেও গাড়ি মালিকের যেন বড় আর্থিক ক্ষতি না হয় সেদিক বিবেচনা করে জ্বালানি খরচ বহন করা হবে।
গতকাল রাতে রিকুইজিশন করা একটি বাসের চালককে পুলিশ ১৯ ফেব্রুয়ারি এনডিসি স্বাক্ষরিত একটি ফরম ধরিয়ে দেয়। সেই ফরমটি দেখেছেন এই প্রতিবেদক। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য ছয়টি বড় বাস হুকুম দখল করে ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবহারের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার মধ্যে লগবইসহ গাড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তান আনন্দ ভ্রমণে যান। এ জন্য জনপ্রতি চাঁদা ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। অতিথি সঙ্গে নিলে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মচারী ও পরিবারের সদস্য মিলে ৪৫০ জন আনন্দ ভ্রমণে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাতায়াতের জন্য বড় বাস প্রয়োজন নয়টি। এর মধ্যে তিনটি বাস আমরা ভাড়া করেছি। ডিসি স্যারকে বলে ছয়টি বাস পুলিশ দিয়ে রিকুইজিশন করে নেওয়া হয়েছে।’
কর্মচারী পরিষদের এ নেতা স্বীকার করেন, নিয়ম না থাকলেও সীমিত আয়ের কর্মচারী হওয়ায় আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য ছয়টি বাস রিকুইজিশন করতে হয়েছে।
এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির টার্মিনাল সম্পাদক জাহেদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কাজে আমরা সব সময় বাস দিয়ে সহযোগিতা করি। গত মাসেও (প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে) বগুড়ার ২২টি বাস রাজশাহীতে রিকুইজিশন করেছিল। এবার ডিসি অফিসের কর্মচারীদের পিকনিকের জন্য ছয়টি বাস রিকুইজিশন করা হয়েছে। দুটি বাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করার পরেও পুলিশ অনুরোধ রক্ষা করেনি।’
জাহেদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিসি অফিসে কর্মচারীদের পিকনিকের বাস কেন রিকুইজিশন করতে হবে? পিকনিক তো রাষ্ট্রীয় কাজ না!’
এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য বেসরকারি বাস রিকুইজিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি মালামাল পরিবহন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে পুলিশ ফোর্স পাঠানোর জন্য বাস রিকুইজিশন করা হয়। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস থেকে চিঠি দিয়ে ছয়টি বাস রিকুইজিশন করতে বলা হয়েছে। আমরা সেই কাজটি করেছি। ডিসি অফিসের কর্মচারীরা রিকুইজিশন করা বাসে পিকনিকে যাবে কি না সে বিষয় পুলিশের জানা নেই।’
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোনকল করা হলেও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাড়া দেননি।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কেজিএম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ডিসি অফিসের কর্মচারীদের আনন্দ ভ্রমণের জন্য গণপরিবহন রিকুইজিশন করা ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি এবং এক ধরনের দুর্নীতি।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে