বগুড়া প্রতিনিধি
মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়ালঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পরদিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে নিহতের ফুপুর বাড়ির গোয়ালঘরে পুঁতে রাখা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরের নাম নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৪)। সে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ফুপাতো ভাই এনামুল হক (২০) ও চাচা ফিরোজ ইসলামকে (১৯)। এনামুল ছয় মাস বয়স থেকে তাঁর মামা ওয়াজেল মণ্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন।
নাসিমের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল বাদী হয়ে ভাগনে এনামুল ও চাচাতো ভাই ফিরোজের নামে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর নিহত কিশোর নাসিম তার বড় বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল ভাগনে এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে কোনো তথ্যই পাচ্ছিল না। এ সময় এনামুল পুলিশকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। হঠাৎ করে নাসিমের মোবাইল নম্বর থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার বাবার ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিমের বাড়িতে যান। এ সময় এনামুল ও ফিরোজ বিভিন্নভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। পুলিশ ফিরে যাওয়ার পর নাসিমের বাবার মোবাইল ফোনে আবারও বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে লেখা হয় পুলিশে খবর দিয়ে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। এরপর এনামুল পুলিশকে ফোন দিয়ে হুমকির বিষয়টি জানান।
একপর্যায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাসিমের মোবাইল ফোনে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বার্তা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য সময় চাওয়া হয়। বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকাশ থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ বিকাশ এজেন্টের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে টাকাসহ নাসিমের বাড়ি থেকে আটক করে এনামুলকে। এ সময় ফিরোজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাঁরা পুলিশকে জানায়, সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর দুর্গম চর কাজলাতে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ে সেখানে গিয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চরের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়েও লাশের সন্ধান পায়নি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সঠিক তথ্য দিলে পুলিশ গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে তাঁদের দেখানো মতে গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন দাস বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ও ফিরোজ জানিয়েছেন কিছুদিন আগে নাসিম তাঁর চাচা ফিরোজ ও এনামুলের সামনে ধূমপান করে। এটাকে বেয়াদবি হিসেবে গ্রহণ করে শাসন করতে গেলে নাসিম এনামুলকে লাথি মারে এবং তাদের বাড়িতে ছোট থেকে বসবাস করা নিয়ে কটূক্তি করে। এতে তাঁরা অপমানিত বোধ করে নাসিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে নাসিমকে বাড়ির বাইরে দেখে, বেড়ানোর কথা বলে গাবতলী থানার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে যান। সেখানে নাসিমের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তাঁরা নাসিমের গলা, হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে খুন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে নাসিমের লাশ কাঁধে করে এনামুলের বাড়ির গোয়ালঘরে নিয়ে সিমেন্টের বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। এরপর তাঁরা সেখান থেকে নাসিমের বাড়ি ফিরে যান এবং রাতে নাসিমের ঘরেই ঘুমান।’
এসআই খোকন বলেন, এনামুল এবং ফিরোজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের ফোন বন্ধ করে রেখে যান। এ ছাড়া নাসিমের ফোন থেকে সিম খুলে অন্য সেট ব্যবহার করে বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে মুক্তিপণের বার্তা পাঠিয়ে আবার বন্ধ করে দেন।
মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়ালঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পরদিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে নিহতের ফুপুর বাড়ির গোয়ালঘরে পুঁতে রাখা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরের নাম নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৪)। সে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ফুপাতো ভাই এনামুল হক (২০) ও চাচা ফিরোজ ইসলামকে (১৯)। এনামুল ছয় মাস বয়স থেকে তাঁর মামা ওয়াজেল মণ্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন।
নাসিমের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল বাদী হয়ে ভাগনে এনামুল ও চাচাতো ভাই ফিরোজের নামে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর নিহত কিশোর নাসিম তার বড় বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল ভাগনে এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে কোনো তথ্যই পাচ্ছিল না। এ সময় এনামুল পুলিশকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। হঠাৎ করে নাসিমের মোবাইল নম্বর থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার বাবার ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিমের বাড়িতে যান। এ সময় এনামুল ও ফিরোজ বিভিন্নভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। পুলিশ ফিরে যাওয়ার পর নাসিমের বাবার মোবাইল ফোনে আবারও বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে লেখা হয় পুলিশে খবর দিয়ে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। এরপর এনামুল পুলিশকে ফোন দিয়ে হুমকির বিষয়টি জানান।
একপর্যায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাসিমের মোবাইল ফোনে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বার্তা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য সময় চাওয়া হয়। বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকাশ থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ বিকাশ এজেন্টের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে টাকাসহ নাসিমের বাড়ি থেকে আটক করে এনামুলকে। এ সময় ফিরোজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাঁরা পুলিশকে জানায়, সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর দুর্গম চর কাজলাতে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ে সেখানে গিয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চরের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়েও লাশের সন্ধান পায়নি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সঠিক তথ্য দিলে পুলিশ গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে তাঁদের দেখানো মতে গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন দাস বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ও ফিরোজ জানিয়েছেন কিছুদিন আগে নাসিম তাঁর চাচা ফিরোজ ও এনামুলের সামনে ধূমপান করে। এটাকে বেয়াদবি হিসেবে গ্রহণ করে শাসন করতে গেলে নাসিম এনামুলকে লাথি মারে এবং তাদের বাড়িতে ছোট থেকে বসবাস করা নিয়ে কটূক্তি করে। এতে তাঁরা অপমানিত বোধ করে নাসিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে নাসিমকে বাড়ির বাইরে দেখে, বেড়ানোর কথা বলে গাবতলী থানার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে যান। সেখানে নাসিমের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তাঁরা নাসিমের গলা, হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে খুন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে নাসিমের লাশ কাঁধে করে এনামুলের বাড়ির গোয়ালঘরে নিয়ে সিমেন্টের বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। এরপর তাঁরা সেখান থেকে নাসিমের বাড়ি ফিরে যান এবং রাতে নাসিমের ঘরেই ঘুমান।’
এসআই খোকন বলেন, এনামুল এবং ফিরোজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের ফোন বন্ধ করে রেখে যান। এ ছাড়া নাসিমের ফোন থেকে সিম খুলে অন্য সেট ব্যবহার করে বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে মুক্তিপণের বার্তা পাঠিয়ে আবার বন্ধ করে দেন।
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
৩৩ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে