রাবি প্রতিনিধি
রাবিতে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত তিন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১১ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে তাঁরা আহত হন। এই ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁদের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থী হলেন মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম, ফারসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মিসবাহুল ইসলাম এবং আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল আমিন।
জানা গেছে, ঘটনার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ওই তিন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভারতে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কোনো সহযোগিতা পাননি। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, চিকিৎসা শেষে কাগজপত্র জমা দিলে সহযোগিতা করা হবে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার পরও এক চোখে কিছু দেখতে পান না। অপারেশনের পর ঝাপসা দেখছেন মিসবাহুল ইসলাম। আর অর্থাভাবে এখনো ভারতে চিকিৎসা নিতে পারেননি আল আমিন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে তাঁর চিকিৎসার জন্য অর্থ উত্তোলন করছেন সহপাঠীরা।
ওই শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১১ মার্চ চোখে আঘাত পাওয়ার পর তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ও পরে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে তাঁদের ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মিসবাহুল ও আলিমুল ব্যক্তিগত খরচে শংকর নেত্রালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে আল আমিন এখনো চিকিৎসা নিতে পারেননি।
ভারতে চিকিৎসার পরও বাঁ চোখ বাঁচানো যায়নি মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলিমুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৭ এপ্রিল ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে আসি ২৪ এপ্রিল। খরচ হয়েছে ১ লাখের মতো। কিন্তু আমার চোখ ঠিক হয়নি। বাঁ চোখটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।’ তাঁর চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যোগাযোগই করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চেন্নাইয়ে অপারেশনের পরও চোখে ঝাপসা দেখছেন মিসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৩১ মার্চ চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে যাওয়ার পর আমার ডান চোখে অপারেশন করা হয়। বর্তমানে চোখে ঝাপসা দেখছি।’ তাঁর চিকিৎসায় প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অপারেশনের পর চোখে এক ধরনের জেল দিয়েছে এ জন্য সবকিছু ঝাপসা লাগছে। আবার ২৯ মে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করে মিসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি স্যার আমাকে বলেছিলেন, যত টাকা খরচ হয় জানাতে। কিন্তু পরবর্তীতে আমি তাঁকে একাধিকবার মেসেজ করার পরও তিনি কোনো রিপ্লাই দেননি।’
অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে না পারা আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন বর্তমানে ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। ঘটনার দুই মাস হয়ে গেলেও এখনো তিনি চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা আমার পরিবারের নেই। আমার বাবার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা দেয়নি। উপায় না দেখে সহপাঠীরা হলে হলে গিয়ে টাকা তোলা শুরু করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম বলেন, আল আমিন নামের ওই শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতিকে নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তাদের যেহেতু কথা দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। তবে বিষয়টি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর দেখভাল করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘আল আমিনের সঙ্গে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। আমি তাকে দ্রুত ভিসার আবেদন করতে বলেছি। সেটি হয়ে গেলে তার সব কাগজপত্র নিয়ে উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাবিতে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত তিন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১১ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে তাঁরা আহত হন। এই ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁদের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থী হলেন মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম, ফারসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মিসবাহুল ইসলাম এবং আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল আমিন।
জানা গেছে, ঘটনার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ওই তিন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভারতে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কোনো সহযোগিতা পাননি। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, চিকিৎসা শেষে কাগজপত্র জমা দিলে সহযোগিতা করা হবে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার পরও এক চোখে কিছু দেখতে পান না। অপারেশনের পর ঝাপসা দেখছেন মিসবাহুল ইসলাম। আর অর্থাভাবে এখনো ভারতে চিকিৎসা নিতে পারেননি আল আমিন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে তাঁর চিকিৎসার জন্য অর্থ উত্তোলন করছেন সহপাঠীরা।
ওই শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১১ মার্চ চোখে আঘাত পাওয়ার পর তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ও পরে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে তাঁদের ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মিসবাহুল ও আলিমুল ব্যক্তিগত খরচে শংকর নেত্রালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে আল আমিন এখনো চিকিৎসা নিতে পারেননি।
ভারতে চিকিৎসার পরও বাঁ চোখ বাঁচানো যায়নি মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলিমুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৭ এপ্রিল ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে আসি ২৪ এপ্রিল। খরচ হয়েছে ১ লাখের মতো। কিন্তু আমার চোখ ঠিক হয়নি। বাঁ চোখটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।’ তাঁর চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যোগাযোগই করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চেন্নাইয়ে অপারেশনের পরও চোখে ঝাপসা দেখছেন মিসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৩১ মার্চ চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে যাওয়ার পর আমার ডান চোখে অপারেশন করা হয়। বর্তমানে চোখে ঝাপসা দেখছি।’ তাঁর চিকিৎসায় প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অপারেশনের পর চোখে এক ধরনের জেল দিয়েছে এ জন্য সবকিছু ঝাপসা লাগছে। আবার ২৯ মে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করে মিসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি স্যার আমাকে বলেছিলেন, যত টাকা খরচ হয় জানাতে। কিন্তু পরবর্তীতে আমি তাঁকে একাধিকবার মেসেজ করার পরও তিনি কোনো রিপ্লাই দেননি।’
অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে না পারা আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন বর্তমানে ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। ঘটনার দুই মাস হয়ে গেলেও এখনো তিনি চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা আমার পরিবারের নেই। আমার বাবার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা দেয়নি। উপায় না দেখে সহপাঠীরা হলে হলে গিয়ে টাকা তোলা শুরু করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম বলেন, আল আমিন নামের ওই শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতিকে নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তাদের যেহেতু কথা দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। তবে বিষয়টি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর দেখভাল করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘আল আমিনের সঙ্গে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। আমি তাকে দ্রুত ভিসার আবেদন করতে বলেছি। সেটি হয়ে গেলে তার সব কাগজপত্র নিয়ে উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২১ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
৪১ মিনিট আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে