নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনই ১৪ দলের একক প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্য কোনো শরিক দলগুলো নির্বাচনে আলাদা কোনো প্রার্থী দেবে না। শরিকেরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই সমর্থন দিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর রাণীবাজারে বর্তমান সিটি মেয়রের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দল রাজশাহীর এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও উপকমিটি গঠনের বিষয়ে শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমরা ১৪ দল জোটগতভাবে আন্দোলন করেছি, সরকার গঠন করে এখন পর্যন্ত জোটগতভাবেই আছি। রাসিক নির্বাচনও দলগতভাবে আমরা মোকাবিলা করতে চাই। যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করতে চাই। শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, এরপরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও আমরা জোটগতভাবেই করব।’
লিটন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আমরা দেখাতে চাই নির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভোট প্রদান করবে, শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা জানি না, বিএনপি প্রার্থী দেবে কী দেবে না। তারা এবারও অতীতের মতো কূটকৌশল প্রয়োগ করতে পারে। সেটির বিষয়ে সতর্ক থেকে আমরা নির্বাচনে জয়ী হতে চাই।’
বর্তমান মেয়র বলেন, ‘রাজশাহীর যে উন্নয়ন করেছি, সেটি দেখে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার কথা না। তারপরও যারা উন্নয়ন দেখেও চোখ বন্ধ করে রাখেন, সে রকম গোষ্ঠী থাকতে পারে, তাদের কথা ভিন্ন। তবে অধিকাংশ মানুষই নিশ্চয় উন্নয়ন চায়, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা চায়। সেটি আমাদের সরকার নিশ্চিত করছে, আমরা রাজশাহীতে সেটি নিশ্চিত করতে পেরেছি। এবার নির্বাচিত হলে বাকিটুকু আগামীতে নিশ্চিত করতে চাই।’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি মূল কমিটি ও কতগুলো উপকমিটি গঠন করা হবে। সে ব্যাপারেও ১৪ দলের সভায় আলোচনা হয়েছে। ১০ মে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা আহ্বান করেছি। এর আগেও আমরা বসব। আমাদের এই বসাটা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মেয়র মহোদয় বলছেন আগামীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে কলকারখানাগুলো চালু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
বাদশা আরও বলেন, ‘নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ করার জন্য এটি আমাদের রাজনৈতিক লড়াই। আমরা লড়াই করে মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিজয়ী করব। পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়—এই ধারণা আমরা মুছে ফেলতে চাই।’
১৪ দলের রাজশাহীর সমন্বয়ক খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর ন্যাপের সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাসেত হোসেন প্রামাণিক, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এস এম ওমর ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনই ১৪ দলের একক প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্য কোনো শরিক দলগুলো নির্বাচনে আলাদা কোনো প্রার্থী দেবে না। শরিকেরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই সমর্থন দিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর রাণীবাজারে বর্তমান সিটি মেয়রের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দল রাজশাহীর এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও উপকমিটি গঠনের বিষয়ে শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমরা ১৪ দল জোটগতভাবে আন্দোলন করেছি, সরকার গঠন করে এখন পর্যন্ত জোটগতভাবেই আছি। রাসিক নির্বাচনও দলগতভাবে আমরা মোকাবিলা করতে চাই। যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করতে চাই। শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, এরপরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও আমরা জোটগতভাবেই করব।’
লিটন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আমরা দেখাতে চাই নির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভোট প্রদান করবে, শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা জানি না, বিএনপি প্রার্থী দেবে কী দেবে না। তারা এবারও অতীতের মতো কূটকৌশল প্রয়োগ করতে পারে। সেটির বিষয়ে সতর্ক থেকে আমরা নির্বাচনে জয়ী হতে চাই।’
বর্তমান মেয়র বলেন, ‘রাজশাহীর যে উন্নয়ন করেছি, সেটি দেখে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার কথা না। তারপরও যারা উন্নয়ন দেখেও চোখ বন্ধ করে রাখেন, সে রকম গোষ্ঠী থাকতে পারে, তাদের কথা ভিন্ন। তবে অধিকাংশ মানুষই নিশ্চয় উন্নয়ন চায়, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা চায়। সেটি আমাদের সরকার নিশ্চিত করছে, আমরা রাজশাহীতে সেটি নিশ্চিত করতে পেরেছি। এবার নির্বাচিত হলে বাকিটুকু আগামীতে নিশ্চিত করতে চাই।’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি মূল কমিটি ও কতগুলো উপকমিটি গঠন করা হবে। সে ব্যাপারেও ১৪ দলের সভায় আলোচনা হয়েছে। ১০ মে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা আহ্বান করেছি। এর আগেও আমরা বসব। আমাদের এই বসাটা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মেয়র মহোদয় বলছেন আগামীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে কলকারখানাগুলো চালু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
বাদশা আরও বলেন, ‘নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ করার জন্য এটি আমাদের রাজনৈতিক লড়াই। আমরা লড়াই করে মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিজয়ী করব। পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়—এই ধারণা আমরা মুছে ফেলতে চাই।’
১৪ দলের রাজশাহীর সমন্বয়ক খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর ন্যাপের সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাসেত হোসেন প্রামাণিক, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এস এম ওমর ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
১৩ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
১৭ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৪৩ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে