আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সময় জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গতকাল রোববার বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, বেসরকারি ব্যাংক, সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও যানবাহনে হামলা করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন। তাঁদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরে তাণ্ডব চালান। এ সময় তাঁরা উপজেলা চত্বরের ভেতরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থাকা একটি সিএনজি অটোরিকশা, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সময়ে তাঁরা দুটি মোটরসাইকেল, উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, দলিল লেখকদের সেরেস্তা, নির্বাচন অফিস, ইউএনও অফিসের এসি, উপজেলা পরিষদের পাশে বেসরকারি পূবালী ও রূপালী ব্যাংক ভাঙচুর করেন। পরে আন্দোলনকারীরা রেলগেট ও রেল স্টেশনে তাণ্ডব চালান। তাঁরা রেল স্টেশনের প্ল্যাটফরমের বৈদ্যুতিক ফ্যান, রেলগেট এলাকায় অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর রেলগেটে যুবলীগ নেতা রানা চৌধুরী ও আব্দুর রহিম স্বাধীনের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করেন।
আন্দোলনের সময় রেলগেটে সড়কের ওপরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে কিশোরের মোড়ে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান সাদেকের শ্যামলী বাস কাউন্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে সহিংসতার এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য মাঠে ছিলেন না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা একত্র হয়ে সদরে আন্দোলনবিরোধী মিছিল করেন। তাঁরা সেখানেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের তিলকপুর পশ্চিম বাজার জিরো পয়েন্টে গতকাল বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বেলা ৩টা থেকে পৌর সদরের পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে থানার সামনে দিয়ে আবার রেলগেটে এসে জড়ো হন। কিছু সময় পরে তাঁরা আবার উপজেলা পরিষদের দিকে অগ্রসর হন। ওই সময় উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদের সামনে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। এরপর আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে ঢুকে ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগ করেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন। তাঁদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদে হামলা করে বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। সংঘাত এড়াতে আমরা কার্যালয়ের সামনেই বসে ছিলাম। বিকেলে হঠাৎ করে আন্দোলনকারীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হামলা ও ভাঙচুর করে সিএনজি অটোরিকশাসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সময় জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গতকাল রোববার বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, বেসরকারি ব্যাংক, সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও যানবাহনে হামলা করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন। তাঁদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরে তাণ্ডব চালান। এ সময় তাঁরা উপজেলা চত্বরের ভেতরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থাকা একটি সিএনজি অটোরিকশা, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সময়ে তাঁরা দুটি মোটরসাইকেল, উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, দলিল লেখকদের সেরেস্তা, নির্বাচন অফিস, ইউএনও অফিসের এসি, উপজেলা পরিষদের পাশে বেসরকারি পূবালী ও রূপালী ব্যাংক ভাঙচুর করেন। পরে আন্দোলনকারীরা রেলগেট ও রেল স্টেশনে তাণ্ডব চালান। তাঁরা রেল স্টেশনের প্ল্যাটফরমের বৈদ্যুতিক ফ্যান, রেলগেট এলাকায় অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর রেলগেটে যুবলীগ নেতা রানা চৌধুরী ও আব্দুর রহিম স্বাধীনের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করেন।
আন্দোলনের সময় রেলগেটে সড়কের ওপরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে কিশোরের মোড়ে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান সাদেকের শ্যামলী বাস কাউন্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে সহিংসতার এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য মাঠে ছিলেন না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা একত্র হয়ে সদরে আন্দোলনবিরোধী মিছিল করেন। তাঁরা সেখানেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের তিলকপুর পশ্চিম বাজার জিরো পয়েন্টে গতকাল বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বেলা ৩টা থেকে পৌর সদরের পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে থানার সামনে দিয়ে আবার রেলগেটে এসে জড়ো হন। কিছু সময় পরে তাঁরা আবার উপজেলা পরিষদের দিকে অগ্রসর হন। ওই সময় উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদের সামনে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। এরপর আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে ঢুকে ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগ করেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন। তাঁদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদে হামলা করে বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। সংঘাত এড়াতে আমরা কার্যালয়ের সামনেই বসে ছিলাম। বিকেলে হঠাৎ করে আন্দোলনকারীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হামলা ও ভাঙচুর করে সিএনজি অটোরিকশাসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে